ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির
২৬ জুলাই- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনে সাইফুর রহমান সোহাগ সভাপতি ও জাকির হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তারা আগামী দু’বছর মেয়াদে ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনটির নেতৃত্ব দেবেন। নতুন সভাপতি সোহাগ ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও নতুন সাধারণ সম্পাদক জাকির সহ সম্পাদক ছিলেন।
দু’জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী ও হল শাখা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। সোহাগ ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের এবং জাকির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সোহাগের বাড়ি মাদারীপুর ও জাকিরের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়।
রোববার (২৬ জুলাই) সারা দেশের কাউন্সিলাররা ভোটের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি এ দু’জনকে নির্বাচিত করেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে দিনভর শীর্ষ দুই পদে এ ভোটগ্রহণ করা হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর শেষ পর্যন্ত সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮ জন সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ছাত্রলীগের সারা দেশের ১১১টি ইউনিটের কাউন্সিলাররা শীর্ষ দুই পদে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেন। সব মিলিয়ে ভোটার ছিলেন তিন হাজার ১৩৮ জন। তাদের মধ্যে দুই হাজার ৮১৯ জন দিনভর স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
সকাল দশটায় দ্বিতীয় অধিবেশন শুরুর পর ভোটগ্রহণ শুরু হয় বেলা সাড়ে ১১টায়। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দ্বিতীয় অধিবেশনের পুরোটা সময় ধরে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে বিদায়ী সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের বক্তব্যের পর সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় শুরু হয় ভোট গণনা।
গণনা শেষে রাত আটটা ৯ মিনিটে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুমন কুণ্ডু। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর পর সভাপতি পদে ৮০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছিলেন। বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত প্রার্থী ছিলেন সভাপতি পদে ৬৪ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪২ জন। তবে তাদের বেশিরভাগই ভোট শুরুর আগেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
ভোটগ্রহণ চলাকালেও অনেকে মৌখিক ঘোষণায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর সর্বশেষ হিসেবে সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। নির্বাচন পরিচালনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুমন কুণ্ডু, নির্বাচন কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও শেখ রাসেল। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিদায়ী সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নেতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাবু, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, ইকবালুর রহিম, ইসহাক আলী খান পান্না, মাহফুজুল হায়দার রোটন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল দশটায় দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নির্বাচন কমিশনাররা। শুরুতেই সভাপতি পদে ৬৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪২ জনের মধ্যে ১০৯ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ভোটগ্রহণ চলাকালে আরও ৫ জন সভাপতি পদে এবং ১৫ জন সাধারণ সম্পাদক পদে মৌখিক ঘোষণায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
শনিবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
দেশের মানুষের মনোবাসনা বুঝে স্বচ্ছ রাজনীতির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ীবিস্তারিত পড়ুন
বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
বগুড়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৭ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় গাবতলীর নিহত বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে গিয়ে সংঘর্ষের সময় শহরের ঝাউতলা এলাকায় নিহত হনবিস্তারিত পড়ুন
১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
১৭ বছর পর খুলে দেওয়া হলো বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ওবিস্তারিত পড়ুন