বিএনপির মহাসচিব পদে আমীর খসরু!

বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হয়েছে গত ১৯ মার্চ। দলের নেতা-কর্মীদের আশা ছিল, সেদিনই মহাসচিবের নাম ঘোষণা করবেন বিনা প্রতিদন্ধিতায় নির্বাচত হওয়া দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মহাসচিব হওয়ার দৌড়ে তখন এগিয়ে ছিলেন দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও ‘ভদ্র’ রাজনীতিবিদ বলে পরিচিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে সেদিন নাম ঘোষণা না করে নেতাকর্মীদেরকে দলের মহাসচিবের নাম শুনতে অপেক্ষায় রাখলেন খালেদা জিয়া। কাউন্সিলের ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত মহাসচিবের নাম ঘোষণা করেননি তিনি। এ সময়ের মধ্যে আবার নতুন করে শুরু হয়েছে গুঞ্জন, ফখরুল নয়, মহাসচিব হচ্ছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী!
অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে গত ১৯ মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়া কাউন্সিলে কাউন্সিলররা কমিটি গঠনের জন্য খালেদা জিয়াকে একক ক্ষমতা দেয়। কাউন্সিলরদের দেয়া ক্ষমতা অনুযায়ী স্থায়ী কমিটি, উপদেষ্টা, ভাইস চেয়ারম্যান, নির্বাহী কমিটি চূড়ান্ত করবেন খালেদা জিয়া। সেদিন দলের প্রায় সবারই প্রত্যাশা ছিল, মহাসচিবের নাম ঘোষণা করবেন খালেদা জিয়া।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মহাসচিব পদটি দলের অনেক গুরুত্বপুর্ন পদ। সবার আশা ছিল কাউন্সিলের দিন মহাসচিবের নাম ঘোষণা কয়া হবে। তবে শেষপর্যন্ত তা আর হয়নি। আমার মতে এটা উচিৎ হয়নি। সেদিন দলের মহাসচিবের নাম ঘোষণা করা উচিৎ ছিল।’
এদিকে ১৯ মার্চ চূড়ান্ত না করলেও শিঘ্রই বেগম খালেদা জিয়া দলের মহাসচিব চূড়ান্ত করবেন বলে জানা গেছে। আর মহাসচিব পদে মির্জা ফখরুল ইসলাম ‘প্রায় নিশ্চিত’ হলেও নতুন করে শোনা যাচ্ছে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নাম।
আমির খসরু মাহমুদ চট্টগ্রামের সন্তান। আর দলের কমিটিতে যারা চট্টগ্রামের রয়েছেন তারা ‘পরিক্ষীত’ বলেই দাবি দলের অনেক নেতাকর্মীদের। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমান ‘শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে’ স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। এছাড়া চট্টগ্রামেই জিয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সেদিক দিয়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে বিএনপির ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সবকিছু বিবেচনা করে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী মহাসচিব হিসেবে উপযুক্ত বলেও মনে করেন অনেকেই।
আমির খসরু রাজনীতিবিদ হিসেবে ‘তেমন জনপ্রিয়’ না হলেও ব্যবসায়িক দিক দিয়ে তিনি অনেক সফল। তিনি সার্ক দেশসমূহ নিয়ে গঠিত স্টক এক্সচেঞ্জ সংগঠন সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব এক্সচেঞ্জেস এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মাহমুদুন নবী চৌধুরী ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং গভার্নিং কাউন্সিলের সদস্য।
চট্টগ্রাম চেম্বারের পরপর দু’বার সভাপতি থাকাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম চেম্বারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে অসামান্য ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদেও সম্মানের সাথে প্রতিনিধিত্ব করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক সেমিনারে বক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ কারনে বিএনপির একাংশ মনে করছেন, ব্যাবসায়িক দিক দিয়ে সফল এ ব্যাক্তিকে দলের মহাসচিব বানালে সেখানেও সফল হবেন তিনি।
এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমানের দৃষ্টি আকর্শন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি জানি না কে মহাসচিব হচ্ছেন। তবে যিনিই হন, দলের জন্য ভালভাবে কাজ করে যাবেন এমন একজনকেই মহাসচিব করা হবে।’ দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিও অনেক তাড়াতাড়ি বেগম খালেদা জিয়া চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবেন বলেও জানান মাহবুবুর রহমান।
তবে শেষপর্যন্ত দলের গুরুত্তপুর্ন এ পদে কে বসতে যাচ্ছেন-তা জানার জন্য আরো কয়েকদিন বেগম খালেদা জিয়ার দিকেই চেয়ে থাকতে হবে দলের নেতা-কর্মীদেরকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন