গলা ব্যথার যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকুন
অনেকেরই ঠান্ডা লাগার প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে গলা ব্যথা। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রভাব পড়ে ভোকাল কর্ডের ওপর, যা কখনো কখনো বেশ ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গলা ব্যথা খুব বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ব্যথা দূর করতে ঘরে বসে করতে পারেন কিছু কাজ। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডটকম দিয়েছে ঘরে বসে গলা ব্যথা রোধের কিছু পরামর্শ।
১. অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি ওষুধ
গলা ব্যথা দূর করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যকর চিকিৎসা হলো নন স্টেরোয়েডাল অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি (NSAID) ওষুধ। যেমন : এডভিল বা এলভি। এই সব ওষুধ প্রদাহরোধে সাহায্য করে বলে জানান ব্রিগহাম অ্যান্ড ওমেনস হাসপাতালের চিকিৎসক জেফারি লিন্ডার। তিনি বলেন, ‘এটি জ্বরের চিকিৎসায়ও ভালো কাজ করে। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।’
২. লবণ-পানির গারগেল –
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, কুসুম গরম পানির মধ্যে লবণ মিশিয়ে গারগেল করলে সেটি গলার ফোলাভাব কমায় এবং শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়া রোধেও এই পদ্ধতি কার্যকর।
চিকিৎসকরা সাধারণত এক কাপ পানিতে আধা চা-চামচ লবণ দিয়ে গারগেল করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদি গারগেলের নোনাভাব আপনার ভালো না লাগে তাহলে লবণ-পানির মধ্যে হালকা মধু মিশিয়ে গারগেল করতে পারেন।
৩. লজেন্স –
লজেন্স গলায় ভেজাভাব বজায় রাখে। চিকিৎসক লিন্ডার বলেন, ‘যেসব লজেন্সে ম্যানথল অথবা ইকেলিপটাস রয়েছে সেই ধরনের চকলেট গলা ভিজিয়ে রাখবে।’
৪. কফ সিরাপ –
আপনার কফ না থাকলেও কফ সিরাপ খেতে পারেন; এটি অস্থায়ীভাবে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে। তবে বরাবরের মতোই যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. পানি খান –
যখন আপনি গলার প্রদাহে ভুগছেন, তখন হাইড্রেট থাকা প্রয়োজন। তাই এ সময়টায় প্রচুর পানি পান করুন। পানি অন্যান্য ঠান্ডাজনিত উপসর্গের বিরুদ্ধেও কাজ করে।
৬. চা পান –
হারবাল চা গলা ব্যথার দূর করার জন্য খুব ভালো। এ ছাড়া গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি এগুলোও পান করতে পারেন। এসব চায়ে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ করে এবং সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
৭. মুরগির স্যুপ –
ঠান্ডা দূর করার জন্য মুরগির স্যুপ বেশ উপকারী। এর মধ্যে যেসব উপাদান রয়েছে সেটি প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে এবং ভালো অনুভূতি তৈরি করে। মুরগির স্যুপ দেহের পুষ্টি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
৮. বিশ্রাম –
এটি দ্রুত সমাধান দেবে না, তবে আরাম দেবে। গলা ব্যথা করলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, গলাকেও বিশ্রাম দিন। চিকিৎসক লিন্ডার বলেন, ‘বিশ্রাম নিলে আপনার শরীর সংক্রমণের সঙ্গে যুদ্ধ করার শক্তি পায়। তাই একটি ভালো সূচনার জন্য বিশ্রাম নেওয়া জরুরি’।
৯. অ্যান্টিবায়োটিক –
১০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার কারণে গলা ব্যথা হয়। যদি পরীক্ষা করে বোঝা যায়, ব্যাকটেরিয়ার কারণে গলা ব্যথা হচ্ছে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে পারেন।
তবে ভাইরাসজনিত কারণে গলা ব্যথা হলে অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজ করবে না। ওষুধ খেলে ভালো ফলাফলের জন্য অবশ্যই কোর্স পূর্ণ করতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন