শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

তাদের পেশাই যখন যৌনতা

পথের পাশে বেড়ে ওঠা মানুষের জীবন পথের মতোই বিচিত্র—কখনো বন্ধুর, কখনো মসৃণ। এসব মানুষের পরিচয়, জাতি, বর্ণ বা পেশার হদিসও ঠিক থাকে না। জীবন তাদের স্বপ্নহীন নয়, তবু হাতের কাছে পাওয়া পচা ফলটিই যেন বড় পাওয়া। এমন মানুষগুলোর যদি লোকলজ্জার বালাই না থাকে, যৌনতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে বাধা না থাকে তবে হয়তো তাদের বেদিয়াই বলা চলে।

ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়েছে, এই বেদিয়াদের বাস ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ভারতপুর জেলার মালাহা গ্রামে। তারা বাংলার বেদে সম্প্রদায়ের মতো নৌকায় নৌকায় ঘুরে না। সমতলে পথের বাসে বসত গাড়ে।

যদি কোনো বেদিয়া নারী পথচারীকে ডেকে বলে, ‘বসবেন নাকি?’, তবে তার অর্থ দাঁড়ায় ভিন্ন কিছু। আসলে এসব বেদিয়া নারীদের একটি বড় অংশ জীবনে যৌনতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। অবশ্য অনেক বেদিয়া নারী কিশোর বয়সে বিয়ে থা করে গ্রাম ছেড়ে দূরে গিয়ে বাস করে, সংসার সাজায়।

এমন এক বেদিয়া নারী মঞ্জু ঠাকুর। বয়স ত্রিশের কোঠায়। তিনি জানান, তাঁদের সম্প্রদায়ের লোকেদের বাস রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের মাঝামাঝি এলাকায়। তাঁদের সমাজে যৌনকর্মী হওয়াতে বাধা নেই। কেউ হতে চাইলে, সমাজ তাঁকে বাধা দেয় না। আসলে সমাজ যখন কারও দায় নিতে পারবে না, তখন তো তার জীবনযাপনে বাধা দিতে পারে না!

মঞ্জু বলেন, ‘মাত্র ১০-১২ বছর বয়সে আমার বাবা আমাকে ধলপুরে এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়িতে যৌনকর্মী হিসেবে পাঠান।’ স্মৃতি হাতড়ে মঞ্জু বলেন, কুমারীত্ব হারানোর বদলে তিনি পেয়েছিলেন ১০ হাজার টাকা। তিনি বলতে থাকেন, ‘সে ২০ বছর আগের কথা। সে সময় একটা মেয়ের যা পাওয়া সম্ভব তার সর্বোচ্চটা পেয়েছিলাম। এখনো জয়পুরের ধনী কাস্টমারেরা (যে পুরুষেরা যৌনকর্মীদের কাছে যান) আমার খোঁজে এখানে আসেন।’

এখন মালাহা গ্রামের শ খানেকের মতো নারী যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেন। পেশার অংশ হিসেবে তাঁদের অদ্ভুত সাজগোজ করতে হয়। মুখে পুরু করে মেকআপ, ঠোঁটে উজ্জ্বল বর্ণের লিপস্টিক, আঁটোসাঁটো পোশাক পরে ধনী খদ্দেরদের জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করতে হয়।

যদিও মঞ্জু বলেন, ‘ধান্দা (ব্যবসা) ভালোই চলছে’ তবু তাঁকে অনেক বড় পরিবার চালানোর দায় বইতে হয়। বোন নিশা (২৫), রেশমা (২৪), খালা চাঁদনি, পাঁচ ভাই ও তাদের স্ত্রী-পুত্রসহ বিরাট এক পরিবার মঞ্জুর। তাঁর পঞ্চাশোর্ধ্ব মা সরোজ বলেন, ‘আমি ওদের বিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা বিয়ে-সংসার করতেই চাইল না।’

অনেকেই মনে করেন, বেদিয়াদের জোর করে এ পেশায় ঢোকানো হয়। অথচ এ কথা সত্য নয়। বিজেন্দর (৩৭) নামের এক পুরুষ বেদিয়া এসব অভিযোগের বিরোধিতা করেন। তাঁর ছয় বোন ও দুই খালা যৌন পেশার সঙ্গে জড়িত। বিজেন্দর বলেন, ‘তারা বিয়ে করবে না কি যৌনতাকে পেশা হিসেবে নেবে, সে মতামত আগে নেওয়া হয়েছে।’

