শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশে শিশু-মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো ডায়রিয়া। পায়খানায় শুধু মল ও পানি থাকলে তাকে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা এবং পাতলা পায়খানার সাথে রক্ত গেলে তাকে আমাশয় বলে। অধিকাংশ ডায়রিয়ায় ওষুধ প্রয়োজন পড়ে না। শুধু খাবার স্যালাইনেই সারে। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে গিয়ে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়। ডায়রিয়ার সঙ্গে কখনো কখনো জ্বর, বমি কিংবা পেটের ব্যথাও হতে পারে।
ডায়রিয়ার কারণ

দূষিত খাবার
দূষিত পানি
রোগ জীবানু
কৃমি

ডায়রিয়া হলে করনীয়
শিশুর ডায়রিয়া হলে ঘরে বসে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। যেমন:

বার বার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
বেশি করে তরল খাবার যেমন-ভাতের মাড়, চিড়ার পানি ডাবের পানি খাওয়াতে হবে।
আর্সেনিক মুক্ত নিরাপদ টিউবওয়েলের পানি খাওয়াতে হবে। টিউবওয়ালের পানি পাওয়া না গেলে পুকুর বা নদীর পানি চুলায় চড়িয়ে বুদবুদ ওঠা থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে খাওয়াতে হবে।
শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। অল্প অল্প করে বার বার খাওয়াতে হবে।
যে সব শিশু মায়ের দুধ খায় তাদের ঘনঘন মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ মোতাবেক জিন্ক খাওয়াতে হবে।

স্যালাইন বানানো ও খাওয়ার নিয়ম

পুরো এক প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে একবারেই ঢেলে দিতে হবে
স্যালাইন পানিতে পুরোপুরি না মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে
২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য প্রতি বার পায়খানার পর ১০-২০ চা চামচ পরিমাণ স্যালাইন খাওয়াতে হবে
২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য প্রতি বার পাতলা পায়খানার পর ২০-৪০ চা চামচ পরিমান স্যালাইন খাওয়াতে হবে বা যতটুকু খেতে চায় সেই পরিমাণ খাওয়াতে হবে।
প্যাকেট থেকে বানানো স্যালাইন ১২ ঘন্টা পর্যন্ত খাওয়ানো যায়।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে

যদি শিশু নেতিয়ে পড়ে বা অজ্ঞান হয়ে যায়।
যদি খিঁচুনী হয়।
যদি শিশুর বেশী বেশী পায়খানা বা বমি হয়।
যদি শিশু খাবার খেতে না পারে।
শিশুর যদি চোখ বসে যায়।
শিশুর পাতলা পায়খানায় যদি রক্ত থাকে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয়

৬ মাসের কম বয়সী শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
যদি সম্ভব হয় তবে শিশুকে অসুস্থ লোক বা রোগী থেকে দূরে রাখতে হবে।
খাবার তৈরীর আগে, শিশুকে খাওয়াবার পূর্বে এবং পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
সব সময় সিদ্ধ ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।
বোতলের দুধ খাওয়ানোর থেকে বিরত থাকতে হবে।
ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় চামচ ব্যবহার করতে হবে।
জলাবদ্ধ পায়খানা ব্যবহার করতে হবে।
শিশুকে হামের টিকা দিতে হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন

কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন

জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন

  • ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
  • কোন খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহজ করবে : খাদ্য সচিব
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বিশ্বের শক্তিশালী এমআরআই মেশিনে মস্তিষ্কের প্রথম চিত্র প্রকাশ
  • H5N1 ভাইরাস ছড়াচ্ছে, কোভিডের চাইতে 100 গুণ বেশি বিপজ্জনক
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?