ছোট্ট সোনামণিদের চুল বড় রাখার কৌশল
লম্বা চুল রাখার শখ অনেকেরই। কিন্তু ছোট্ট বয়সে নিজে নিজে তো চুলের যত্ন নেওয়া যায় না। ছোট্ট সোনামণিদের চুল সামলানোর দায় নিতে হয় তাদের মায়েদের। কীভাবে নেওয়া যাবে চুলের যত্ন, তা নিয়ে পরামর্শ দিলেন পারসোনার রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান। তিনি বলেন, সঠিক যত্ন নিলে ছোট মেয়েদের লম্বা চুল রাখা কোনো ঝামেলাই নয়।
শিশুরা যেহেতু স্কুলে থাকে, খেলাধুলা ছোটাছুটি করে তাই চুলে ময়লা, ঘাম হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই এ সময় বেশি খেয়াল রাখা দরকার চুলটা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। সপ্তাহে তিনবার তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। নিয়মিত গোসল করতে হবে। প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার না করলেও সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করা উচিত। যেহেতু এই বয়সী শিশুদের চুল স্বাভাবিকভাবেই ঝলমলে এবং সুন্দর থাকে তাই কন্ডিশনার দেওয়ার মোটেও প্রয়োজন পড়ে না।
তবে মাঝেমধ্যে চুলের জন্য কিছু প্যাক বাসায় তৈরি করে লাগানো যায়। এতে চুলের রুক্ষতা কমবে ও মসৃণ এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে।
যাদের চুল রুক্ষ তারা ডিমের কুসুমের সঙ্গে টকদই মিশিয়ে লাগাতে পারে।
যাদের চুল পাতলা ছোটবেলা থেকে তাদের যত্ন নেওয়া দরকার। ১ টেবিল চামচ আমলকীর পেস্ট ও ১ টেবিল চামচ মেথির গুঁড়া (পানিতে জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে নেওয়া) সপ্তাহে এক দিন তেলের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ম করে চুলে লাগাতে হবে। এতে চুল ঘন হবে।
শিশুদের চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য একটি পাকা কলা, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১টি পেঁয়াজ ভালো করে ব্লেন্ড করে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। আধা ঘণ্টা পর রিঠা ভেজানো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুলে উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং মাথার ঘাম কম হবে।
ছোট শিশুরা যেন লম্বা চুলে স্বস্তি বোধ করে সেদিকে নজর রাখতে হবে। তাদের সুবিধামতো চুল বাঁধতে হবে। যেভাবেই চুল বাঁধা হোক না কেন তারা যেন আরাম বোধ করে। অনেক সময় চুল কষে বাঁধলে মাথাব্যথা করে। তাই হালকা করে দুটি বেণি অথবা উঁচু করে পনিটেইল করে দেওয়া যায়। আর শিশুদের চুলের জন্য রংবেরঙের ব্যান্ড ও ক্লিপ ব্যবহার করা যেতে পারে। ছোট অথবা বড়, চুল যেমনই হোক না কেন, এ সময় চুল আঁচড়াতে হবে নিয়ম করে দিনে অন্তত দুবার। চুল বড় হলে রাতে ঘুমানোর সময় একটি বা দুটি বেণি করে ঘুমানো উচিত, না হলে চুলের আগা ফেটে যায়। মেয়ে বাচ্চারা তাদের চুল ছোট করতে না চাইলেও তিন মাস পরপর আধা ইঞ্চি করে আগা কেটে ফেলা প্রয়োজন।
খাবার ও সঠিক যত্ন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ব্যাপারে কথা হয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তামান্না বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছোট মেয়েরা বড় চুল রাখার ফলে নিজেরা চুলের যত্ন নিতে পারে না। শিশুর চুলে যেন কোনোভাবেই পানি জমে না থাকে এবং ঘামে যেন ভেজা না থাকে। কারণ, এতে শিশুর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। ফলে খুশকি, উকুন অথবা মাথার ত্বকে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। গ্রীষ্মের সময় শিশুর চুলের গোড়ায় ছোট ছোট গোটাও দেখা যেতে পারে ঘামের কারণে। এ ছাড়া মাথায় ধুলাবালি জমে অ্যালার্জি হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। তবে শিশুর চুল পরিষ্কার ও চুলের গোড়া শুকনো রাখা এ দুটি দিক খেয়াল থাকলে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কম।
শিশুদের খাবারে যেন শর্করা, আমিষ এসব থাকে। প্রতিদিন দুধ, ডিম খেতে হবে। খাবার শরীরে পুষ্টি জোগায়। ফলে সৌন্দর্য আসে ভেতর থেকে। তাই শিশুদের পুষ্টিকর খাবারের অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই করতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন