জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে বরিশাল বুলসের বিশাল জয়
তামিম ইকবালের হাফ সেঞ্চুরির জবাবে জোড়া হাফ সেঞ্চুরি করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলেন বরিশাল বুলসের দুই ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফীস এবং দাউয়িদ মালান। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে চিটাগং ভাইকিংসের দেওয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে তেমন কষ্ট করতে হয়নি মুশফিক বাহিনীর। ৭ উইকেটে টানা তৃতীয় ম্যাচ জিতে নিয়েছে বরিশাল।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আজ দিনের প্রথম খেলায় বরিশাল বুলসের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে চিটাগং ভাইকিংস। দুই ওপেনার তামিম-জহুরুল মিলে দারুণ শুরু এনে দেন দলকে। অধিনায়ক তামিম ইকবালের হাফ সেঞ্চুরিতে বিনা উইকেটে শতরানের ওপেনিং জুটি গড়ে দলটি। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পুরণ করেন তামিম ইকবাল।
হাফ সেঞ্চুরির পর তামিম আরও আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেন। অপর প্রান্ত আগলে রেখে তামিমকে সঙ্গ দিয়ে যান আরেক ওপেনার জহরুল ইসলাম। পাওয়ার প্লে শেষে দলীয় রান ছিল ৪৬। সেই রানই ১১.৪ ওভারেই তিন অংকে পৌঁছে। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলীয় ১১৬ রানে বিদায় নেন তামিম ইকবাল। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে বোল্ড হয়ে যাওয়ার আগে ১০ টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকান এই ড্যাশিং ওপেনার। সাজানো ইনিংসটির শেষ পর্যন্ত ‘তামিমীয়’ পরিণতি হয়। এই ইনিংসটি বিপিএলে তামিমের সর্বোচ্চ। এর আগে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল ৬৯। সেইসঙ্গে বিপিএল এবারের আসরের সেরা ওপেনিং জুটির রেকর্ড গড়েছেন তামিম-জহুরুল।
জহুরুল ইসলামও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৪ বলে ৩৬ রান করে আবু হায়দার রনির বলে থিসারা পেরেরা হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর ক্রিজে এসে এনামুল হক বিজয় ডোয়াইন স্মিথের সঙ্গী হন। ভারসাম্যপূর্ণ ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান তারা। তবে ২০তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আল-আমিন হোসেনের বলে নাদিফ চৌধুরীর হাতে ধরা পড়েন ডোয়াইন স্মিথ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে দলের রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৬৩।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানেই শুভাশীস রায়ের শিকারে পরিণত হন ওপেনার জস কব (৬)। এরপর ক্রিজে আসেন গতকালের হাফ সেঞ্চুরিয়ান শাহরিয়ার নাফীস। দাউয়িদ মালানকে সঙ্গে নিয়ে বিপদ কাটিয়ে উঠেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। হাফ সেঞ্চুরির দৌড়ে এগিয়ে যান শাহরিয়ার নাফীস। তিনি ৪৫ বলে টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক পূরণ করেন। এরপর ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন মালান। দুজনে মিলে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন মিরপুর স্টেডিয়ামে।
বল মাটি কামড়ে সীমানার বাইরে পাঠানোর চাইতে আকাশ দিয়ে উড়িয়ে সীমানছাড়া করতেই যেন দাউয়িদ মালানের বেশি আগ্রহ। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে তিনি রানের দিক দিয়ে নাফীসকেও ছাড়িয়ে যান। নাফীস ৭টি চার এবং ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৯ বলে ৬৫ রান করে ইমরানের বলে বোল্ড হয়ে যান। এরপর থিসারা পেরেরা ক্রিজে এসেই পরের বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। জিততে হলে বরিশালের প্রয়োজন তখন ৬ বলে ৭ রান। গতকাল এই বরিশালের বিপক্ষে রাজশাহীর ইনিংসটির স্মৃতি উঁকি দিতে শুরু করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে মুশফিকুর রহিমের সাথে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দাউয়িদ মালান। উইনিং শট নেন মুশফিক।
দিনের অপর খেলায় মুখোমুখি হবে এখন পর্যন্ত জয় না পাওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং সাকিব আল হাসানের তারকাবহুল দল ঢাকা ডায়নামাইটস। ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল নাইন ও সনি সিক্স।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
চেন্নাই টেস্টে ভারতের দেওয়া পাহাড়সম ৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতেবিস্তারিত পড়ুন
খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির
রাওয়ালপিণ্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে ব্যস্ত পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শাহিনবিস্তারিত পড়ুন
বন্যার্তদের সহায়তায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল গঠন
সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যেবিস্তারিত পড়ুন