দলীয় প্রধানের পথসভা যেন জনসভা না হয়

পৌরসভা নির্বাচনে যথাযথভাবে আচরণবিধি মেনে চলতে বিএনপিসহ ২০ রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চিঠিতে দলীয় প্রধান বা কেন্দ্রীয় নেতার পথসভা যাতে জনসভায় রূপ না নেয়, তা উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠির সঙ্গে আচরণবিধিরও অনুলিপিও পাঠিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব জেসমীন টুলী স্বাক্ষরিত চিঠিটি বুধবার সন্ধ্যায় দলগুলোর মহাসচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলসমূহের প্রচার-প্রচারণার সময় দলীয় প্রধান বা নেতৃবৃন্দের কোনো পথসভা যেন জনসভায় রূপ না নেয় বা জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় তা মেনে চলতে হবে।
এছাড়া কোনো দল প্রার্থীর প্রচারণায় সময় অন্য দল কর্তৃক বাধা দেওয়া না হয় কিংবা যানবাহন সহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল বা অন্য কোনো প্রকারের মিছিল না করা ইত্যাদি বিষয়ের প্রতিও বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে আচরণ বিধিমালা যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারণা বা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। এর মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রগণ।
ইসি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির প্রধান হওয়ায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে দলীয় প্রধান হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী বলেন, ‘আচরণবিধিতে অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিষয়ে বলা রয়েছে- তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শামিল আছেন বলেও আমি জানি। কাজেই তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।
চলতি বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তর সিটি করপোরেশনের বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আওয়ালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন দলটির প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় তার গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হওয়ায় তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এরশাদের এই পদটি মন্ত্রীর সমমর্যাদার। একইভাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু তথ্যমন্ত্রী হওয়ায় তিনিও নির্বাচনী অংশ নিতে পারবেন না। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী হওয়ায় তাকেও নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে থাকতে হবে।
নির্বাচন বিধিতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল অথবা কোনো প্রতিষ্ঠান আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৫টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ১৩ ডিসেম্বর নাম প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৪ ডিসেম্বর। এরপরই প্রতীক নিয়ে প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সাবেক এমপি মিয়াজী যশোরের পার্ক থেকে আটক
ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিববিস্তারিত পড়ুন

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন