ছাত্রজীবনের যেসব অভ্যাস কর্মজীবনেও কাজে লাগে
লেখাপড়া শেষে সবাই চায় একটা ভালো চাকরি যা করতে তার নিজেরও ভালো লাগবে। কথায় আছে, সবারই এমন কাজ করা উচিত যেটা সে করতে ভালোবাসে। নিজের পছন্দের কাজটি করতে পারলে সেটাকে আর চাকরি মনে হয় না। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার বাজারে আগে থেকে প্রস্তুত না থাকলে হুট করে চাকরি পাওয়া খুব মুশকিল। তাই ছাত্রজীবন থেকেই শুরু করতে হবে প্রস্তুতি। ছাত্রজীবনে কিছু অভ্যাস লেখাপড়ার পাশাপাশি এমনিতেই গড়ে তোলা যায়। আর সে কাজগুলো আপনাকে বাকিদের থেকে এগিয়ে রাখবে। ক্যারিয়ার-বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্যারিয়ার এডিক্ট ডটকম জানিয়েছে এ ধরনের কিছু অভ্যাসের কথা। অভ্যাসগুলো জেনে রাখলে কারো না কারো কাজে ঠিকই আসবেই
১. লেখালেখি
আপনি যে চাকরিই করেন লেখালেখির অভিজ্ঞতা আপনার কাজে লাগবে। সুন্দর করে কোনো কিছু বর্ণনা করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে সেটা আপনাকে এগিয়ে রাখবে। কারণ চাকরির জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। সেটাতে নিজেকে যত এগিয়ে রাখতে পারবেন ততই মঙ্গল। আর চাকরি পেয়ে গেলেও আপনাকে প্রায়ই কাজের অগ্রগতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রেও গুছিয়ে লেখার গুণটা কাজে লাগবে।
২. স্বেচ্ছাসেবী
ছাত্রজীবন থেকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজে লেগে পড়ুন। এতে আপনার সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়বে। সেই সাথে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের হয়ে কর্মসূচি পালনের কাজ করুন। এতে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে কাজ গুছিয়ে আনার সবটাই নিজে থেকে শিখে যাবেন। যে চাকরিই করুন, সাংগঠনিক দক্ষতা আপনাকে এগিয়ে রাখবেই।
৩. শরীর চর্চা
শুধু শরীর ভালো রাখার জন্যই শরীরচর্চা করতে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে আপনি অনেক নিয়ন্ত্রিত জীবন কাটাতে পারবেন ছাত্রজীবন থেকেই। সময় মতো খাওয়া ও ঘুম হবে। এতে আপনি অফিসের সময় মেনে কাজ করতে পারবেন। সেই সাথে কাজের প্রতি আগ্রহ আর মনোযোগও আসবে।
৪. পড়ার অভ্যাস
শুধু যে বইয়ের পড়াই কাজে দেবে- এ রকম ভাবলে বিপদে পড়বেন কর্মজীবনে গিয়ে। কারণ পড়তে হবে সব ধরনের বিষয় নিয়েই। তাহলে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। টেক্সট বই তো পড়বেনই, এর পাশাপাশি নিয়মিত পত্রিকার পড়া, গল্প-কবিতা, ইতিহাস— এসব বিষয় নিয়েও লেখাপড়া থাকতে হবে।
৫. ভ্রমণ
যত ঘুরবেন তত আপনার চোখ খুলবে। চোখের দেখা আর বইয়ের পড়া দুটোই আপনাকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে। ছাত্রজীবনে ঘোরার জন্য অনেক সময় পাবেন। কর্মজীবনে প্রবেশ করলে সেভাবে আর সময় পাবেন না। তাই ঘোরাঘুরি করুন। একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ফেলুন প্রথমে। কাছাকাছি জায়গা থেকে ঘুরে আসুন। সেগুলো শেষ হয়ে গেলে পরে দূরের জায়গাগুলোর তালিকা করুন।
৬. বাদ্যযন্ত্র বাজানো
বাদ্যযন্ত্র বাজাতে গেলে অনেক বিষয় একসাথে খেয়াল করতে হয়। প্রত্যেকটা গানের সাথে আলাদা করে বাজানোর মতো করে দক্ষতা থাকতে হয়। মিউজিশিয়ানরা সবসময়ই সবার থেকে আলাদা এবং অনেক বেশি মেধাবী। কোনো বাদ্যযন্ত্র যদি বাজাতে শেখেন তাহলে আপনি সহজেই নিজের কাজগুলো বুঝে নিতে পারবেন কর্মজীবনে। কারণ বাদ্যযন্ত্র বাজাতে গিয়ে আপনাকে অধ্যবসায়ী হতে হবে, যেটা আপনার কাজে লাগবে।
৭. অভিনয় প্রতিভা
মঞ্চে অভিনয় করতে পারেন। কারণ এতে আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে। সেই সঙ্গে অনেক মানুষের সামনে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার অভ্যাসটা হয়ে যাবে। ফলে কোনো ভাইভা বোর্ডেই আপনি কখনো নার্ভাস হবেন না। আর নতুন মানুষদের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারবেন।
৮. খেলাধুলা
খেলাধুলার অভ্যাস থাকলে আপনার মধ্যে একইসঙ্গে সাংগঠনিক দক্ষতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এসব গুণ চলে আসবে। কারণ খেলার মাঠে প্রতিপক্ষকে হারাতে হলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে সবসময়। একইভাবে কর্মক্ষেত্রেও যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তত দ্রুত কাজ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/06/cats6-1.jpg)
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/06/1-197-622x350.jpg)
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/05/1-103-622x350.jpg)
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন