দিয়াজের শরীরে আঘাতের চিহ্ন, পরিবারের দাবি আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত খুন
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফানকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে দিয়াজের পরিবার ও ছাত্রলীগ সহকর্মীসহ প্রশাসনের সন্দেহ।
রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইট এলাকায় নিজ বাসার কক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি বিশ্ববদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা বিলকিসের বরাতে নিউজ পাের্টাল সিটিজি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, লাশ উদ্ধারের পর দিয়াজের শরীরের তিন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্তের আগে নিশ্চিতভাবে এগুলো আঘাতের চিহ্ন কিনা- তা বলা যাচ্ছে না।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) নেয়ার সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে রাত ১টার দিকে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিজ বাসা থেকে মিনিটে সিলিং ফ্যানের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, গলার উভয় পাশে আঁচড়ের চিহ্ন আছে। তবে বাম পাশে আঁচড়ের পরিমাণ বেশি। এছাড়া হাতের কব্জিতে ও পায়েও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের উদ্দেশ্য করে দিয়াজের মা জোবায়দা আমিন চৌধুরী বলেছেন, আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ঘরে যখন হামলা করে, ভাঙচুর-লুটপাট করে তখন হাটহাজারী থানা পুলিশ মামলা নেননি। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার সন্তানকে মেরেছেন।
এ সময় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা বিলকিসের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা।
তিনি বলেন, আমরা ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর এ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলতে পারবো।
এদিকে, চবি ছাত্রলীগের একাংশ দিয়াজ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রবর্তক মোড় এলাকায় সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অবরোধ চলাকালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। পরে দিয়াজের পরিবার ও পুলিশের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
দিয়াজের মরদেহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে তার মামা।
বিচার দাবিতে শাটল ট্রেন অবরোধ
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যার বিচার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলকারী তিনটি শাটল ট্রেন অবরোধ করে রেখেছে দিয়াজের অনুসারী বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ফতেয়াবাদ স্টেশন ও ষোলশহর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করা হয়। ষোলশহর স্টেশন মাস্টার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী সকাল ৮টা ২০ মিনিটের শাটল ট্রেন ও ৯টার ডেমু ট্রেনটি ফতেয়াবাদ স্টেশনে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রেন দুটি আটকে রেখেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে ষোলশহর স্টেশনে ৯টা ৪৫ দিকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেখানেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে তারা। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
ট্রেন চলাচল না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা দিতে যাওয়া বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ট্রেন অবরোধের বিষয়টি জেনেছি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন