শনিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘ডাক্তার’ বানাচ্ছে ভুয়ো সংস্থা, জানেন না স্বাস্থ্যসচিব

স্বল্পমেয়াদি কোর্স। নিজস্ব কায়দায় তৈরি পাঠ্যক্রম। নাম কা ওয়াস্তে পরীক্ষা। ‘পাশ’ করলেই হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে শংসাপত্র। তার পরেই ‘রেজিস্টার্ড মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার’ (আরএমপি) চেম্বার খুলে বসে পড়ছেন। চিকিৎসার জন্য লোকজন তাঁর কাছে ভিড়ও জমাচ্ছেন।

কিন্তু ডাক্তার তৈরি করছে যারা, সেই সংস্থাটাই ভুয়ো। অভিযোগ এমনটাই। স্বাস্থ্য ভবনের একাংশের পর্যবেক্ষণ, গ্রামাঞ্চলের ‘হাতুড়ে’ চিকিৎসকেরা নিজেদের কখনও ‘ডিগ্রিধারী’ বলে দাবি করেন না।

কিন্তু ভুয়ো সংস্থার আরএমপি ডিগ্রিধারীরা সেই দাবি করে রীতিমতো লেটারহেড ছাপিয়ে চেম্বার খুলে চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। প্রশ্ন উঠেছে, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে এমন রেজিস্ট্রেশনহীন সংস্থার রমরমা ব্যবসা চালু থাকলেও স্বাস্থ্য ভবন হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে কেন?

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু তার জন্য স্বাস্থ্যসচিবকে তাঁদের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে। তা হলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কিন্তু স্বাস্থ্যসচিব মলয় দে এমন ভুয়ো ডাক্তার তৈরির সংস্থার অস্তিত্বই মানতে নারাজ! তাঁর কথায়, ‘‘এমন কিছু আছে বলে আমাদের জানা নেই!’’ অথচ গত ২১ জুলাই কল্যাণীতে চলা এমন একটি সংস্থার কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। আর স্বাস্থ্যসচিব তা জানেন না!

কী সেই অভিযোগ?

সংস্থার নাম ‘সেন্ট্রাল যাদবপুর ট্রেনিং সোসাইটি ফর মেডিক্যাল রিসার্চ।’ তাদের শংসাপত্রে যাদবপুর ও বাগুইআটির দু’টি ঠিকানা থাকলেও ক্লাস হয় কল্যাণীতে। দাবি, তারা রাজ্য সরকারের নথিভুক্ত সংস্থা। সেখানে কারা পড়ান? সূত্রের খবর, কল্যাণীর জেএনএম মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের একদল পড়ুয়াই হবু ডাক্তার তৈরির এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘শিক্ষক’-এর ভূমিকায় রয়েছেন। সংস্থার কর্ণধার দেবাংশু মজুমদারের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘এমবিবিএসের ছাত্ররা নিজেরা যা পড়ছেন, সেটাই এখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন। ওঁদের ক্লাস-পিছু ২০০ টাকা দিয়ে দিচ্ছি।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘স্বীকার করছি আমাদের সংস্থার বৈধতা নেই। এ জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিচ্ছি। যাদের এত দিন আরএমপি সার্টিফিকেট দিয়েছি, স্বাস্থ্য দফতর চাইলে সব ফিরিয়ে নেব।’’ তিনি জানান, বিভিন্ন জেলায় তাঁদের এজেন্ট রয়েছে। তাঁরাই পড়ুয়া জোগার করেন। সাড়ে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে আরএমপি শংসাপত্র দেওয়া হয়। এর জন্য সব সময় ক্লাস করারও দরকার নেই।

যাদবপুরের মতো বারাসতের হেলাবটতলা এলাকায় ‘অল্টারনেটিভ মেডিক্যাল কাউন্সিল, কলকাতা’ নামে একটি সংস্থা ‘আরএমপি’ কোর্স পড়াচ্ছে। সংস্থার দাবি, তারা সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন আইনে স্বীকৃত। এরা আবার ৬-৭টি সংস্থাকে নিজেদের আওতায় কোর্স চালানোর অনুমতি দিয়েছে। এরা যে ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা দেয়, সেটা শ্রীলঙ্কার একটি কমপ্লিমেন্টারি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বলে দাবি করে। কিন্তু এই ডিগ্রির মূল্য কী? সংস্থার সচিব রমেশ বৈদ্যের জবাব, ‘‘এটা নিয়েই তো যত বিতর্ক। কেউ আমাদের মানে, কেউ মানে না।’’

গড়িয়ার কানুনগো পার্কের ঠিকানায় ‘ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সেস কাউন্সিল অব অল্টারনেটিভ সিস্টেম অফ মেডিসিন’ নামে একটি সংস্থা ‘আরএমপি’ পড়ায়। তাদের ক্লাস হয় লেকটাউনে। সংস্থার তরফে তাপস বিশ্বাসের দাবি, ‘‘সবাই এই ভাবেই চালাচ্ছে, আমরাও তাই। আমরা ডাক্তারিতে নিজস্ব ডিগ্রি-ডিপ্লোমা দিই। আমাদের উপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই।’’ কলকাতার বো স্ট্রিটে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব অল্টারনেটিভ মেডিসিন’ নামে আর একটি সংস্থা ‘আরএমপি’ পড়ানোর কথা ঘোষণা করলেও তাদের কর্তা প্রকাশচন্দ্র দাস তা অস্বীকার করেছেন।

ভুয়ো ডাক্তার তৈরির এই সংস্থাগুলির রমরমা দেখেও কেন কোনও ব্যবস্থা নেয় না স্বাস্থ্য দফতর? রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফাই, ‘‘বিষয়টা স্বাস্থ্য দফতরের এক্তিয়ারে পড়ে না। আমাদের কাছে অভিযোগ এলে সেটা পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দিই।’’ একই কথা বলেছেন রাজ্যের আয়ুষ মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ড্রাগ কন্ট্রোলার চিন্তামণি ঘোষ।

স্বাস্থ্য দফতর ও সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁদের বক্তব্য, এমবিবিএস পাশ করার পরে গ্রামে যেতে এখনও ডাক্তারদের একটি বড় অংশের প্রবল অনীহা রয়েছে। সরকারের তরফে অনেক বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেও অবস্থার কোনও বদল ঘটেনি। এই অবস্থায় বিশেষত গ্রামাঞ্চলে হাতুড়ে এবং আরএমপি ডাক্তারাই রোগীদের প্রধান ভরসা। তাঁরা

আছেন বলেই গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো টিকে রয়েছে। এটা সরকার ভাল করেই জানে, বোঝে। তাই রেজিস্ট্রিহীন ভুয়ো সংস্থার ডাক্তার তৈরির রমরমা ব্যবসার কথা জেনেও স্বাস্থ্য দফতর চোখ বুজে থাকে। কারণ তারা জানে, এদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে গেলে সরকার নিজেই বিপাকে পড়বে। তাই ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’ চলছে!

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