ধন্যবাদ তারানা আপা

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে সরকার গত ১৮ই নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো (ফেসবুক, ভাইবার, মেসেঞ্জার, হোয়াটঅ্যাপ ও টুইটার) বন্ধ করে দেয়। তবে ৩ সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার ফেসবুক খুলে দেয়ায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সৃজনশীল মানুষ গড়ার আন্দোলন ‘আলোর মিছিল’এর নিবার্হী পরিচালক বইপ্রেমী জুবায়ের আল মাহমুদ রাসেল। এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া রাসেল এ বলেন, ‘সরকার অবশেষে তরুণদের প্রাণের কথা, মনের কথা বুঝতে পেরেছে। মূলত সে কারণেই আজ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা তরুণ প্রজন্ম অবশ্যই স্বাগত জানায়, সেই সঙ্গে তারানা আপাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে কোন দিন যেন ফেসবুক বন্ধ করা না হয় উল্লেখ করে রাসেল বলেন, ‘বিশ্বায়নের এই যুগে পুরো পৃথিবীকে ছোট্ট একটি গ্রামে পরিণত করেছে ফেসবুক। শুধুমাত্র ফেসবুকের কল্যাণেই কিন্তু আমরা আইলানের নিথর দেহ দেখে যেমন কেঁদেছি, তেমনই আইলানের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত সৃষ্টি করতে পেরেছি। আর আমার দেশের কথা যদি বলি, তাহলে রাজন কিংবা রাকিব হত্যার প্রতিবাদে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা যে জনমত তৈরি করেছি, ফেসবুক যদি না থাকতো তাহলে এটা সম্ভব হতো কি? অন্য মাধ্যমগুলো খুলে দেয়ার দাবী জানিয়ে রাসেল আরও বলেন, ‘আমি সরকারকে অনুরোধ করবো ফেসবুকের মতো যেন ভাইবার, মেসেঞ্জার, হোয়াটঅ্যাপ ও টুইটার যেন দ্রুত খুলে দিয়ে তরুণ প্রজন্ম তথা সকল মানুষের সুখ, দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভবনার কথা শেয়ার করা সুযোগ দিবেন। উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বরের পর দেশে ফেসবুক, ভাইবার, মেসেঞ্জার, হোয়াটঅ্যাপ ও টুইটার বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে গণমাধ্যমের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে এই সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো খুলে দেয়ার অনুরোধ জানান। প্রসঙ্গত, বইপ্রেমী রাসেল রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট এবং নাটোরের লালপুর-বাগাতিপাড়ার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে স্কুল ভিত্তিক লাইব্রেরী গড়া ও বইপড়া কর্মসূচী পরিচালনার মাধ্যমে ২০১১ সাল থেকে সৃজনশীল মানুষ তৈরির জন্য বইপড়ার আন্দোলন করে আসছেন। পাশাপাশি প্রতিবছর ওই সকল বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসীকে রক্ষার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিরবে আন্দোলন করে আসছেন। তিনি এখন পর্যন্ত রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট এবং নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়ার মোট ৪১টি স্কুলে তার এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। তার এই আন্দোলনের উপর ২০১৪ সালের ১৫ই মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে ‘এক তরুণের বইপড়ার আন্দোলন’ শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর চলতি বছর ২০ সেপ্টেম্বর ‘বিনা পয়সায় বই বিলিয়ে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন বাঘার এক যুবক
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন

মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন

স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন