প্রধানমন্ত্রীর বেতন হলে দ্বিগুণ, শ্রমিকের বাড়াতে হবে কয়েকগুণ
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সংসদ সদস্যসহ সাংবিধানিক ১৫টি পদে বেতন-ভাতা প্রায় দ্বিগুণ করা এবং নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এ সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই শ্রমজীবী জনগণের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করা হয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দলের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এম.পি.’দের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামোর সঙ্গে সঙ্গতি বিধানের কথা বলা হচ্ছে। এটাকে যদি বেতন-ভাতা বৃদ্ধির যুক্তি হিসেবে ধরে নিতে হয়, তবে শ্রমজীবী মানুষের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে হাজারো যুক্তি আছে। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের মোট ৬ কোটি ১০ লাখ শ্রমশক্তির মধ্যে মাত্র ২১ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাকি সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি সরকার বারে বারে এড়িয়ে যাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সাথে সঙ্গতি রেখে যদি শ্রমজীবী মানুষেরও বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে হয়, তবে তা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করতে হবে।
নেতারা বলেন, অস্বাভাবিকভাবে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির ফলে শ্রমজীবী মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই অবস্থায় আমাদের প্রশ্ন, অবিলম্বে জাতীয় মজুরি নির্ধারণ করে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কেন বৃদ্ধি করা হবে না?
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপি এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির ব্যাপারে সরকারের আগ্রহ থাকলেও, সাধারণ মানুষের মজুরির জন্য সরকারের কোনো দিকনির্দেশনা নেই। সার্বিকভাবে দেশের মজুরি কাঠামোর জন্য একটি ন্যূনতম মানদণ্ড তৈরি করা প্রয়োজন। বার বার দাবি জানানো সত্ত্বেও, ন্যূনতম জাতীয় মজুরি নির্ধারণ করা হচ্ছে না। বেসরকারি খাতের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। গৃহশ্রমিক থেকে শুরু করে সব ধরনের শ্রমজীবী মানুষকে জাতীয় মজুরি কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
দ্রব্যমূল্য ও আনুষঙ্গিক বাজার দরের ভিত্তিতে ভেরিয়েবল ডিএ প্রথা চালু করার দাবি জানান সিপিবির নেতারা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

জেনেভা ক্যাম্পে মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মাদক ব্যবসারবিস্তারিত পড়ুন

তারেক রহমান: আগে ভারতীয় শিল্পী আসতো, এখন পাকিস্তান থেকে আসে
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দেশি শিল্পীদের উপেক্ষা করে ভারত ও পাকিস্তানবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচন নিয়ে সরকারের এত গড়িমসি কেন, প্রশ্ন রিজভীর
“নির্বাচন নিয়ে সরকারের এত গড়িমসি কেন”, এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপিরবিস্তারিত পড়ুন