দুই মন্ত্রীর ঘটনায় সরকার বিব্রত

আদালত অবমাননার দায়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনায় বিব্রত সরকার।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দুই মন্ত্রী আজ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে গিয়েছিলেন। তবে সেখানে তাঁদের নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে দুই মন্ত্রীর বিষয়ে মন্ত্রিসভার অবস্থান জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই মন্ত্রীর ঘটনায় সরকার বিব্রত।
এ ঘটনার পর মন্ত্রীদের পদত্যাগ করা উচিত কি না তা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সহকর্মী হিসেবে আমি তাঁদের পদত্যাগ দাবি করতে পারি না। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিষয়টি নিয়ে সরকার বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে আছে।’
একই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টির সঙ্গে নৈতিকতার প্রশ্ন জড়িত। এখানে আইন বা সংবিধানের বিষয় নেই্। আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তাঁরা পদত্যাগ করবেন কি না, সেটা একান্তই তাঁদের নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়।’
গত ৫ মার্চ রাজধানীতে এক সেমিনারে প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেন দুই মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও আ ক ম মোজাম্মেল হক। প্রধান বিচারপতি তাঁর আসনে থাকতে চাইলে ‘অতিকথন’ বন্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন এক মন্ত্রী।
একই সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর মামলায় আপিল বিভাগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি যেসব মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে ওই মামলায় পুনরায় শুনানি করার আহ্বান জানান দুই মন্ত্রী।
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ জন্য তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে সাতদিনের কারাদণ্ড দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদেশ দেওয়ার সময় আপিল বিভাগ বলেন, ‘দুই মন্ত্রীকে ডাকার মাধ্যমে সারা জাতিকে জানাতে চাই, কেউ আদালত অবমাননা করলে আমরা কতটা কঠোর হতে পারি।’
এদিকে দুই মন্ত্রী আদালত অবমাননার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও দায়িত্ব পালন করতে পারেন কি না, তা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
রায়ের পর আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখাননি দুই মন্ত্রী। তবে গতকাল রোববার নিজ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ পরেই বেরিয়ে যান আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

‘বাহাত্তরের সংবিধান অবৈধ, এটি প্রণয়ন করেছিলেন পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্যরা’
পাকিস্তানের নির্বাচিত গণপরিষদের সদস্যরা বাহাত্তরের সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন তাই এটিবিস্তারিত পড়ুন

ধানমন্ডি ৩২: চতুর্থ দিন রাতেও উৎসুক জনতার ভিড়
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার চতুর্থ দিনবিস্তারিত পড়ুন

আসিফ নজরুল: সরকারের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার খায়েশ নেই
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার খায়েশ নেই বলে মন্তব্য করেবিস্তারিত পড়ুন