বিজিবি-বিএসএফের যৌথ অনুশীলন সুন্দরবন এলাকায়

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ‘সুন্দরবন মৈত্রী’ নামে এক যৌথ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সুন্দরবন এলাকায় ৩৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন, নীলডুমুরের আত্ততাধীন কৈখালী বিওপি এবং ভারতের ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন, সমশেরনগর এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এই অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়।
রবিববার বিকালে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই যৌথ অনুশীলনের দ্বিতীয় দিন রবিবার দুপুরে সুন্দরবনের টি-জংশন এলাকায় (হাড়িয়াভাঙা ও রায়মঙ্গল নদীর সংযোগস্থল) পণ্যবাহী ভারতীয় কার্গো জাহাজ তল্লাশির যৌথ অনুশীলন করা হয়। বিএসএফ এর আমন্ত্রণে আজ ভারতীয় অংশে বিএসএফ এর ভাসমান বিওপিতে বিজিবি ও বিএসএফ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই যৌথ অনুশীলন পরিদর্শন করেন এবং উভয় পক্ষ সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে উভয় পক্ষই যৌথ অনুশীলন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন এই যৌথ অনুশীলন কার্যক্রম সুন্দরবন এলাকায় সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিশেষভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের কর্মতৎপরতা আরও কার্যকরভাবে প্রসারিত হবে।
আজকের অনুষ্ঠানে বিজিবি’র দক্ষিণ পশ্চিম রিজিয়ন, যশোর এর রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন, যশোর এর পরিচালক (অপারেশন), ৩৪ ও ৩৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়কদ্বয়, দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন, যশোরের ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ কমান্ডার, রিভারাইন বর্ডার গার্ড কোম্পানী, নীলডুমুর, এর অধিনায়কসহ বিজিবি’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবির বিজিবি সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
অপরদিকে ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার এর আইজি শ্রী সন্দীপ সালুনকি, ডিআইজি শ্রী কে এল শাহ, কলকাতা সেক্টর কমান্ডার, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের নোডাল অফিসার, ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট , বিএসএফ এর বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসার এবং অন্যান্য পদবির বিএসএফ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। অনুশীলনের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ এবং ভারতের ১০ জন করে সাংবাদিক এই অনুশীলন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
এই যৌথ অনুশীলনের লক্ষ্যসমূহ সুন্দরবন এলাকার জল সীমানায় সাধারণ সমস্যা এবং ঝুঁকিসমূহ পর্যবেক্ষণ করা, বিজিবি-বিএসএফ কর্তৃক সুন্দরবন এলাকায় নিজ নিজ সীমানার মধ্যে থেকে যৌথ টহল পরিচালনা করা, যৌথ টহল পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকল রুটে চলাচলকারী কার্গো এবং মাছ ধরার ট্রলারে তল্লাশী কার্যক্রম অনুশীলন করা এবং উভয় দেশের ফরেষ্ট ক্যাম্প ও কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হওয়া। আগামীকাল সোমবার এই “সুন্দরবন মৈত্রী” যৌথ অনুশীলনের সমাপ্তি হবে।
এই যৌথ অনুশীলন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা প্রসঙ্গে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের পাঁচদিন ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছিল। এ ধরনের অনুশীলন দুই বাহিনীর বিরাজমান সুসম্পর্ক ও আস্থা আরও সুদৃঢ় করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন