প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে ভোটারদের দাবি
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন দেশটির ভোটাররা। তারা ভাবছেন, ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে প্রেসিডেন্ট পদটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তারা ভোটের ফলাফল পরিবর্তনের জন্য হাহাকার করছেন।
তাদের প্রধান মনোযোগ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদেরকে তাদের ভোট পরিবর্তন করতে প্ররোচিত করা। তাদের দাবি, হিলারি ক্লিনটনকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বানাতে হবে। কারণ ৬০.৪৭ শতাংশ আমেরিকানই হিলারিকে ভোট দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্য সংখ্যা ৫৩৮ জন। ট্রাম্প এর মধ্যে ২৯০জন সদস্যের ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তার দরকার ছিল ২৭০টি ভোট।
তবে, আগামী ১৯ ডিসেম্বরের আগে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ভোট দেবেন না। আর ততদিন পর্যন্ত ট্রাম্পবিরোধীরা নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাবেন। ট্রাম্পবিরোধী ভোটাররা ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদেরকে ট্রাম্পকে দেওয়া তাদের ভোট প্রত্যাহার করে নিতে বলবেন।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চেষ্টাটি চালানো হচ্ছে চেঞ্জ ডট ওআরজি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। শনিবার পর্যন্ত এতে ৩০ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। অবশ্য, লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহের।
টুইটারের মাধ্যমে পিটিশনটিতে এক অনলাইন স্বাক্ষরকারী লিখেছেন, “ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজ থেকে বের করে দেওয়ার এটাই আমাদের সুযোগ”।
তৃণমূলের আরেকটি পিটিশন শুরুর প্রক্রিয়া চলছে ফেইথলেসনাউ ডটকম নামের একটি ওয়েবসাইটের উদ্যোগে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইয়াহু নিউজ।
সাম্প্রতিককালের ইতিহাসে সবচেয়ে কাছাকাছি সময়ে জনগনের ভোটে জিতলেও ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার নজির হলো ২০০০ সালের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর জনগনের ভোটে জিতলেও ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশের কাছে হেরে যান।
এবার নির্বাচনের আগে হিলারি ক্লিনটন এবং ট্রাম্পও পুরো ইলেক্টোরাল কলেজ সিস্টেম বিলোপের আহবান জানিয়েছিলেন। আর ২০১৬ সালের নির্বাচনের পরদিন মঙ্গলবার থেকেই এ বিষয়ে পুনরায় আহবান জানানো হতে থাকে। ভোটারদের ধারণা একজন বিপজ্জনক প্রেসিডেন্টের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য এই পদ্ধতির আর কোনো দরকার নেই।
বাল্টিমোর সানের সম্পাদকীয়তে এই পদ্ধতিকে এমন সব ১৮ শতকীয় ইস্যুতে সমঝোতার ফল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে যেগুলো এখন আর প্রয়োগযোগ্য নয়। পদ্ধতিটি গড়পড়তা জনগনের প্রজ্ঞা সম্পর্কে অবমূল্যায়িত ধারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। যে ধারণার কোনো কার্যকারিতা এখন আর নেই।
আর শুরু থেকেই যে উপায়ে এটি কাজ করার কথা ছিল সেভাবে কাজ করছে না।
সূত্র: ফক্স নিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন