শুক্রবার, অক্টোবর ১৭, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা মাত্র ১০৬টি

বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কমে এখন দাঁড়িয়েছে সর্বসাকুল্যে ১০৬টিতে। আর বাংলাদেশ ও ভারত মিলিয়ে পুরো সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১৭০টি। গত এক দশকে এই সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে সুন্দরবনের বাঘ গণনা জরিপ-২০১৫-এর ফলাফলে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

ক্যামেরায় ছবি তুলে, খালে বাঘের পায়ের ছাপ গুনে ও তার গতিবিধির অন্যান্য তথ্য-প্রমাণ ব্যাখ্যা করে এই সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে বন বিভাগ। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া যৌথভাবে এ গণনা সম্পন্ন করেছে।

‘বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের ঘনত্ব’ শীর্ষক এই জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাঘের অস্তিত্ব রক্ষায় অন্যতম হুমকি মানুষের তৎপরতা। বাংলাদেশ অংশে জীববৈচিত্র্য ও খাবারের ভিত্তিতে কমপক্ষে ২০০ বাঘ থাকার কথা। কিন্তু চোরা শিকারিদের বাঘ শিকার, বনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল এবং বনের পাশে শিল্প অবকাঠামো নির্মাণ বাঘের অস্তিত্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বন বিভাগ চলতি সপ্তাহের শুরুতে জরিপের এই ফলাফল চূড়ান্ত করেছে। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রকাশ করা হতে পারে। এর আগে সর্বশেষ ২০০৪ সালে বন বিভাগ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় বাঘের পায়ের ছাপ গুনে জরিপ করেছিল। এতে বাঘের সংখ্যা এসেছিল ৪৪০টি। এ বছর নতুন এই জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের ওই জরিপটি যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে করা হয়নি। ফলে আগের ওই বাঘের সংখ্যা সঠিক নয়।

তবে ক্যামেরায় ছবি তুলে ২০০৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান ব্রিটিশ জুয়োলজিক্যাল সোসাইটির সহায়তায় সুন্দরবনে বাঘ গণনা জরিপ করেন। তাতে বাঘের সংখ্যা ছিল ২০০টি। সেই হিসাবে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা গত নয় বছরে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ ছাড়া ২০১০ সালে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ যৌথভাবে সুন্দরবনের খালে বাঘের বিচরণ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে একটি জরিপ করে। এতে বাঘের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৪৫০টি বলে উল্লেখ করা হয়।

বর্তমান জরিপে সুন্দরবনে মোট ৩৮টি পূর্ণবয়স্ক ও চারটি বাঘের বাচ্চার ছবি তুলতে পেরেছে বন বিভাগের জরিপ দল। বাকি ৬৮টি বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে খালে তাদের পায়ের ছাপ গুনে ও বিচরণের অন্যান্য তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। ক্যামেরাবন্দী হওয়া ৩৮টি বাঘের ৩০ শতাংশ পুরুষ এবং বাকিগুলো নারী।

উল্লেখ্য, ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বনের ভেতর গাছের গায়ে ক্যামেরা বাঁধা থাকে। এর কাছাকাছি গন্ধযুক্ত কিছু রেখে বাঘকে কাছে আসতে প্রলুব্ধ করা হয়। এ গন্ধ শুঁকে বাঘ আসে। আর সামনে কোনো রকম নড়াচড়া দেখলে গাছের সঙ্গে বাঁধা ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ছবি তুলতে থাকে। সাধারণত খালের পাড়ে বা বাঘ চলাচলের সম্ভাব্য পথের পাশেই বসানো হয় ক্যামেরাগুলো। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ক্যামেরার ব্যাটারি ও মেমোরি কার্ড পরিবর্তন করা হয়।

জরিপে দেখা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৪,৮৩২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাঘ বিচরণ করে। এদের বিচরণের প্রধান ক্ষেত্র বাগেরহাটের কটকা, কচিখালী ও সুপতি; সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ, দোবেকি ও কৈখালী এবং খুলনার নীলকমল, পাটকোষ্টা ও গেওয়াখালী। এই তিনটি অঞ্চলে ভাগ করে ওই জরিপটি চালানো হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাটে ১৭টি, সাতক্ষীরায় ১৩টি ও খুলনায় আটটি বাঘের ছবি ধারণ করা হয়েছে।

বাঘের ছবি তোলার জন্য বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় ৭১টি করে এবং খুলনায় ১৩২টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। বন বিভাগের ৩০ জন কর্মী ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এ জরিপটি করে। এই সময়ে প্রতি দুই দিন পর পর ওই ক্যামেরা পরীক্ষা করে বাঘের ছবি দেখা হয়। এই তিনটি এলাকার মধ্যে বাগেরহাটে প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে ৩.৭টি, সাতক্ষীরায় ২.৭৭ ও খুলনায় ১.০৮টি করে গড়ে বাঘ বিচরণ করতে দেখা গেছে।

বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, গত ১৬ বছরে ৫২টি বাঘ গ্রামবাসী, চোরা শিকারি ও বিভিন্ন ধরনের অপঘাতে মারা গেছে। এ ছাড়া গত দেড় বছরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে র্যা ব ছয়টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে চারটি চামড়াই পাওয়া গেছে গত ডিসেম্বরে সুন্দরবনের ভেতরে তেলবাহী জাহাজডুবির পর। তবে বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য গবেষক পাভেল পার্থের একটি চলমান গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১৪ মাসে সুন্দরবনে চোরা শিকারিদের হাতে ১০টি বাঘ ও ৮১টি হরিণ মারা পড়েছে

২০০৯ সালে সরকার টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে। ২০১০ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বাঘ সম্মেলনে ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ওই ঘোষণায় স্বাক্ষরও করেছে। এতে বলা হয়েছিল, বিশ্বের ১৩টি বাঘসমৃদ্ধ দেশ প্রতি দুই বছর পর পর বাঘ গণনা করবে। বালাদেশ ওই ঘোষণার পাঁচ বছর পর বাঘ গণনা শেষ করেছে। ভারত ২০১৩ সালে ও নেপাল ২০১৪ সালে ক্যামেরা পদ্ধতিতে বাঘ গণনা শেষ করে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের

জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন

  • গাজায় অনাহারে ২ শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু
  • যুক্তরাষ্ট্রে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীদের ভিসার মেয়াদ
  • সিগারেটের আগুন থেকে দাবানল, সাইপ্রাসের ১০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল পুড়ে ছাই
  • চবিতে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ-ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ১০
  • রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
  • স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
  • কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
  • স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদের কথা মাথায় রেখেই দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে
  • বিএনপি সুশাসনে ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করে
  • ভাতার ১ম কিস্তি শুরু; গর্ভবতী ভাতার আবেদন শর্ত
  • ফোরজির সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস কার্যকর হচ্ছে সেপ্টেম্বর থেকে