নিশা বলেন, ‘বিয়ে করলে সর্বনাশ। বিয়ে করা মানে গাধি হয়ে যাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, বিয়ের অর্থ হলো পুরুষদের জন্য রান্নাবান্না, কাপড় কাঁচা, বাসন ধোয়া, বাচ্চা পালা আর স্বামীর বোনঝিদের সেবা করা।’

মঞ্জু জানান, তাঁদের পেশায় খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন নেই। কাস্টমারেরা এলে পথের পাশে একটা চাদর টানিয়ে আড়াল তৈরি করে ১০ মিনিটের জন্য শুয়ে পড়লেই হলো। যদি কাস্টমারেরা বেশি অত্যাচার করে, তবে চিত্কার করে ডাকলেই কাজ শেষ। পাড়ার পুরুষেরা এসে ওই কাস্টমারকে গণধোলাই দিয়ে দেবে।

অবশ্য বেদিয়াদের কম অত্যাচারের শিকার হতে হয় না। সরকার ও ক্ষমতাসীনেরা তাদের জমিজমা-সম্পত্তি দখল করে নেয়। ওদের উচ্ছেদের জন্য বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তবে কিছু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী চেষ্টা করছেন, বেদিয়াদের সহায়তা করতে। বেদিয়াদের ছেলেমেয়েরা যাতে লেখাপড়া শিখতে পারে, সে জন্য স্কুল তৈরি করা হয়েছে।

৩৫ বছর বয়সী যৌনকর্মী রিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ের জীবন আমার মতো হবে না।’ তিনি নিয়মিতভাবে তাঁর ১১ বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যান। ‘আমাকে আমার ব্যবসা করতেই হবে, তবে আমি চাই আমার মেয়ে ভবিষ্যতে নিজে নিজের পেশা বেছে নিক।’

বেদিয়াদের কল্যাণে কাজ করছেন ভারতপুরের জেলা প্রশাসক নিরাজ কুমার পবন (৩৪)। স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ তাঁরই। তিনি বলেন, ‘১৮ বছরের কম বয়সী নারীরা এ পেশায় যায় না।’ তিনি জানান, এক সময় মঞ্জু যে বয়সে যে কাজের জন্য ১০ হাজার রুপি পেয়েছিলেন, এখন সে কাজের জন্য দেড় বা দুই লাখ রুপি দেওয়া হয়।

পবন জানান, বেদিয়াদের জীবন দুঃসহ। বাড়িতে বিদ্যুত্ নেই, পানি সরবরাহ নেই। তাই ছেলে-পুলেদের লেখাপড়া করাতে চাইল গ্রামের স্কুলের হোস্টেলে রাখতে হয়। ধনীরা এসব বেদিয়াদের ভোটার হতে দেয় না, রেশনের কার্ড বরাদ্দ করে না।

রবি কুমার (২৯) নামের এক দোকানদার জানান, ‘উঁচু জাতের লোকেরা আমাদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বৈষম্য করে অথচ আমাদের মেয়েদের সঙ্গে শোবার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। ওরা এ জন্য ঠিক মতো টাকাপয়সাও দিতে চায় না।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

হত্যাকাণ্ডসহ সব অনভিপ্রেত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।বিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনিআখড়া ও ধনিয়া এলাকায় ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

বিমানের লাগেজ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার

 ৪ কেজি ৪২০ গ্রাম স্বর্ণের বার হযরত শাহজালাল আন্তর্জা‌তিক বিমানবন্দরবিস্তারিত পড়ুন

  • মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড
  • বেনজীরের ঢাবি’র পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব
  • মতিউর গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে দেশেই আছেন 
  • কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানোর সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি গ্রেফতার
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • চাঁদা তুলে পরিবার চালানোর অধিকার রাজনীতিবিদদের নেই: ওবায়দুল কাদের
  • চাঁদপুরে যৌথ অভিযানে ১১ মণ জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
  • কুড়িগ্রামে অবৈধ জাল বিক্রি ও মজুদের দায়ে তিনজনকে কারাদণ্ড
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন অভিযোগ আসেনি, হলে বিচার হবে: ওবায়দুল কাদেরের
  • সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা