‘চ্যাম্পিয়নস অফ দি আর্থ’ পুরস্কার পেলেন শেখ হাসিনা
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়নস অফ দি আর্থ’ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলতি বছর ‘পলিসি লিডারশিপ’ ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক এই সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
পুরস্কারের কথা জানিয়ে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশগতভাবে ‘নাজুক অবস্থায় থাকা’ বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ‘সামগ্রিক পদক্ষেপের স্বীকৃতি’ হচ্ছে পুরস্কার।
পরিবেশ নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর চারটি ক্যাটাগরিতে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দি আর্থ’ পুরস্কার দিয়ে আসছে ইউএনইপি।
চলতি বছর শেখ হাসিনা ছাড়াও ‘ইনসপিরেশন অ্যান্ড অ্যাকশন’ ক্যাটাগরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণী রক্ষাকর্মীদের দল ব্ল্যাক মামবা এপিইউ, ‘সায়েন্স অ্যান্ড ইনোভেশন’ ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, ‘এন্টারপ্রেনারিয়াল ভিশন’ ক্যাটাগরিতে ব্রাজিলের প্রসাধনী প্রস্তুতকারক কোম্পানি নেটুরা এ পুরস্কার পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের ফেইসবুকে দেওয়া ইউএনইপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বিশ্বের অন্যতম স্বল্পোন্নত দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিনিয়োগ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ।”
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক অচিম স্টেইনারকে উদ্ধৃত করে এতে বলা হয়, “বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনমূলক নীতিগত পদক্ষেপ এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ তার উন্নয়নের মূল প্রতিপাদ্য হিসাবে গ্রহণ করেছে।
“জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচির অগ্রগামী বাস্তবায়নকারী এবং অভিযোজন নীতির পক্ষের বলিষ্ঠ প্রবক্তা হিসেবে শেখ হাসিনা অন্যদের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত।”
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস বলেন, বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করতে পেরেছে।
“প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বার্ষিক জিডিপির এক দশমিক আট শতাংশ হারিয়েছে। তারপরও এটা মনে রাখা দরকার, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব নিরসন শুধু অর্থনীতির প্রশ্ন নয়, বরং তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ”, বলেন ওয়াটকিনস।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) অংশ হিসেবে শিশুমৃত্যুর হার কমানোয় সাফল্যের জন্য এর আগে ২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতিসংঘের পুরস্কার পান শেখ হাসিনা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আড়াই বছর পর কারাগার থেকে বের হলেন পি কে হালদার
বাংলাদেশে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ভারতেরবিস্তারিত পড়ুন
আয়কর রিটার্ন জমার সময় আবারও এক মাস বাড়লো
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের ২০২৪-২৫ করবর্ষেরর আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরওবিস্তারিত পড়ুন
বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মইনুলকে
বিদেশে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস-বিডিআরেরবিস্তারিত পড়ুন