বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ : তথ্যে মিলবে পুরস্কার
বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ উদ্ঘাটনে তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার দেবে সরকার। এ জন্য ‘বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ উদ্ঘাটনে তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার প্রদান বিধিমালা-২০১৫’ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
খসড়া বিধিমালা অনুযায়ী পাঁচ ধরনের বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে তিন শ্রেণীর তথ্য দিয়ে পুরস্কার জেতা যাবে। সর্বোচ্চ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা।
পরিবেশ ও বন সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ কমিয়ে আনা ও এ বিষয়ে মানুষের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার দিতে একটি বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের মতামতও নেওয়া হয়েছে। আমরা এ বিধিমালাটি আরেকটু ঘষামাজা করে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করব।’
বিধিমালায় বাঘের ক্ষেত্রে আসামি ও বাঘসহ বনাঞ্চলের অভ্যন্তরে তথ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা, আসামি ও বাঘসহ বনাঞ্চলের বাইরে ২৫ হাজার টাকা ও আসামি ছাড়া বাঘ সংক্রান্ত অপরাধ উদ্ঘাটনের তথ্যের জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে।
কুমির ও হাতির ক্ষেত্রে আসামি ও প্রাণীসহ বনাঞ্চলের অভ্যন্তরে তথ্যের জন্য ৩০ হাজার টাকা, আসামি ও প্রাণীসহ বনাঞ্চলের বাইরে ১৫ হাজার টাকা ও আসামি ছাড়া এ দুটি প্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ উদ্ঘাটনের তথ্যের জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে।
হরিণে প্রথম ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকা ও তৃতীয় ক্ষেত্রে তথ্যের জন্য পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। কচ্ছপ, সাপের তথ্য দিলে তিন ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১৫ হাজার টাকা, ১০ হাজার টাকা ও পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা খসড়া বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে তিন শ্রেণীতে ১০ হাজার টাকা, আট হাজার টাকা ও চার হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কার দিতে প্রধান বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, অপরাধ উদ্ঘাটনের জন্য তথ্য প্রদানকারী লিখিত অথবা মৌখিকভাবে তথ্য দেওয়ার সময় তার নাম, ঠিকানা ও যোগযোগের মাধ্যম অবশ্যই উল্লেখ করবেন। তবে তথ্যদাতার নিরাপত্তার জন্য তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
তথ্য প্রধানকারীকে একটি পরিচিতি সংখ্যার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে। পুরস্কার বিতরণের ১৫ দিন আগে সরকার এ পরিচিতি সংখ্যা দিয়ে গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুরস্কারের সিদ্ধান্ত জানাবে।
বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো তথ্য প্রদানকারী জীবন ঝুঁকিভীতির কারণে পুরস্কার সংগ্রহ করতে দেরি করতে পারবে। তবে তাকে আবেদনের মাধ্যমে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে বন অধিদফতরের কাছ থেকে তা সংগ্রহ করতে হবে। তিন মাস পর পুরস্কারের দাবি গ্রহণযোগ্য হবে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চবিতে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ-ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ১০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ফের সংঘর্ষবিস্তারিত পড়ুন

রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১২৩টি সংগঠন মোট ১,৬০৪ বারবিস্তারিত পড়ুন