শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

বিতর্ক ভুলে ক্রিকেটেই মন দুই দলের

মহেন্দ্র সিং ধোনির স্মৃতিশক্তি দেখা যাচ্ছে খুবই খারাপ! যে ম্যাচ নিয়ে এত বিতর্ক, অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, আইসিসিতে তোলপাড়—সেটি নাকি তাঁর মনেই নেই! মেলবোর্নে মহাবিতর্কিত ওই বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে প্রশ্ন করায় ভারতীয় অধিনায়ক বিস্মিত হয়ে জানতে চাইলেন, কোন ম্যাচের কথা হচ্ছে। আবারও তা বুঝিয়ে বলার পর দাবি করলেন, গত দু-এক দিনের কথা মনে রাখা যায়, কিন্তু চার-পাঁচ মাস আগের কথা মনে রাখা খুব কঠিন!

এরপরও নাছোড়বান্দার মতো ‘ওই ম্যাচের কী মনে আছে’ প্রশ্নে দিগন্ত উন্মোচনকারী তথ্য, ‘ইট ওয়াজ আ গেম অব ক্রিকেট।’ তা তো অবশ্যই। তবে অবশ্যই আর দশটা ‘গেম অব ক্রিকেট’-এর মতো নয়। বডিলাইন সিরিজ নিয়ে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যা হয়েছিল বা আন্ডারআর্ম বোলিং নিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে, সেসবের সঙ্গে তুলনা করাটা বাড়াবাড়ি। তবে ওয়ানডে ইতিহাসে আর কোনো ম্যাচ নিয়ে বিতর্কের আগুন এমন দাউদাউ করে জ্বলেনি। দুই দলের কোনোটি না থাকার পরও যেটির জের গিয়ে পড়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনালেও।

মেলবোর্নের সেই ম্যাচের পর দুই দলের প্রথম দেখা। সেই স্মৃতি তাই ফিরে ফিরে আসবেই। আসছে, আবার হারিয়েও যাচ্ছে। সিরিজ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দুই অধিনায়কের হাতেই যেন বালতি ভরা জল। বিতর্কের আগুন নিভিয়ে শুধুই ক্রিকেটে মন ফেরাতে। মাশরাফি বিন মুর্তজা যা বললেন, সেটি ক্রিকেটের বাণী চিরন্তনীতে স্থান পাওয়ার মতো—‘মাঠে আমরা যুদ্ধ করি ঠিকই, কিন্তু এমন না যে সেটি যুদ্ধই।’ মেলবোর্নের ওই ম্যাচ-পরবর্তী সময়টার দিকে ইঙ্গিত করে যেন আবেদনই করলেন আমজনতার কাছে, ‘খেলাকে খেলার মতোই রাখা হোক।’

দুই দল তা-ই রাখছে। সন্ধ্যায় হোটেলে দুই অধিনায়ক ট্রফি নিয়ে আলোকচিত্রীদের পোজ দিলেন। ধোনি আর মাশরাফি সেখানে যুযুধান দুই সেনাপতির বদলে পেশাদারি শ্রদ্ধামিশ্রিত বন্ধুত্বের বাতাবরণে। মাশরাফির সঙ্গে দেখা হলে প্রথম যে প্রশ্নটা অবধারিত, ধোনিও সেটিই করলেন। জানতে চাইলেন পায়ের অবস্থা। মাশরাফির হাঁটুতে ষষ্ঠ অস্ত্রোপচারের পর যখন দেখা হয়েছিল, হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘সাত-আটটা অপারেশন হলেও তুই ঠিকই খেলবি।’ ধোনির চার মাস বয়সী মেয়ের খোঁজখবর নিলেন মাশরাফি।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম দুটি জয়েই মাশরাফি ম্যাচসেরা বলে এই দুই দলের খেলা হলেই তাঁর ওপর আলোটা একটু বেশি থাকে। ধোনির স্মৃতিশক্তি যতই ‘খারাপ’ হোক, এটি তাঁর ভুলে যাওয়ার কথা নয়। তাঁর ক্যারিয়ারের ঊষালগ্নেই যে মাশরাফিধন্য ওই দুটি জয়। বাংলাদেশের বিপক্ষেই ওয়ানডে অভিষেক। পরের ম্যাচেই হারতে দেখেছেন ভারতকে। পরের দুই ম্যাচে আরও একবার। বাংলাদেশের বিপক্ষে চার ম্যাচ খেলার পর ধোনি দেখেছেন—স্কোরলাইন ২-২।

এমনিতে দুই দলের ওয়ানডে দ্বৈরথে ভারত অনেক এগিয়ে। ২৯ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র তিনটি। তার পরও বাংলাদেশ-ভারত ভবিষ্যতে ভারত-পাকিস্তানের মতো ঝাঁজালো প্রতিদ্বন্দ্বিতার নাম হয়ে উঠবে কি না, এমন আলোচনা কেন? কারণ বাংলাদেশের তিনটি জয়েই শুধুই একটি জয়ের সীমা ছাড়িয়ে আলাদা মাত্রা। ২০০৪-এর ডিসেম্বরে ভারতকে হারিয়েই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দৈত্য-বধ অধ্যায়ের সূচনা। পোর্ট অব স্পেনে পরের জয়টি নাড়িয়ে দিয়েছিল ২০০৭ বিশ্বকাপকে। বছর তিনেক আগে সর্বশেষ জয়ে ভারতকে বিদায় করে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ ফাইনালের পথে যাত্রা। যে কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরিটা নির্ভেজাল আনন্দের উৎস হয়ে নেই।

তা বাড়তি একটা মাত্রা তো এই সিরিজেও আছে। সমান পয়েন্ট নিয়েও ওয়ানডে র্যা ঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাত নম্বরে। বাংলাদেশ আট। সিরিজে একটি ম্যাচ জিতলেও দুই দল র্যা ঙ্কিংয়ে স্থান বদলাবে। এটা এমন বড় কিছু হতো না, যদি এতে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সমীকরণ লুকিয়ে না থাকত। র্যা ঙ্কিংয়ে প্রথম আট দল খেলবে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওই টুর্নামেন্টে। যে হিসাবটা হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।

ওয়ানডেতে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স একটি কেন, একাধিক জয়ের কথা ভাবারও সাহস জোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। টেস্টের বাংলাদেশ আর ওয়ানডের বাংলাদেশ যে এক নয়, এটা ক্রিকেট-বিশ্ব এরই মধ্যে জেনে গেছে। সাদা পোশাক খুলে রঙিন জার্সি গায়ে চাপালেই আশ্চর্য এক রূপান্তর ঘটে যায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মনোজগতে।

সবচেয়ে দৃশ্যমান পরিবর্তনটা হয় পেস বোলিংয়ে। টেস্টে যা নিয়ে হাহাকার, মাশরাফি আর তাসকিনের কারণে ওয়ানডেতে সেটিই বড় শক্তি। এতটাই যে, মাশরাফি অবলীলায় ঘোষণা করে দিতে পারেন, ‘আমাদের পেস আক্রমণের যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপকে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে।’

ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকেও? এই প্রশ্নের উত্তরটাই বোধ হয় নির্ধারক হতে যাচ্ছে সিরিজের। নাকি ফতুল্লা টেস্টের মতো ব্যাটিং-বোলিং ছাপিয়ে এখানেও বড় হয়ে উঠবে বৃষ্টি? জ্যৈষ্ঠের শেষই যেভাবে ভাসিয়ে দিল চরাচর, আষাঢ় কি আর পিছিয়ে থাকতে চাইবে! রিজার্ভ ডে রেখেও সেটি সামাল দিতে পারলে হয়!

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মুস্তাফিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওয়াসিম আকরাম

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুর্দান্ত বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। কাটার, স্লোয়ারে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদেরবিস্তারিত পড়ুন

দিয়াগো কস্তার বীরত্বে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পর্তুগাল

অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পেয়েও ব্যর্থ হন দলের সেরা তারকা ক্রিস্তিয়ানোবিস্তারিত পড়ুন

শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে বিসিবি যা ভাবছে

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সব ফরম্যাটের জন্য বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব পানবিস্তারিত পড়ুন

  • চিলিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
  • প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
  • অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিতে আফগানিস্তান
  • সেমিফাইনাল নিশ্চিতের মিশনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ইংল্যান্ড
  • আবারও বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ
  • বৃষ্টির পর অস্ট্রেলিয়া শিবিরে রিশাদের জোড়া আঘাত
  • টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় সেরা দশে হৃদয়
  • টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটএ বাংলাদেশের ম্যাচ
  • আফগানিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে হারালো ওয়েষ্ট ইন্ডিজ
  • নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
  • অস্ট্রেলিয়ার জয়ে ইংল্যান্ড সুপার এইটে
  • বিশ্বকাপে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে যে রেকর্ড গড়লেন সাকিব