দলের সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চান আইভী
দলের সব নেতা–কর্মীকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ–মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল। বাংলাদেশের এমন কোনো জেলা নেই, যেখানে কমবেশি নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা নেই। সে ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ কিন্তু বাইরে নয়। এ রকম ঘটনা অতীতে ঘটেনি, তা কিন্তু নয়।
আইভী বলেন, ‘১৫ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা থেকে হয়তো কোনো অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আমার নাম প্রস্তাব করা হয়নি। কিন্তু আমি তো মনোনয়ন বোর্ডের কাছে মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছি। সার্বিক বিবেচনায় মনোনয়ন বোর্ড আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তৃণমূলে এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, তৃণমূলের বেশির ভাগ নেতা–কর্মী আমার সঙ্গে আছে।’
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের দেওভোগে সেলিনা হায়াৎ আইভীর পৈতৃক বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে দলের প্রার্থী হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ তিনজনের নাম পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রে। কিন্তু এই তিনজনের কাউকে না দিয়ে কেন্দ্র থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগে কোনো পক্ষ নেই। পক্ষ একটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা আছে। সে কারণে কমবেশি দ্বন্দ্ব–বিভেদ থাকতে পারে। আমি মনে করি, একসঙ্গে সবাই মিলে কাজ করব। যে যেই পক্ষেই থাকুক না কেন, একটি নির্বাচন শুরু হলে তার আগে অনেক কিছু হয়, অনেক কিছু ঘটে। কিন্তু যখন দল সিদ্ধান্ত দেয়, সেই সিদ্ধান্ত সবাই মেনে নেয়।’
আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কাজ করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘আমি মনে করি আনোয়ার কাকা একজন খাঁটি আওয়ামী লীগ, উনি আমার সঙ্গে কাজ করবেন। অন্যরা যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদেরও স্বাগত জানাই।’
আসন্ন সিটি নির্বাচনে শামীম ওসমানের কী ভূমিকা হবে, এমন প্রশ্নে আইভী বলেন, ‘আমি কী করে বলব ওনার কী ভূমিকা হবে। এই প্রশ্ন ওনাকে করেন। তবে আমি মনে করি, উনি যদি দলের অনুগত কর্মী হন, তবে নিশ্চয়ই দলের নির্দেশ মেনে চলবেন।’
শামীম ওসমানের বাড়িতে যাবেন কি না—এমন প্রশ্নে আইভী বলেন, ‘প্রয়োজন মনে হলে যেতে পারি। উনি আমার ভোটার। আমি যদি দলমত–নির্বিশেষে বাড়ি বাড়ি ভোট চাইতে যেতে পারি, তাহলে তাঁর বাড়িতে নয় কেন?’
আইভী বলেন, ‘আমি গত ১৩ বছরে সিটি করপোরেশনে দলবাজির ঊর্ধ্বে রেখে কাজ করেছি। দলের সঙ্গে আমি ছিলাম এবং আছি। দল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।’
পরে মেয়র আইভী আনোয়ার হোসেনের বাসায় যান। তবে আনোয়ার হোসেনসহ তাঁর পরিবারের কেউ এ সময় বাসায় উপস্থিত ছিলেন না।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, ‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া এটুকুই, যিনি নৌকা পাবেন, তিনিই আমাদের প্রার্থী। আমি জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানাই। আমাদের দল ও অঙ্গ–সংগঠনের নেতা–কর্মীরা দলের পক্ষে কাজ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ বৃহৎ দল। দলে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইতে পারেন। মনোনয়ন তো একজনকেই দিতে হবে।’ দলে কোন্দল থাকলেও নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে গোপনে যদি কেউ দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন
হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
দেশের মানুষের মনোবাসনা বুঝে স্বচ্ছ রাজনীতির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ীবিস্তারিত পড়ুন
বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
বগুড়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৭ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় গাবতলীর নিহত বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে গিয়ে সংঘর্ষের সময় শহরের ঝাউতলা এলাকায় নিহত হনবিস্তারিত পড়ুন