শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘চিকিৎসা’ না পেয়ে মৃত্যু, লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক না পেয়ে আলমগীর হোসেন (৩০) নামের এক তরুণ ব্যবসায়ী বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে শত শত বিক্ষুব্ধ মানুষ আলমগীরের মরদেহ নিয়ে দফায় দফায় মিছিল ছাড়াও ঘণ্টা তিনেক লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়ক অবরোধ করে রাখে। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে। বিক্ষুব্ধ জনতা হাতীবান্ধা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং দুটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাতীবান্ধা উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের বুকের ব্যথা শুরু হলে আজ বেলা ১১টার দিকে তাঁকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। ওই সময় সেখানে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। উল্টো হাসপাতালের এক ওয়ার্ডবয় আলমগীরকে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে রোগীর স্বজনদের সাথে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে এ খবর পেয়ে আবাসিক কোয়ার্টার থেকে দায়িত্বরত চিকিৎসক জরুরি বিভাগে আসার আগেই ওই ব্যবসায়ী মারা যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে শত শত সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীরা এসে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা হাসপাতালের জানালাসহ বেশকিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ ছাড়া মেডিক্যাল মোড় এলাকায় থাকা একটি প্যাথলজি এবং অপর একটি ক্লিনিকেও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ লোকজন।

এদিকে বিনা চিকিৎসায় ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজিত লোকজন তাঁর লাশ নিয়ে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল শেষে সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পাশের থানা কালীগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা অভিযুক্ত চিকিৎসককে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

মৃত আলমগীর হোসেনের মামা মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘আলমগীরকে জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর সেখানে কোনো ডাক্তার ছিল না। উল্টো ওয়ার্ডবয় তাঁকে নিয়ে পাশের ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকার কারণেই আমার ভাগিনার মৃত্যু হয়েছে।’ অন্যদিকে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রমজান আলী বলেন, ‘জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. সুলতানা কচি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিলেও মারা যান আলমগীর।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আরতদাড়ের সাথে বিরোধ, রহনপুর বাজারে আম বিক্রি বন্ধ

আম চাষিরা আমের মণ সর্বোচ্চ ৪৮ কেজি করার দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ শুরু

লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়া ৩টি বগি উদ্ধারবিস্তারিত পড়ুন

পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অণুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় নাগরিকবিস্তারিত পড়ুন

  • নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা আটক নীলফামারীতে
  • মূল্য ৭ কোটি: পঞ্চগড়ে কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার
  • পঞ্চগড়ে আহমদিয়াদের ওপর হামলার ঘটনায় আরও ৩ মামলা
  • বিয়ের প্রলোভন তারপর ধর্ষণ, এখন অন্তঃসত্ত্বা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী
  • রংপুরে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, পালাল চিকিৎসক
  • কুড়িগ্রামে তিন উপজেলার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
  • গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
  • নীলফামারীর জলঢাকায় ট্রাক চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু !
  • ট্রাকচালকের আসনে ছিল হেলপার
  • যেখানেই অসহায় মানুষের আর্তনাদ, সেখানেই তরুণ সোহেলের হাত!
  • কুড়িগ্রামে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার
  • দুই ঠিকাদারকে পিটিয়ে টাকা ছিনতাই করল আ’লীগ-যুবলীগ