পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন তনুর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা নিজের নিরাপত্তা চেয়ে এসপির কাছে চিঠি দিয়েছেন। তিনি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে যাতায়াতের সময় পুলিশের নিরাপত্তা চেয়েছেন।
বুধবার বিকালে নিরাপত্তার আবেদনটি কুমিল্লার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। ওইদিন তিনি কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় জিডি করেন।
পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন জানান, বুধবার নিরাপত্তা চেয়ে ডা. কামদা প্রসাদ সাহা চিঠি পাঠিয়েছেন।
কামদা প্রসাদ সাহা বলেন, ‘ওই উড়ো চিঠিটি পাওয়ার পর থেকে আমি ও আমার পরিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমি জীবনহানির আশঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ জন্যে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেছি।
এদিকে তনুর বাবা মো. ইয়ার হোসেনের পক্ষে পাঠানো জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির উকিল নোটিশের বিষয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মুহসিনুজ্জামান চৌধুরী বলেন, উকিল নোটিশের জবাব চূড়ান্ত করে কুমিল্লার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত ও ভিকটিমের বিষয়ে ডাক্তাররা অভিজ্ঞ হিসেবে মতামত দেন। আমি তাদের (ডাক্তারদের) লিগ্যাল প্রধান নই, প্রশাসনিক প্রধান। আমাকে কেনও উকিল নোটিশ করা হলো। তা বুঝতে পারলাম না। নোটিশটিতে প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ ও ধর্ষণের আলামত না বলা ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার নিকট থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করেন তার বাবা ইয়ার হোসেন।
পরদিন ২১ মার্চ দুপুরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডা. শারমীন সুলতানা তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত করেন। একই দিন তনুর বাবা কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলা পুলিশ, ডিবি হয়ে সিআইডির হাতে যায়। ছায়া তদন্ত করে র্যাব ও পিবিআই।
প্রথম ময়নাতদন্তে তনুকে ধর্ষণের আলামত এবং মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। তনুর মৃত্যুর ৬৬ দিনেও কোনও হত্যাকারী শনাক্ত হয়নি। এদিকে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ৫৭ দিনেও পাওয়া যায়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র
বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
শনিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবি পার্টির বৈঠক
তৃতীয় দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারেরবিস্তারিত পড়ুন
বোয়ালমারীতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতা খন্দকার নাসিরের মতবিনিময়
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদবিস্তারিত পড়ুন