প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ভারতের আপত্তি নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে ভারতের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে বাংলাদেশের উন্নয়ন ইস্যু অগ্রাধিকার পাবে।
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অ্যাকাডেমির জার্নাল, স্মার্ট লাইব্রেরি ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
চীন সফর নিয়ে ভারতের কোনো আপত্তি রয়েছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারতের কখনো কোনো আপত্তি ছিল না। আমরা যখন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, তখন চীনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, আমি তো চীন যাচ্ছি, সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করব। এভাবেই বিষয়টি এসেছে।’
তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সবার সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে ভারত সফর করে এসেছেন। সেই সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। ভারত সফরে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাপ করেন, তখন আলোচনা হয়েছিল চীন সফরের বিষয়ে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে… বঙ্গবন্ধু টানেল, পদ্মা সেতুসহ নানা ক্ষেত্রে অনেক আইকনিক স্থাপনা নির্মাণে চীনের অর্থ ও লোকবল লেগেছে। তাই আগামী সফর নিশ্চিতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতদিন ধরে চীন আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় যে ভূমিকা রেখে আসছে, সেই উন্নয়ন অভিযাত্রাকে বেগবান করতে চীন সফর গুরুত্বপূর্ণ।
চীন সফরে নতুন কোনো চুক্তি হবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেটি এখনো ফাইনাল হয়নি, এখনো বলার সময় আসেনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ৮ জুলাই সকালে ঢাকা থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৯ জুলাই তিনি বেইজিংয়ে বিজনেস ফোরামে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেবেন। পরদিন ১০ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে আর্থিক সহায়তা এবং নতুন প্রকল্পে অর্থায়নের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
পরে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরের সময় দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি দলিল সইয়ের কথা রয়েছে। এছাড়া, সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুর বই ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর চীনা ভাষায় অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরের বিশেষ দিকটি হবে বাংলাদেশের জন্য চীনের ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৪০ কোটি ইউয়ানের বেশি ঋণ। এর মধ্যে বাণিজ্য–সহায়তার আওতায় ৫০০ কোটি ডলার ও বাজেট সহায়তার আওতায় ২০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় বাংলাদেশকে ঋণ দেবে চীন।
এর পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে যেভাবে টাকা–রুপিতে লেনদেনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতায় টাকা–ইউয়ানে লেনদেনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি চলছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নুর ইস্যুতে রনি: তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু হবে না
পটুয়াখালী-৩ আসনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের নুরকে সাংগঠনিকবিস্তারিত পড়ুন
বুধবার ফের অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা
অধিভুক্তি বাতিল করে আলাদা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করতেবিস্তারিত পড়ুন
৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্ত প্রকাশ করতে হাইকোর্টের রুল
৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্তভাবে পুনর্মূল্যায়ন করে প্রকাশ করতে রুল জারিবিস্তারিত পড়ুন