কে এই বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত?
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর আয় বেশি, তবে সম্পদে তার থেকে এগিয়ে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান।
সম্পদের হিসাবে প্রায় কোটিপতি আইনজীবী সাখাওয়াত, অপরদিকে আইভীর সম্পদের পরিমাণ তার অর্ধেক। ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধান দুই দলের প্রার্থীর জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
নগদ, ব্যাংকে জমা, স্বর্ণালঙ্কার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, আসবাব ও পরিবারকে ঋণ দেওয়া বাবদ আইভীর রয়েছে ৪২ লাখ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা। এর বাইরে যৌথ মালিকানার ১১২ শতাংশ অকৃষি জমির আট ভাগের একভাগের মালিক তিনি।
অপরদিকে সাখাওয়াত ও তার স্ত্রীর স্থাবর ও অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ ৯৭ লাখ ৫ হাজার ১৩৭ টাকা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসাবে আইভীর বার্ষিক আয় ছিল ১১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। আর জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৯ টাকা। আর ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ থেকে সুদ হিসেবে বছরে আসে ৩ হাজার ৮০১ টাকা।
নগদ, যানবাহন, স্বর্ণালঙ্কার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, আসবাব, ব্যবসার মূলধন মিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫৯ টাকা। তার স্ত্রীর রয়েছে ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৮ টাকার সম্পদ।
নারায়ণগঞ্জে জমি আছে সাখাওয়াত ও তার স্ত্রীর; দুজনের জমির মূল্যর দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা ও ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
গেলবার আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়া আইভী এবার নৌকার প্রার্থী। পাঁচ বছর আগে পৌর মেয়র থেকে সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করেন আইভী। সে সময় তার বার্ষিক আয় ছিল ১৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। সম্পদ দেখিয়েছিলেন ব্যাংকে জমা ১০ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার বাবদ ৩০ হাজার টাকা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইভীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাতখুন মামলায় নিহতদের পক্ষে লড়াই করে পরিচিতি পাওয়া সাখাওয়াত এ পর্যন্ত চার মামলায় আসামি হয়েছেন। এগুলোর মধ্যো দুটিতে খালাস পেয়েছেন তিনি; বিচার চলছে একটির, আর একটি তদন্তের পর্যায়ে।
এমবিবিএস ও এমডি ডিগ্রিধারী আইভী হলফনামায় পেশা লিখেছেন চিকিৎসক। তার স্বামী কম্পিউটার প্রোগ্রামার কাজী আহসান হায়াত নিউজিল্যান্ডে কর্মরত।
৫০ বছর বয়সী আইভী দুই সন্তানের জননী। তার বাবা আলী আহম্মদ চুনকা নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। চুনকার বড় মেয়ে আইভী ১৯৯৫ সালে দেশের পাট গুটিয়ে স্বামীর সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন।
বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার আমলে নারায়ণগঞ্জে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন তিনি। সে সময় ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র হন আইভী।
চাঞ্চল্য কর সাতখুন মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত এবারই প্রথম ভোটের লড়াইয়ে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী সাখাওয়াত শিক্ষাগত যোগ্যৌতায় লিখেছেন বিএ ও এলএলবি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাখাওয়াত জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। হলফনামা অনুযায়ী, ১৯৬৯ সালের ২০ অগাস্ট মো. ফজল খান ও হোসনে আরা বেগমের ঘরে জন্ম সাখাওয়াতের।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন