সিএস জরিপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ হবে। নদী হত্যা মানুষ হত্যার মতো অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী। এছাড়া নৌ রুটের নিরাপত্তা রক্ষায় কাপ্তাই হ্রদে বিআইডব্লিউটিএ খনন কাজ শুরু করবে বলেও জানান তিনি।

শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত নৌ মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কমিটির ৩০ তম সভা ও বিভাগীয় নদী রক্ষা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে এ সভা দু’টি আয়োজন করে নৌ-মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রী বলেন, ৬৫টি নদী খনন করতে হবে আমাদের। ইতিমধ্যে ৭টি নদীর খননকাজ শুরু করেছি। এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে ড্রেজার সংকট। আরেকটি সংকট হচ্ছে জনবলের।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত এ সভায় কর্ণফুলী না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না মন্তব্য করে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের লাইফ লাইন কর্ণফুলী নদী।

নদী রক্ষায় চসিক যথাযথ ভূমিকা রাখবে জানিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, দখল ও দূষণের সঙ্গে দেশের কোনো না কোনো নাগরিক জড়িত। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। তাই আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিদিন ২০-২১টি ওয়ার্ডে মাইকিং করছি, এক কোটি লিফলেট বিতিরণ করেছি। স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম, নৌ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক মাধব রায়, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, নৌ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. এনামুল কাদের খান, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো.শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক(ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহরিয়াজ প্রমুখ।