‘তথ্য-প্রযুক্তির সুযোগ বাড়লে দেশ এগিয়ে যাবে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে দেশের ৯৯ শতাংশ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত।
দেশে চালু করা হয়েছে ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক। আর অচিরেই ৪-জি প্রযুক্তিও চালু করা হবে। এভাবে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ যত বাড়বে দেশ তত এগিয়ে যাবে। সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপন ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রেখে যাওয়া অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলে আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর বাস্তবায়ন শুরু করি।
আমরা পৃথকভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করি। দেশের তথ্য-প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে একত্রিত করে একক মন্ত্রণালয় গঠন করি। এরই ধারাবাহিকতায় টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে আমরা ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় মোবাইল ও ল্যান্ডফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল পাঁচ কোটি; বর্তমানে তা বেড়ে দাঁডিয়েছে প্রায় সাড়ে বারো কোটিতে। জনগণ শুধু ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার মোবাইল সিম ব্যবহার করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ছিলো মাত্র ৪০ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। গত সাড়ে ছয় বছরে ইন্টারনেট ডেনসিটি ২.৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ২৭.৪২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। টেলিডেনসিটি আড়াই গুণ বেড়ে এখন ৮০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আজ দেশের ৯৯ শতাংশ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় । দেশে ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। ৪-জি প্রযুক্তিও অচিরেই চালু করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট সহজলভ্য করার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য আমরা ইন্টানেটের মূল্য কমিয়েছি। প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে সর্বনিম্ন ৬১২ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের আইসিটি বিভাগ একটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর এবং ফেসবুকের সহায়তা নিয়ে বিনা পয়সায় ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে। একটি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ এমপি, বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মাস্ক-স্যানিটাইজার-দূরত্বে কি এইচএমপিভি ঠেকানো সম্ভব?
চীনের উত্তর অঞ্চলে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্ত মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন
‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ কিছুটা সময় লাগতে পারে, ধৈর্য ধরার আহ্বান
শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমবিস্তারিত পড়ুন
শফিকুল আলম: ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবাই নতুন বই পাবে
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সবার হাতে নতুন বই দেওয়া হবেবিস্তারিত পড়ুন