নৌকাডুবিতে মৃত্যু, শেষবার ছেলের মুখ দেখতে চান মা
ভূমধ্যসাগরের লিবীয় উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে নিহত বাংলাদেশী মফিজুল ইসলাম খান মফিজের (২৭) গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
নিহত মফিজ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া গ্রামের পূর্ব সম্ভবপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলামের ছেলে। গত সাত বছর ধরে তিনি মিশর ও লিবিয়া প্রবাসী ছিলেন। লিবিয়া থেকে ছোটভাই ইতালী প্রবাসী টুটুলের কাছে যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই মফিজের ছবি বুকে ছড়িয়ে রয়েছেন তার মা রিজিয়া বেগম। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এই ঈদে ওর বাড়ি আসার কথা ছিল। সাত বছর ধরে ছেলেটিকে দেখি না। একবার ওর মুখটা দেখতে চাই।’
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৭ বছর আগে ভাগ্য বদলানোর আশায় বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে মফিজ পাড়ি জমায় মিশরে। সেখানে ৩ বছর থাকার পর তিনি লিবিয়ায় প্রায় ৪ বছর ধরে ছিলেন। ঈদুল আজহায় তার দেশে ফিরে আশার কথা ছিল।
নিহত মফিজের বাবা নজরুল ইসলাম জানান, ঋণ নিয়ে সংসারের হাল ধরার জন্য মফিজকে বিদেশ পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
এখন সরকারের কাছে তার একটাই আবেদন, ছেলের লাশটা যেন দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
নিজের হাতে ছেলে দাফন করতে চান তিনি।
মফিজের ছোটভাই রাকিবুল ইসলাম জানান, ভাইকে তিনি খুব ছোটবেলায় দেখেছিলেন। সেই ভাই আজ আর নেই। এখন সরকারের কাছে শুধু একটাই নিবেদন, যেন ভাইয়ের লাশটা দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
গত বৃহস্পতিবার লিবীয় উপকূলে দুটি নৌকা ডুবে দুই শতাধিক অভিবাসন-প্রত্যাশী নিখোঁজ হন। এদের মধ্যে ২৪ বাংলাদেশীও ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীবিস্তারিত পড়ুন
হাইকোর্টে ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
হাইকোর্ট বিভাগে ১২ জন বিচারপতিকে আপাতত প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়াবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আঁকা গ্রাফিতি হেঁটে দেখলেন ড. ইউনূস
জুলাই ও আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়বিস্তারিত পড়ুন