ধর্ষণ করতে গিয়ে গণপিটুনি খেলো ছাত্রলীগ নেতা
চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণচেষ্টার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক তারিক হাসান তারেক। শুক্রবার গভীর রাতে কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারসহ কলেজ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। গুরুতর আহত তারেককে অজ্ঞাতস্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা গেছে, মদ্যপ অবস্থায় শুক্রবার রাতে কলেজ চত্বরে বসবাসরত এক পরিচারিকার ঘরে ঢুকে অবৈধ অস্ত্র দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ছাত্রলীগ নেতা তারেক। এ সময় ওই পরিচারিকার ছেলে বিষয়টি বুঝতে পেরে তারেককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তারেককে গণপিটুনি দেয় এবং তার চুল কেটে দিয়ে অণ্ডকোষ ইট দিয়ে ছেঁচে দেয়। তবে ছাত্রলীগের আরও কিছু নেতা গিয়ে তারেককে উদ্ধার করে দ্রুত ওই এলাকা ত্যাগ করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা। মামলার বিবরণে এ তথ্যের সত্যতা মিলেছে।
এদিকে, হাতেনাতে ধরা পড়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কেউ কেউ তারেকের নগ্ন ছবি তুলে তা ফেসবুকে আপলোড করায় সেই ছবি এবং ঘটনার বিবরণ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে পৌঁছে যায়। বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবহিত হয়ে শনিবার রাতে কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্তসহ ধর্ষক তারিক হাসান তারেককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে।
শনিবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি মো: সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম.জাকির হোসাইন এক যুক্ত স্বাক্ষরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নির্দেশ দেন।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকি ও সাবেক ছাত্রলীগ জেলা কমিটির সভাপতি শরিফ হোসেন দুদু কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দাবি করেছেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিক হাসান তারেকের বিরুদ্ধে কলেজের আরও কয়েকজন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তারিক আরেক সাবেক ছাত্রলীগ নেতার যোগসাজসে সরকারি কলেজ পড়ুয়া অনেক ছাত্রীকে প্রলুব্ধ করে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে জোর করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতো। ওই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতার ভাইয়ের ছেলে হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পেতো না ওই ছাত্রীরা। ফলে
লোকলজ্জার ভয়ে বাধ্য হয়ে তারা সরকারি কলেজে পড়া ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। এ খবর মুখে মুখে প্রচারিত থাকায় অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েদের সরকারি কলেজে ভর্তি করাতে উৎসাহী হন না।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক ধর্ষণের ঘটনায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলা নম্বর-২৭। তিনি আরও জানান, মামলায় ধর্ষক তারেকের সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সারজিস আলম: দেশের সিস্টেমগুলোতে ক্যান্সার ধরেছে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, “দেশের সিস্টেমগুলোতে ক্যান্সারবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন