কানধরে উঠবস, ম্যাজিস্ট্রেটের অপসারণ দাবি
কানধরে ওষুধ প্রতিনিধিদের উঠবস করায় দুই ম্যাজিস্ট্রেটের অপসারণ দাবি করেছে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত ফার্মাসিউটিক্যাল মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া)।
ওষুধ কোম্পানির দুই প্রতিনিধিকে প্রকাশ্যে গায়ের জামা খুলিয়ে কানধরে উঠবসের শাস্তি প্রদান করায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি দিয়েছে ফারিয়া। তারা অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মুনিবুর রহমান ও মুশফিকুল আলম হালিমের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এসে মানববন্ধন করেন।
এরপর বিক্ষোভ মিছিলসহকারে তারা হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন, জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
চুয়াডাঙ্গা ফার্মাসিউটিক্যাল মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক নাজমুল হক জানান, সোমবার দুপুরে কয়েকজন ফার্মাসিউটিক্যাল মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যান। এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনিবুর রহমান ও মুশফিকুল আলম হালিম তিন রিপ্রেজেনটেটিভকে আটক করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে মিথ্যা কথা বলায় দুই ম্যাজিস্ট্রেট তাদের গায়ের জামা খুলিয়ে প্রকাশ্যে কানধরে উঠবস করার শাস্তি প্রদান করেন, যা অমানবিক, আইনবহির্ভুত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
১৫ অক্টোবরের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট মুনিবুর রহমান ও মুশফিকুল আলম হালিমের অপসারণ ও শাস্তি না হলে জেলার সব ফার্মেসিতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনিবুর রহমান জানান, সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে বেক্সিমকো ও অপসোনিন ওষুধ কোম্পানির চার মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভকে পাওয়া যায়। তারা সেখানে কি করছেন জানতে চাইলে তারা জানান, তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছেন বলে জানান।
এসয় তিনি রিপ্রেজেনটেটিভদের মনে করিয়ে দেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সপ্তাহের রবি ও মঙ্গলবার। এ সময় তারা ক্ষমা চেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর আবার তারা হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগের কাছে এলে কয়েক রোগীর জটলা দেখতে পান।
এ সময় রোগীরা জানান, হাসপাতালের চিকিৎসকের রুমে গেলে দু’রিপ্রেজেনটেটিভ তাদের পরে আসতে বলেন। তারা চিকিৎসা না নিতে পেরে বাইরে এসে চিকিৎসক ও রিপ্রেজেনটেটিভের ব্যস্ততা কমার অপেক্ষায় আছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই দলটি চিকিৎসকের রুমে ঢুকে দেখেন ওই দুই রিপ্রেজেনটেটিভের সঙ্গে চিকিৎসক বসে আছেন। চিকিৎসকের কাছে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তাদের চেনেন না বলে জানান।
এ সময় একজন মানিব্যাগ ফেলে পালিয়ে যান। অপরজনকে আটক হয়। পরে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে একজন কুমুদিনি ড্রাগস ও অপরজন হাইকো ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ বলে জানান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জরিমানা করার প্রস্তুতি নিলে তারা জানান, তাদের কাছে তেমন কোনো টাকা নেই। উপস্থিত ভুক্তভোগী জনসাধারণ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তাদের শাস্তি দাবির করেন। আদালত তাদের সামান্য সাজা দিয়ে ছেড়ে দেয়।
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/06/cats6-1.jpg)
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/07/1-56-622x350.jpg)
হত্যাকাণ্ডসহ সব অনভিপ্রেত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।বিস্তারিত পড়ুন
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/07/1-53-622x350.jpg)
রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনিআখড়া ও ধনিয়া এলাকায় ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/07/1-12-622x350.jpg)
বিমানের লাগেজ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
৪ কেজি ৪২০ গ্রাম স্বর্ণের বার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরবিস্তারিত পড়ুন