বিএনপিকে পর্যুদস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে সরকার
আইনের শাসন নিশ্চিত করাসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে দিশেহারা সরকার এখন বিএনপিকে পর্যুদস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান এ অভিযোগ করেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে ময়মনসিংহের নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ এবং ফরিদপুরের মধুখালীতে মিছিল থেকে ছাত্রদল নেতাদের গ্রেপ্তার করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবি জানিয়ে গণমাধ্যমে এ বিবৃতি দেন তারা।
ছাত্রদলের বিবৃতি অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত হলেন, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শরিফ উদ্দিন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হুদা গোলাপ, পৌর ছাত্রদলের সদস্য মো. সানি, ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সদস্য জহিরুল ইসলাম লিটন, মধুখালী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এস এম মোক্তার হোসেন এবং সদস্য গোলাম মহিম, সাজিদুল বারী আশিক ও মোর্শেদ আবু নসুর টিটু।
বিবৃতিতে ছাত্রদল নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার তার নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে একের পর এক ইস্যু তৈরি করে জনগণের মন ও ভাবনাকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল এঁটেছে। সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে দিশেহারা সরকার এখন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে পর্যুদস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চায় তারা। এরই অংশ হিসেবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই রায় দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তারা আরো বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো রায়ের প্রতিবাদে ফুসে ওঠা জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে অবৈধ সরকার এখন গণগ্রেপ্তার করছে।
ছাত্রদল নেতৃদ্বয় বলেন, দেশব্যাপী ছাত্রদলসহ সাধারণ মানুষের প্রতিবাদই প্রমাণ করে, ভোটারবিহীন সরকারের নির্দেশেই আজ্ঞাবহ দুদকের করা আপিলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে সরকার নির্দেশিত এই বানোয়াট রায় দেয়া হয়েছে। কারণ, এই মামলায় নিম্ন আদালতে বেকসুর খালাস পান তিনি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। ২০ কোটি টাকা জরিমানাও করেন আদালত।
অর্থপাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে দুদক। বিচার শেষে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। অপর আসামি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন