শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

টাকা কিভাবে জমাবেন?

মাসে আমাদের কত খরচ হয়? মাসে আমাদের যে আয় হয়, তা কি এই ব্যয়ের চেয়ে খুব কম? এমনও দেখা গেছে, প্রায় একই সামাজিক স্তরে অবস্থান করে এবং প্রায় সমান আয় করেও একজন সাবলীলভাবে জীবনযাপন করছেন, কিছু কিছু সঞ্চয়ও করছেন, আরেকজন পারছেন না, এমনকি প্রায়ই তাকে ধার-কর্জ করতে হচ্ছে।

এমনটি কেন হয়? এর আসল কারণ হলো টাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ। টাকাকে আপনার ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে দেবেন না, বরং আপনিই তার ওপর প্রাধান্য বিস্তার করুন। রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে সেই প্রাধান্য বিস্তারের পথ নিয়ে এই আলোচনা .প্রথমে বাজেট তৈরি করুন সময় নিয়ে চিন্তাভাবনা করে বাজেট তৈরি করুন। আপনি যদি ঠিকমতো বাজেট তৈরি করতে পারেন, তবে সব পরিশ্রমই সার্থক হবে। ভালো একটা বাজেট শুধু আপনাকে অর্থ সঞ্চয়েই সাহায্য করবে না, সঞ্চয়ে আপনার ল্যমাত্রা অর্জনেও সহায়ক হবে। গ্রেট ইস্টার্ন লাইফের খ্যাতনামা অর্থ-পরিকল্পনাবিদ অ্যাঞ্জেলিনা ট্যান বলেন, অনেকেই বলে তারা টাকা সঞ্চয় করতে চায়। এতে শুধু তারাই সফল হয় যারা পরিকল্পনা ও বাজেট তৈরি করে। এটা হলো এক ধরনের আত্মজিজ্ঞাসার বিজ্ঞান। আপনি যদি নিজেকে বুঝতে পারেন, তবে সফল হবেন।

আয় নির্ধারণ করুন :–প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে আপনার মাসিক আয় কত? আপনার বেতন, নিজের বাড়ি থাকলে তা থেকে আয়, গ্রামের বাড়ি থেকে আয়, ওভারটাইম বা এ জাতীয় পরিশ্রম থেকে আয় সব কিছুই হিসাব করুন। এবার কোন কোন খাতে কত টাকা ব্যয় হতে পারে তার হিসাব করুন। তারপর আপনার কাজ হবে সেই মাসে কোন কোন খাত থেকে আপনার কত টাকা এলো এবং আপনার কী কী ব্যয় হলো তার পুরো হিসাব লিখে রাখা, আয় বা ব্যয় যত সামান্যই হোক না কেন, কোনোটাই হিসাব থেকে বাদ দেবেন না। এখানে আপনাকে সত্যিকার অর্থেই সততার পরিচয় দিতে হবে। নির্ভুল বাজেট তৈরি ও বাস্তবায়ন নির্ভর করে নিখুঁত হিসাবের ওপর।

এবার আপনার সব ব্যয় তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করুন :–
নির্ধারিত ব্যয়, আরোপিত ব্যয় ও বাড়তি ব্যয়। যেসব ব্যয় মাসে মাসে কম-বেশি হয় না সেগুলোকে নির্ধারিত ব্যয়ের খাতে ফেলুন। বাড়ি ভাড়া, সন্তানদের স্কুলের বেতন, কোচিং ফি ইত্যাদি। বীমা, সন্তানদের স্কুলের বার্ষিক ফি ইত্যাদির মোট পরিমাণকে ১২ দিয়ে ভাগ করে মাসিক ব্যয়ে ফেলুন। আরোপিত ব্যয়ের মধ্যে খাবার ও বাজার খরচ, বিদ্যুৎ, পানি, ফোন ইত্যাদি বিল, যাতায়াত খরচ, সন্তানদের টিফিন ইত্যাদি রাখুন। বাড়তি ব্যয়ের মধ্যে রাখুন জামাকাপড় কেনা, বিনোদন, সন্তানদের স্কুলের বই-খাতা কেনা, চিকিৎসা ব্যয় ইত্যাদি।

এক বছরের বেড়াতে যাওয়া, বিশেষ দিনগুলোতে উপহার কেনা ইত্যাদিতে মোট যত খরচ হয় তাকে ১২ দিয়ে ভাগ করে মাসে আপনার গড় খরচ বের করুন।
একবার যদি আপনি সবকিছু লিখে ফেলতে পারেন, তবে সহজেই বুঝতে পারবেন, আপনার টাকা কিভাবে বের হয়ে যাচ্ছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় করবেন কম
আপনি কিভাবে সঞ্চয় করবেন সেটা কোনো গোপন বিষয় নয়। এশিয়ার মানি সেভি কলামিস্ট গ্যাব্রিয়েল ইয়াপ বলেন, আর্থিক ব্যবস্থাপনার মূলকথাই হচ্ছে আপনি যত আয় করেন, তার চেয়ে কম ব্যয় করবেন।

আপনার ব্যয়ের দিকে কঠোরভাবে তাকান। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলে আপনাকে অবশ্যই ব্যয় কমাতে হবে। প্রথমে তাকান বাড়তি ব্যয়ের দিকে। সাধারণত এখানেই কাঁচি চালানো সহজ। আপনি হয়তো সপ্তাহে দু’দিনের বদলে একদিন হোটেলে খেতে পারেন। তার পর দেখুন আরোপিত খরচের দিকে। আপনি হয়তো ট্যাক্সিতে না চড়ে বাস বা ট্রেনে যেতে পারেন। মোবাইলে কথা বলা কি একটু কমাতে পারেন না? আপনার নির্ধারিত ব্যয় যদি মাসিক আয়ের চেয়ে বেশি হয়, তবে আপনাকে জীবনযাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। হয়তো আপনাকে আরেকটু ছোট বাড়িতে উঠতে হবে। তা না হলে আপনি সঞ্চয় করতে পারবেন না।

৫০-৩০-২০ পরিকল্পনা:–আপনার কত খরচ করা উচিত কিংবা কত সঞ্চয় করা উচিত? এই প্রশ্নের জবাব অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। আপনি একা না কি বিবাহিত, সন্তান কত জন, আপনার পিতা-মাতা বেঁচে থাকলে তাদের কী সহায়তা করতে হয়, তাদের বয়স কত ইত্যাদি প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, আপনার উচিত সবকিছু বাদ দিয়ে আপনার মোট আয়ের ৫ থেকে ১০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত। বেশি হলে ভালো, তবে ন্যূনতমটুকু থাকতেই হবে। নিম্ন মধ্যবিত্তদের থেকে ওপরের দিকে এখন আর চালের ব্যয় খুব বেশি নয়। সাধারণত বড় খরচ হয় বাড়ি ভাড়া আর সন্তানদের পড়াশোনায়। হাভার্ডের অধ্যাপক এলিজাবেথের মতে, আপনার ৫০-৩০-২০ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত। নির্ধারিত ও আরোপিত ব্যয় খাতে মোট বরাদ্দ রাখুন আপনার আয়ের ৫০ শতাংশ। বাড়তি ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ রাখুন আপনার আয়ের ৩০ শতাংশ। বাকি ২০ শতাংশ সঞ্চয় করুন।
এটা বাস্তবায়ন কিন্তু খুব সহজ কাজ নয়। কিন্তু আপনি যদি আজ কাজটি শুরু করে দেন, চমৎকার সাফল্য পাবেন।

সঞ্চয় ও বিনিয়োগ:–সব পাওনা পরিশোধের পর সঞ্চয়ের জন্য আপনার কাছে সামান্য টাকা অবশিষ্ট থাকতে পারে। তবে যতটুকুই হোক না কেন, কাজটি শুরু করা দরকার। শুধু জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য নয়, কিছু বড় বড় স্বপ্ন পূরণ, একটা গাড়ি কেনা, বাড়ির মালিক হওয়া, সন্তানদের বিদেশে বা ভালো প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিা দেয়া, আপনার নিজের অবসর জীবনকে স্বস্তিতে রাখা ইত্যাদির জন্য সঞ্চয় খুবই দরকারি। সঞ্চয় সারা জীবনের অভ্যাসে পরিণত হওয়া উচিত। অর্থ-পরিকল্পনাবিদ অ্যাঞ্জেলিনা ট্যান বলেন, আপনার যদি পরিকল্পনা থাকে, তবে সঞ্চয়ই সব ব্যয়ের চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে। আপনি যদি আপনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেন, তবে আর্থিক ব্যাপারে শেষ জীবনে স্বাধীনতা পাবেন।

নিজের জন্য আগে ব্যয় করুন:–সফল সঞ্চয়ের রহস্য হলো প্রথমে নিজের জন্য ব্যয় করা। ট্যান বলেন, সাধারণত আমরা অন্য সব ব্যয় আগে করি, সব শেষে আসে সঞ্চয়ের বিষয়টি। কেউ যদি তার ল্েয পৌঁছতে চায়, তবে তার উচিত ভিন্ন কিছু ভাবা। একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং আপনি বেতন পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করুন। এর ফলে আপনি সেই টাকাটা দেখতে পাবেন না, আবার সেটা হারিয়েও যাবে না। সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন আর এই শৃঙ্খলা মেনে চলুন।

জরুরি তহবিল:–চিকিৎসা ব্যয় বা এ জাতীয় অপ্রত্যাশিত অথচ অনিবার্য ব্যয় মেটানোর জন্য একটা তহবিল গড়ে তুলুন। এটা যদি করতে পারেন, তবে হঠাৎ কোনো কারণে আপনার আয় কমে গেলেও কিছু সময়ের জন্য হলেও আপনার চলতে খুব সমস্যা হবে না। আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টের সাথে এটা রাখতে পারেন, তবে এখান থেকে সহজেই আপনি যাতে টাকাটা তুলতে পারেন, মূল সঞ্চয়ে কোনো হেরফের না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়:–জরুরি তহবিল সৃষ্টির পর এবার আপনি অবসরগ্রহণকালীনসহ মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ল্য বাস্তবায়নে নামুন। মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী তহবিল ব্যাংকে রাখার সময় সবচেয়ে বেশি লাভ পাওয়া যায় কোন খাতে সেটা জেনে নেবেন। বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক হিসাব, বীমা, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার ক্রয় ইত্যাদি থেকে আপনার দৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি লাভজনক খাতটিই বেছে নেবেন।

বিনিয়োগ কেন?:–আপনার সঞ্চয়কে আপনার জন্য কাজ করতে দিন। টাকা যদি সেভিংস অ্যাকাউন্টে চুপচাপ বসে থাকে, তবে কয়েক বছর পর সে বাড়তি টাকা আপনি পাবেন তা সত্যিকার অর্থে মুদ্রাস্ফীতি খেয়ে ফেলবে। বিশেষ করে এশিয়ার মতো উন্নয়নশীল মহাদেশে মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেশি। উন্নত দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি যেখানে দুইয়ের মতো, সেখানে এশিয়ার দেশগুলোতে অনেক সময় দুই অঙ্কেও পৌঁছে যায়। এতে করে আপনার টাকার মূল্য কমে যায়।
বিনিয়োগের সাধারণ ত্রেগুলো হচ্ছে রিয়েল এস্টেট, স্টক ও বন্ড। রিয়েল এস্টেটের দিকে গেলে আপনাকে শুরুই করতে হবে বড় অঙ্ক দিয়ে, সেখানে ডাউন পেমেন্টের পরিমাণও কম নয়। আপনি যদি আপনার আয়ের ব্যাপারে আস্থাশীল হন, তবে কোনো কিছু বন্ধক রেখেও এতে নামতে পারেন।

স্টক ও বন্ডে শুরুতে পুঁজি লাগে কম। আপনি যে কোম্পানির স্টক বা বন্ড কিনবেন, তাদের থেকে পাওয়া ডিভিডেন্ড পেতে পারেন বা শেয়ারের দাম বাড়লেও আপনি লাভবান হবেন। তবে মনে রাখবেন, সেই কোম্পানি ডুবে গেলে আপনি তিগ্রস্ত হবেন। নিজেকে শিক্ষিত করুন রাতারাতি আপনি সফল বিনিয়োগকারী হতে পারবেন না। বিনিয়োগের বিষয়টি শিখতে থাকুন। ইয়াপ জানান, আপনার বয়স যদি খুব বেশি না হয়ে থাকে, তবে নিজেকে শিক্ষিত করুন। নিজেই তখন সুবিধামতো বিনিয়োগ করতে পারবেন।

কিছু পরামর্শ :

অনেক ধরনের সঞ্চয়ী হিসাব আছে। আপনার জন্য সুবিধাজনক ও সবচেয়ে বেশি যেটি লাভজনক, সেটি গ্রহণ করুন।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে হিসাবি হবেন। বোকার মতো তাদের ফাঁদে পা দেবেন না।
সঞ্চয় সম্ভব হলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে করুন। তা হলে আপনি যত অসুবিধাতেই থাকুন না কেন, সঞ্চয় হয়ে যাবে।
ঋণ গ্রহণের সময় সুদের দিকে ল রাখবেন।
সঞ্চয় করতে কখনো ভয় পাবেন না। প্রথম কাজটি আজই করুন।]

ক্রেডিট কার্ড:-এখনকার দিনে ক্রেডিট কার্ড অপরিহার্য উপকরণে পরিণত হয়েছে। টাকা-পয়সা সাথে করে নেয়াটা এখন আর সুবিধাজনক নয়। অনেকের পে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া চলেও না। তবে সোসাইটি অব ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রফেশনালসের সাবেক সভাপতি লিয়ন জে হিয়ানের মতে, এটা যদি আপনি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেন তো ঠিক আছে। কিন্তু আপনি যদি সুদ দিতে না পারেন কিংবা ক্রেডিট কার্ড বীমা না থাকে, তবে আপনি দুঃস্বপ্নের বেড়াজালে বন্দী হবেন।

