বুধবার, জুলাই ২, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বঙ্গবন্ধু-নজরুল একে অন্যের মন বুঝতে পেরেছেন: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বিপ্লবী নেতা ছিলেন। নজরুল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তাঁরা একে অন্যের মনকে বুঝতে পেরেছেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬ তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আজ সোমবার আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিকেল চারটায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে ওই অনুষ্ঠান হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্যের চেতনার বাংলাদেশ গড়তে হবে। নজরুলের অগ্নিঝরা কবিতা ও গান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিল অনন্ত প্রেরণার উৎস। জাতির পিতা বজ্রকণ্ঠ দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা এনেছেন। কবি নজরুলের লেখনী তাঁকে প্রেরণা দিয়েছে। জাতির পিতার আত্মজীবনীতে নজরুলের কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৪ মে নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব প্রদান করেন। তিনিই তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছেন। তাঁর পরিবারকে সপরিবারে এ দেশে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বিপ্লবী নেতা ছিলেন। নজরুল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তাঁরা একে অন্যের মনকে বুঝতে পেরেছেন। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা নগরে সংস্কৃতিপ্রেমীদের ঢল নেমেছিল। নগর জুড়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে তোরণ, ফেস্টুন ও ব্যানার ছিল চোখে পড়ার মতো। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কুমিল্লার সঙ্গে কবির অনেক স্মৃতি বিজড়িত। তাই আমরা এবার জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের জন্য কুমিল্লাকে নির্বাচিত করেছি। আমাদের বাংলা সাহিত্যে কবি নজরুল এক নক্ষত্র। বিশ্বের অনেক ভাষার সঙ্গে তাঁর লেখনীর চমৎকার সম্মিলন তিনি ঘটিয়েছেন। কুমিল্লায় কবি দীর্ঘদিন অবস্থান করেছেন। এখন অতি সহজে কুমিল্লায় আসা-যাওয়া করা যায়। তখন কলকাতা থেকে কবি রেলগাড়ি, নৌকা ও কাদা মাটি মাড়িয়ে কুমিল্লায় এসেছেন। এই কুমিল্লাকে তিনি ভালোবেসেছেন। কবি নজরুল স্বাধীনচেতা ছিলেন। তিনি আমাদের সংস্কৃতি ও সংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লায় কবি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করেছেন। এখান থেকে হারিয়েছেন, পেয়েছেন এবং দিয়েও গেছেন। যে কারণে এখানে আমরা অনুষ্ঠান করছি। তিনি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথা লিখেছেন। ধনী দরিদ্র, নারী-পুরুষের কথা তাঁর লেখনীতে ফুটে উঠেছে। নারী অধিকারের কথা তিনিই উচ্চারণ করেছেন। তাঁর লেখায় কুলি, হরিজন, সাধারণ শ্রমিক, কৃষক, কামার, কুমার কেউ বাদ যায়নি। তাঁর কবিতা পড়লে মনে হয় সবকিছুই তিনি লিখে গেছেন। তাঁর লেখনীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছিল। তাঁর ক্ষুরধার লেখনী প্রেরণা জুগিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান ‘জয় বাংলা’ কবি নজরুলের কবিতা থেকেই নেওয়া। অনেকে বলছে, ‘জয় বাংলা’ হিন্দুদের ভাষা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় নজরুলের স্মৃতি সংরক্ষণ করি। ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবি নজরুলকে ডি-লিট উপাধি দেওয়া হয়েছে।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘বিশ্ব ভারতীর অনুষ্ঠানে গিয়ে আমি কবি নজরুলের চুরুলিয়া গ্রামে গিয়েছিলাম। সরকার প্রধান হিসেবে সম্ভবত আমিই একমাত্র সেখানে গিয়েছিলাম। নজরুল আমাদের চেতনা ও প্রেরণার নাম। ১৯৯৬ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি তখন টানা দুই বছর ব্যাপী কবির জন্ম শতবার্ষিকী পালন করি। কবির প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আরও কয়েকটি বিভাগ হবে। বৃহত্তর কুমিল্লাকে নিয়ে ভবিষ্যতে বিভাগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বিভাগের নাম কি কুমিল্লা হবে নাকি অন্য কিছু হবে? ’ এ সময় উপস্থিত সুধী হাত তুলে কুমিল্লার পক্ষে মত দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি কুমিল্লাবাসী কোনো কুকর্ম করবে না। সুকর্ম করবে। ইনশাআল্লাহ আমরা বিভাগ করে দেব।’

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠান হয়। উদ্বোধনী পর্বে ‘কুমিল্লায় নজরুল: ভিন্নমাত্রা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন লেখক শান্তনু কায়সার।
উদ্বোধনী পর্বের পর জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা গান, নাচ ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

১০ মিনিটে ১৯ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সুইচ টিপে কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দর, কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার, চৌদ্দগ্রাম জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্মিত ছাত্রাবাস, লাকসাম উপজেলা মৎস্য ভবন কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মেঘনা উপজেলার কাঠালিয়া ও পাড়ারবন্দ নদীর ওপর নির্মিত সেতু, ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ও নবনির্মিত চৌদ্দগ্রাম থানা ভবনের উদ্বোধন করেন।

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লা শহরের শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প, বুড়িচং উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন প্রকল্প, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর আধুনিকায়ন ও এর কুমিল্লা জেলা কার্যালয় ভবন, বিএসটিআইয়ের জেলা কার্যালয়, বিখ্যাত সংগীতশিল্পী শচীন দেববর্মন কালচারাল কমপ্লেক্স, অটিস্টিক শিশুদের জন্য হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বঙ্গবন্ধু ল কলেজ ভবন, কুমিল্লা প্রেসক্লাবে স্থাপিত কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ম্যুরাল, পয়ালগাছা টেকনিক্যাল স্কুল ও কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। ১০ মিনিটের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল

ইরান-ইসরায়েলের “১২ দিনের যুদ্ধ” থেমেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণবিস্তারিত পড়ুন

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজির মামলার স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • ২০২৪ সালে ‘ডামি নির্বাচন’ হয়েছে, আদালতে স্বীকার করলেন হাবিবুল আউয়াল
  • দেড় কোটি বাংলাদেশি প্রবাসীকে ভোটার করতে আইনি নোটিশ
  • দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
  • খামেনি: ইরান আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে
  • জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপনে কর্মসূচি ঘোষণা
  • দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ও নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
  • উপদেষ্টা: গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন চাকরিতে 
  • ইরানে সরকার পরিবর্তন চান না ট্রাম্প
  • কমলো স্বর্ণের দাম, ভরি পৌনে দুই লাখের কাছাকাছি
  • ত্রাণ নিতে যাওয়া মানুষের ওপর গুলি, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৭১
  • গোলাম পরওয়ার: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ নেমে আসবে
  • আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র
  • Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *