বার্সেলোনার ৩-১ গোলের জয়ের উল্লাস
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2015/06/barca-4-622x350.jpg)
বার্সেলোনার ইতিহাস গড়ার মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল, বাকি ছিল শুধু সেটা মঞ্চায়নের। বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়াম তারই সাক্ষী হলো, প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ‘ট্রেবল’ জিতল স্প্যানিশ ক্লাবটি। এই অর্জন লুইস সুয়ারেসদের কাছে অবিশ্বাস্য, অনন্য।
একবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপের সেরা দল হয়ে ওঠা বার্সেলোনার রাজকীয় পথ চলার শুরু মূলত ২০০৫-০৬ মৌসুমে। সেবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় শিরোপা জেতে তারা। সেখান থেকে গত এক দশকে এই নিয়ে চতুর্থবার মহাদেশ সেরার মুকুট পড়লো ক্লাবটি। ইউভেন্তুসের সঙ্গে শক্তি-সামর্থ্যের পার্থক্যে অনেকেই সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন ধরে রেখেছিল বার্সেলোনাকে। তারপরও লড়াইটা যখন একটি ম্যাচের, শিরোপা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ‘কিন্তু’ তো একটা ছিলই।
শনিবার রাতে মাঠের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত অবশ্য কোনো ‘অঘটন’ ঘটেনি, ৩-১ গোলের জয়ে শিরোপা উল্লাস করেছে ফেভারিট বার্সেলোনাই। দলটির মূল কারিগর লিওনেল মেসি আর বহুদিনের অভিজ্ঞ সৈনিক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, চাভি এর্নান্দেসরা এই উদযাপন আগেও করেছেন বেশ কবার। কিন্তু শ্রেষ্টত্বের মুকুট পরার আনন্দ তো প্রতিবারই একইরকম। চ্যাম্পিয়নদের কারো কারো জন্যে এটা আবার ছিল একেবারে আনকোরা।
নেইমার যেমন আগেই বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলতে পারাটাই তার কাছে স্বপ্ন পূরণের মতো। স্বপ্নের সেই মঞ্চে গোল করে রাজকীয় ঢঙেই ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার টুর্নামেন্টের শিরোপা উদযাপন করলেন তিনি। বার্লিনে ইতিহাস রচনার দিনে গোল পেয়েছেন লুইস সুয়ারেসও। ৬৮তম মিনিটে তার গোলেই দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। দলটিতে যোগ দেওয়ার প্রথম মৌসুমেই এমন চমৎকার সাফল্য, তাতে আবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের যেন হাওয়ায় উড়তেও মানা নেই।
ম্যাচ শেষে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সুয়ারেস বললেনও তেমনটাই। “এটা অবিশ্বাস্য, এটা অনন্য। এই ট্রফি গুলো জিততে আপনাকে কষ্ট করতে হবে। আপনি যখন বার্সার মতো একটা ক্লাবে আসবেন, তখন আপনি জানবেন যে এখানে আপনি জিততেই এসেছেন। একটা স্বপ্ন সত্যি হলো।” গত বছর বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান তো বুঝতেই পারছেন না, এই মাত্র তারা কি জয় করলেন। ইতিহাস গড়ে নিজের অনুভূতি এভাবেই জানালেন জার্মানির এই গোলরক্ষক।
“আজ কি হলো, আমি বুঝাতে পারব না, কিন্তু দলের জন্য আমি সত্যিই খুশি। ভালো একটা মৌসুম আমরা কাটিয়েছি।”এর আগে ২০০৮-০৯ মৌসুমে পেপ গার্দিওলার অধীনে প্রথম ট্রেবল জিতেছিল বার্সেলোনা। সেবার দলটির সাফল্য ছিল আরও চমকপ্রদ; ওই বছরে সম্ভব ৬টি শিরোপার সবকটি জিতেছিল তারা। এক বছরে ৬ শিরোপা! বিস্ময়কর সেই সাফল্যের পথে আরেকবার হাঁটার সুযোগ কিন্তু এবারও খোলা বার্সেলোনার সামনে। লা লিগা, কোপা দেল রের পর এবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শ্রেষ্টত্ব। বছরের বাকি তিনটিও কেন নয়?
ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের সুযোগ রয়েছে বার্সেলোনার সামনে।
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/06/cats6-1.jpg)
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/07/1-14-521x350.webp)
মুস্তাফিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওয়াসিম আকরাম
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুর্দান্ত বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। কাটার, স্লোয়ারে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদেরবিস্তারিত পড়ুন
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/07/1-20-622x350.jpg)
দিয়াগো কস্তার বীরত্বে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পর্তুগাল
অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পেয়েও ব্যর্থ হন দলের সেরা তারকা ক্রিস্তিয়ানোবিস্তারিত পড়ুন
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/06/1-26-624x350.webp)
শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে বিসিবি যা ভাবছে
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সব ফরম্যাটের জন্য বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব পানবিস্তারিত পড়ুন