আপনাকে ক্রেডিট কার্ডের পাতা ফাঁদ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলো চায় না আপনি প্রতি মাসেই পুরো পাওনা পরিশোধ করুন। আপনি যদি সেটা করতে থাকেন, তবে তাদের আর কিছু লাভ থাকে না। মাসে মাসে আপনি যে বাড়তি কিছু বকেয়া ফেলে রাখেন, সেটার সুদ থেকেই তাদের লাভ হয়। তাদের এই ফাঁদ থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তাদের আরেকটি ফাঁদ হলো ন্যূনতম পরিশোধের ফাঁদ। শুনতে খুবই ভালো শোনায়, কিন্তু এটা একটা বাজে ধারণা। বেশির ভাগ সময়, এতে শুধু বকেয়া সুদটুকুই পরিশোধ হয়। অনেক সময় আপনার ঋণের কিছু অংশ পরিশোধ করা হলে আপনার ন্যূনতম পেমেন্ট আরো কমিয়ে দেয়া হয়। এটাও শুনতে ভালো লাগে, বিশেষ করে যদি আপনার হাত টানাটানিতে থাকে। কিন্তু এতে করে আপনাকে অনেক বেশি সময় ঋণের ঘানি টানতে হবে আর সুদও গুনতে হবে অনেক বেশি। সিঙ্গাপুরের এক হিসাব অনুযায়ী, আপনি যদি ৬০০ ডলার ক্রেডিট করেন, ন্যূনতম হারে তা পরিশোধে সময় লাগবে ১৪ মাস। এই সময়ে আপনাকে সুদ দিতে হবে ১০০ ডলার।
তা-ই আপনাকে ক্রেডিট কার্ডের ঋণের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কিভাবে? প্রথমেই আপনি যতটুকু পারেন পরিশোধ করুন। আপনার যদি একাধিক ক্রেডিট কার্ড থাকে, তবে যেটাতে সুদের হার সবচেয়ে বেশি সেটাতে সবচেয়ে বেশি করে আর যেটাতে কম সেটাতে কম করে পরিশোধ করুন। এভাবে প্রতিটি কার্ডের ঋণ শোধ করুন। সবগুলো কার্ডের সুদের হার সমান হলে যেটাতে কম ঋণ আছে, সেটা আগে মিটিয়ে ফেলুন।

অবসর পরিকল্পনা
:-কখনো মনে করবেন না আপনার অবসরকালীন পরিকল্পনা করার সময় এখনো আসেনি। যত আগে এটা শুরু করবেন, তত আগে আপনি সোনালি জীবনে প্রবেশ করবেন। বন্ধু, আত্মীয়, অবসরভোগীদের সাথে আলোচনা করে পরিকল্পনা করুন এবং কাজটি আজই শুরু করুন।
খুব ছোট করে হলেও কাজটি শুরু করুন এবং ল্য অর্জনে মনোনিবেশন করুন। অবসর গ্রহণের পর কি আপনি কাজকর্ম সব একেবারেই ছেড়ে দেবেন, নাকি পার্টটাইম কোনো কাজ করবেন? কেমন ধরনের জীবন চান আপনি? এসবও মাথায় রাখতে হবে। আরেকটা বিষয় মনে রাখবেন, সেই সময় আপনার চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। অন্য কারো ওপর নির্ভরশীল না থেকে এখন থেকে নিজের ব্যবস্থা নিজেই করে রাখুন। হ্যাঁ, এটা ঠিক, আপনি কত বছর বাঁচবেন তা কেউ-ই জানে না। তবে এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নত হয়েছে, গড় আয়ু বেড়ে গেছে। তা-ই শেষ বয়সে অর্থকষ্টে যাতে না পড়তে হয়, সেদিকে ল রাখতেই হবে।

পরিকল্পনাটাই বড় কথা:-আপনাকে টাকা সঞ্চয় করতে হবে এবং সঞ্চিত টাকা ভালোভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। শুধু এক জায়গায় বিনিয়োগ করে নিশ্চিত থাকবেন না। বৈচিত্র্য আনতে হবে। বাস্তববাদী হয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের ঝুঁকির কথা মাথায় রাখতে হবে। আপনার কার্যকর পরিকল্পনাই আপনাকে সফলতায় নিয়ে যাবে। এটা হয়তো রকেট বিজ্ঞান নয়, কিন্তু আপনাকে চিন্তাভাবনা করতে হবে, অনেক কিছু জানতে হবে, প্রয়োগ করতে হবে। শুরু করুন অল্প দিয়ে। আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকবে আর ল্যমাত্রা বাড়াতে থাকুন। বসে থাকবেন না, আজই কাজ শুরু করুন এবং আপনি আপনার আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করুন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?

বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন

ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ

চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন

  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বাসি দই ও পান্তা ভাতের আশ্চর্যজনক উপকারিতা
  • স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হলো লাউ
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়