তনু হত্যা ভয়ঙ্কর রকমের অমানবিক : রিজভী

বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যার বিচার দাবি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এ দেশে এই হত্যাকাণ্ড ভয়ংকর রকমের অমানবিক। আর যাতে কোনো মায়ের বুক খালি না হয়। তনুর মতো আর যাতে কোনো মেয়ের জীবন চলে না যায়। যারা প্রকৃত দোষী, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
আজ দুপুরে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ প্রধান বিচারিক হাকিম আদালতে বিস্ফোরক দ্রব্য ও হত্যা মামলার হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সোহাগী জাহান তনু কীভাবে লাঞ্ছিত হলো, তাঁকে জীবন দিতে হলো। এটি হচ্ছে এই অবৈধ সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ড, যা দেশব্যাপী বিরাজমান, পুরোপুরি অরাজকতার অংশ। এখানে একজন মানুষের নিরাপত্তা নেই। তার জীবনযাপনের নিরাপত্তা নেই। তাঁর সন্তানের নিরাপত্তা নেই। একজন তরুণীর স্বাভাবিক চলাচলের নিরাপত্তা নেই।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই তনু হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা সারা দেশের পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারছি। যতদিন এই সরকার তাঁর অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকবে, ততদিন এ দেশের মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা থাকবে না। সে ক্ষেত্রে একমাত্র শান্তিপূর্ণ, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এবং হাসিনার নেতৃত্ববিহীন তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে ও জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা থাকলে আজ পথে-ঘাটে এভাবে মানুষ মরত না। বিচারবহির্ভূত হত্যা হতো না, গুম হতো না এবং মুক্তিপণ আদায়ের সংস্কৃতি চালু হতো না। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থাকত।’
রিজভী আরো বলেন, কারোর জবাবদিহিতা নেই। ছাত্রলীগ, যুবলীগ অঙ্গসংগঠনগুলো আজকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা জানে যে তারা অপকর্ম করলে কারোর জীবন কেড়ে নিলে তাদের জবাবদিহিতা করতে হবে না। তাকে আইনের আওতার মধ্যে আসতে হবে না। এ ধরনের একটি সামগ্রিক অরাজকতার পরিস্থিতি দেশে বিরাজমান। এখান থেকে উত্তরণের পথ হচ্ছে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা। গণতন্ত্রের অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে নির্বাচন। সেই নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। কুমিল্লায় তনু হত্যার ঘটনায় শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের বিবেক কেঁদে উঠেছে।
এদিকে আদালতে হাজিরা শেষে রিজভীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইয়ুমুল হক রিংকু জানান, আদালত তাঁকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তিনি এখন আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেবেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৩টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সাতজন নিহত হন। এ ছাড়া বাসের চালকসহ আরো ২৫ জন আহত হয়। এই ঘটনায় কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানায় ওই রাতেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, রুহুল কবির রিজভী, শওকত মাহমুদ, সালাউদ্দিন আহমেদ, এম কে আনোয়ার এই ছয়জনকে হুকুমের আসামি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি করে ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ২৫ জন অজ্ঞাতের নামে হত্যা মামলা হয়।
এই মামলায় আজ বেলা সাড়ে ১২টায় কুমিল্লা জ্যেষ্ঠ প্রধান বিচারিক হাকিম ৫ নং আমলি আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রাজিয়া সুলতানার কোর্টে হাজিরা দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

জেনে নিন শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তিত নাম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকাবিস্তারিত পড়ুন

বিএনপি নেতাদের অতিথি না করায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানেবিস্তারিত পড়ুন

নতুন ভিসা পাওয়া সৌদি-মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য বিমানের বিশেষ ভাড়া
যারা প্রথমবার সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় কাজ করতে যাবেন তাদেরবিস্তারিত পড়ুন