যুক্তরাজ্যে মুসলিম ট্যাক্সিচালকের স্বীকারোক্তি
‘নিজেকে নবী দাবি করায় আসাদকে খুন করেছি’

গত দু সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে নিজ দোকানের বাইরে খুন হয়েছিলেন আসাদ শাহ। তাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের এক ট্যাক্সিচালক। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ট্যাক্সিচালক তানভির আহমেদ (৩২) বলেছেন, ওই দোকানী নিজেকে মহানবী (স.) দাবি করার কারণেই তিনি তাকে হত্যা করেছেন।
বুধবার গ্লাসগোর শেরিফ আদালতে ওই হত্যা মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই আসাদ শাহকে হত্যার দায় স্বীকার করেন ট্যাক্সিচালক তানভির। মক্কেলের পক্ষ নিয়ে তার আইনজীবী জানান, নিহত আলম শাহ মহানবী হজরত মোহাম্মদ (স.) সম্পর্কে বেপরোয়া বক্তব্য রাখছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকেই নবী হিসেবে দাবি করতে থাকেন। এ কারণেই তানভির তাকে খুন করেন। এছাড়া তাদের মধ্যে আর কোনো সমস্যা ছিল না।
আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে তানভির বলেছেন,‘পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে যে, মহানবী হচ্ছেন শেষ নবী এবং উনার পরে পৃথিবীতে আর কোনো নবী আসবে না।’ কিন্তু এই সত্যকে অস্বীকার করেছিল আলম। তিনি আরো বলেন,‘আমি যদি তাকে হত্যা না করতাম তবে এ নিয়ে বিশ্বে আরে অনেক খুনাখুনি হত।’
এর আগে খবর বেরিয়েছিল, নিজের ফেসবুকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার্নের শুভেচ্ছা জানানোর কারণেই আলমকে হত্যা করা হয়েছিল।কিন্তু এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তানভির বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খ্রিস্টান বা অন্য কোনো ধর্মাবলম্বীদের কোনো যোগসূত্র নেই।’ তার ভাষায়,‘আমি মহানবী মোহাম্মদের (স.) একজন অনুসারী। তবে যিশুর প্রতিও আমার ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা রয়েছে।’
বুধবার শুনানি শেষে তাকে ফের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। দিন কয়েক পর তাকে গ্লাসগো হাইকোর্টে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, আসাদ শাহ একজন আহমাদিয়া মুসলিম ছিলেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে তার সদ্ভাব ছিল। তার মৃত্যুতে শোকার্ত হয়ে পড়েছে গ্লাসগোর শাওল্যান্ডের বাসিন্দারা। তারা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন