টমেটোর যে ১০টি গুন আপনাকে অবাক করে দিবে!
ভিটামিন সি ত্বকে কলাজেন তৈরিতে কাজ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের রক্ষায় সাহায্য করে। টমেটো প্রথম চাষ করা হয় আমেরিকা অঞ্চলে। খ্রিস্টের জন্মের ৫০০ বছর আগেই অ্যাজটেক ও অন্যান্য জাতির লোকজন টমেটোর চাষ শুরু করে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফলিক এসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। বোল্ডস্কাই জানিয়েছে কেন আপনার খাদ্যতালিকায় টমেটো রাখা উচিত।
অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে
;টমেটোর মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন এবং ভিটামিন এ; যা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই নিয়মিত টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
হাড়ের জন্য:আশ্চর্যজনক হলেও সত্য টমেটোর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের জন্য ভালো এবং অস্টিওপরোসিস রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আপনার যদি হাড় দুর্বল থাকে, তবে অবশ্যই টমেটো খান। আর এর মধ্যে থাকা লাইকোপিন যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়।
ক্যানসার রোধ করে: টমেটোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যেমন- লাইকোপিন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহের ফ্রি রেডিকেলস দূর করে এবং ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। টমেটোর কারণে ডিএনএ সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
প্রদাহ দূর করে: প্রদাহের একটি কারণ টিএনএফ-আলফা। টমেটোর কারণে শরীরে টিএনএফ-আলফার মাত্রা কমিয়ে রাখে। এতে শরীরে প্রদাহ কমে। কাজেই টমেটোর জুস পান করে শরীরের জ্বালাপোড়া দূর করতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর চোখ ও ত্বক: স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চোখের জন্য টমেটো বেশ উপকারী। টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ- চোখ, ত্বক এবং হাড়কে সুস্থ রাখে। কুচি করে কাটা এক কাপ কাঁচা টমেটো প্রতিদিন খেলে দেহে ভিটামিন এ-র অর্ধেক চাহিদা পূরণ হয়।
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস রোগীদের বেলায় টমেটো দেহের শর্করার মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: টমেটোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি। যেটা শরীরের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। অসুস্থ শরীর থেকে আরোগ্য পেতে টমেটো খেতে পারেন, এটা রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের জন্য: ভিটামিন সি ত্বকে কলাজেন তৈরিতে কাজ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক রক্ষায় সাহায্য করে।
রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে: ব্লাড ক্লোট বা রক্ত জমাট বাঁধা মৃত্যুঝুঁকির কারণ হতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় রক্তের সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়, যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের কারণও হতে পারে। টমেটো এই ক্লোট প্রতিরোধে সাহায্য করে।
স্ট্রোক প্রতিরোধে: টমেটো মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা স্ট্রোক প্রতিরোধ করে। যখন মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়, তখন স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি বংশে এই ধরনের রোগের প্রবণতা থাকে, তবে টমেটো খান।
তবে যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন