পাক-ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতিঃ কাশ্মীরে চলছে বাংকার খোঁড়াখুঁড়ি

পাক-ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে চলছে বাংকার (মাটির নিচে গর্ত করে আশ্রয়) খোঁড়াখুঁড়ি। নিজেদের নিরাপত্তায় সেখানকার জনগণ পাহাড়ি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এ বাংকার খুঁড়ছেন।
বেশ ক’দিন ধরেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ছাড়তে শুরু করেন বাসিন্দারা। এরপরও যারা থেকে যাচ্ছিলেন, তারা দু দেশের থমথমে পরিস্থিতিতে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।
শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতের হামলার পরই মূলত কাশ্মীরের বান্দিপোরা, পুঞ্চ ও কুপওয়ারা জেলাসহ সংলগ্ন এলাকার লোকজন বাংকার খুঁড়তে শুরু করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকেই তাদের বাংকার খুঁড়ে রাখতে বলা হয়েছে।
আর বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে পাকিস্তানের পাল্টা গুলিতে ১৪ সৈন্য নিহত ও একজনকে বন্দি করার দাবি গণমাধ্যমে ছড়ানোর পর বাংকার খোঁড়ার তোড়জোড় আরো বেড়ে গেছে।
তবে যারা বাংকার খুঁড়ছেন না এবং একেবারে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করছেন, তাদের সরিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রশাসন আশঙ্কা করছে, ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় আগামী ক’দিন পাকিস্তানের দিক থেকে গোলাগুলি বাড়বে। সেজন্য টংধর, কেরান এবং মচিলের মতো প্রায় ৩০০ গ্রামের বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব গ্রামগুলোর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে প্রশাসন।
১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এসব এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনেরই পরামর্শে বাংকার খুঁড়েছিলেন। সেসময় গোলাগুলি হলেই লোকজন ওইসব বাংকারে আশ্রয় নিতেন। কিন্তু ২০০৩ পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি কিছুটা ঠাণ্ডা হয়ে আসায় ওই বাংকারগুলো ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেই বাংকারগুলোই আবার খুঁজতে হবে, নতুবা খুঁড়তে হবে নতুন করে।
এদিকে, ভারত সীমান্তে যখন এ ধরনের বাংকার খোঁড়াখুঁড়ি চলছে, তখন পাকিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোও খালি করার খবর আসছে। এমনকি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পাকিস্তান সীমান্ত খালি করে সেখানে সেনা অবস্থান ও অস্ত্রশস্ত্র মজুদ বাড়িয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা ১৮ ভারতীয় সৈন্য নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্কে উত্তেজনা এখন চরমে। দু’পক্ষই সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও তৎপরতা বাড়িয়েছে। দফায় দফায় যুদ্ধবিমানের মহড়া চালাচ্ছে পাকিস্তান। আর ভারতও প্রস্তুত করছে তাদের যুদ্ধবিমানকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তারেক রহমান: আগে ভারতীয় শিল্পী আসতো, এখন পাকিস্তান থেকে আসে
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দেশি শিল্পীদের উপেক্ষা করে ভারত ও পাকিস্তানবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচন নিয়ে সরকারের এত গড়িমসি কেন, প্রশ্ন রিজভীর
“নির্বাচন নিয়ে সরকারের এত গড়িমসি কেন”, এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপিরবিস্তারিত পড়ুন

সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন