বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বৃষ্টি আরও ভোগাবে বাংলাদেশকে

এপ্রিলের অতিবৃষ্টিতে আগাম বন্যা আর হাওরে ফসলহানির পর চালের মূল্যবৃদ্ধি দেখেছে দেশ। মে মাসটি কেটেছে বৃষ্টি আর রোদের মিশেলে। জুনে বর্ষাকাল শুরু হওয়ার আগে আগে আবার বৃষ্টি। অতি বর্ষণে দেশের দুই প্রধান শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম তলিয়ে যাচ্ছে যখন-তখন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী গোটা বছরটাই বৃষ্টি ভোগাবে বাংলাদেশকে।

রবিবার রাত থেকে শুরু করে টানা ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ঢাকা চলে গিয়েছিল পানির নিচে। নগরীর যে অংশে সচরাচর পানি ওঠে না, সেসব এলাকাতেও হাঁটুপানি জমে থাকার ছবি এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরদিন বৃষ্টি থামলেও নিচু এলাকাগুলো তলিয়েই থাকে।

চট্টগ্রামের অবস্থা আরও খারাপ। কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায় নগরীর একটি বড় অংশ। কদিন আগেও ঘূর্ণিঝড় মোরার পর একই ধরনের ভোগান্তি দেখেছে বন্দরনগরী।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড মতে গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির হয়েছে সোমবার। ২০০৭ সালের ১১ জুন ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। আর ১২ জুন বৃষ্টি হয় ১৩৯ মিলিমিটার।

আবার সোমবার রাতের অতি বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে অন্তত ৯২ জনের মৃত্যু ঘটে।

এর আগে গত এপ্রিলে দেশে বৃষ্টি হয়েছে ৩৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫,২৮৬ মিলিমিটার। কিন্তু হয়েছে ৭৬ শতাংশ বেশি। এই মাসে একবারই এর চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছিল, সেটা ১৯৮১ সালে।

মাঝে মে মাসে বৃষ্টিপাত ছিল অনেকটা স্বাভাবিক, বরং স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য কম। কিন্তু ‘এই সামান্য কম বৃষ্টি’ যেন জুনে আবার পুষিয়ে নিচ্ছে প্রকৃতি।

চলতি বছর এত বৃষ্টি কেন? আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এপ্রিলে কালবৈশাখী ঝড় স্বাভাবিক চিত্র হলেও এবার বৃষ্টি হচ্ছে মুষলধারে, যা সাধারণত বর্ষাকালে দেখা যায়। অনেক বছর পর এ ধরনের ভারী বর্ষণকে ‘ক্লাইমেট ভ্যারিয়েবিলি’বলছেন আবহাওয়াবিদরা। বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় বেশি দুর্বল থাকায় পুবালি ও পশ্চিমা লঘুচাপের সক্রিয়তাকে অতি বর্ষণের কারণ দেখছেন তারা।

১২ জুন ঢাকায় ১৩৯ মিলিমিটার ছাড়াও ৩১ মে চট্টগ্রামে ১৭৭ মিলিমিটার, সীতাকুন্ডে ১৩৮ বৃষ্টি, রাঙ্গামাটি ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস সঙ্গে। তিনি বলেন, পশ্চিমা ও পুবালি লঘুচাপের সংমিশ্রণের ফলে জ্বলীয়বাষ্প বেশি সৃষ্টি হওয়ায় এবার বৃষ্টি বেশি হয়েছে। এই অবস্থা অবশ্য কয়েক বছর পর পরই হয়। ধারাবাহিক ভাবে বৃষ্টি কোন বছরে একটু বেশি বৃষ্টি হয়, কোন বছর একটু কম বৃষ্টি হয়।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদের বলেন, ‘গত বছর এল নিনোর প্রভাব ছিল আমাদের দেশে, সেটা জুন জুলাইয়ে ডিসলভ হয়ে যায়। গত এপ্রিল মাসে সেটা ট্রানজিকশন প্রিয়ড ছিল। ফলে পুবালী বায়ু ছিল শক্তিশালী, সেটা পশ্চিমা লঘুচাপে মিলিত হয়ে প্রচুর পরিমাণ জলীয়বাষ্প সৃষ্টি করার কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে।’

এ আবহাওয়াবিদ বলেন, চলতি বছর পুরোটাই এই রকম অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক বৃষ্টি নয়, পাঁচ থেকে ১০ বছর পর পর এই ধরনের বৃষ্টি হয়। এগুলো মাথায় নিয়েই রাজধানীতে ড্রেনেজ সিস্টেমগুলো করা উচিত।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নুর ইস্যুতে রনি: তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু হবে না

পটুয়াখালী-৩ আসনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের নুরকে সাংগঠনিকবিস্তারিত পড়ুন

বুধবার ফের অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

অধিভুক্তি বাতিল করে আলাদা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করতেবিস্তারিত পড়ুন

৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্ত প্রকাশ করতে হাইকোর্টের রুল

৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্তভাবে পুনর্মূল্যায়ন করে প্রকাশ করতে রুল জারিবিস্তারিত পড়ুন

  • নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির প্রধান হচ্ছেন যিনি
  • ২০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
  • ধানমন্ডিতে প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা ছিনতাই
  • চালের আমদানি শুল্ক মওকুফের সুপারিশ
  • নাহিদ: বিজয় অর্জন না হলে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়ে রেখেছিলাম
  • জামায়াত আমির: ভোটের ময়দানে ফিরে আসার নৈতিক অধিকার নেই আওয়ামী লীগের
  • গাজায় এক বছরের যুদ্ধে ৪৩,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত
  • প্রথমবারের মতো জনসভায় বিজয়
  • পটুয়াখালীতে নুরের পক্ষে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে বিএনপির নির্দেশ
  • শিল্প কারখানায় ফের গ্যাস সংযোগের সম্ভাবনা, সুখবর নেই গৃহস্থালিতে
  • কাজে যোগ না দেওয়া পুলিশ সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে
  • প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং: কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার