পোশাকের গণ্ডি পেরিয়ে এমন ঘটনা ঘটে হামেশাই। অনেকে মুচকি হাসেন, কারও মুখ থেকে ছিটকে বেরোয় বেলাগাম মন্তব্য। অভিনেত্রী সালোনি চোপড়়া দিলেন সমুচিত জবাব।

ইনস্টাগ্রামে আছড়ে পড়েছে এমটিভি ইন্ডিয়ার ‘‘গার্লস অন টপ’’-এর অভিনেত্রী সালোনি চোপড়ার ক্ষোভ। যাঁরা মহিলাদের পোশাক পেরিয়ে অন্তর্বাসের উঁকিঝুঁকি দেখে হাসেন বা কু-মন্তব্য ছোড়েন, তাঁদের একহাত নিয়েছেন সালোনি।

ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘‘জীবনটাই তো ব্রা-র মতো। যৌনতা নিয়ে মহিলাদের খোলাখুলি কথাবার্তা বলা উচিত। যিনি ভেবেছিলেন যে, পুরুষরা খালি গায়ে স্রেফ বক্সার পরে ঘুরতে পারে এবং মহিলাদের অন্তর্বাস দৃশ্যমান হওয়া উচিত নয়, তিনি নিঃসন্দেহে আমাদের সমাজের চরম ক্ষতি করেছেন…আপনার ব্রা-র স্ট্র্যাপ কোনওভাবে বেরিয়ে পড়লে অনেকেই দেখেছি বেশ রেগে যান। আমি নিজে এই ধরনের বেশ কয়েকজন ‘রুগ্‌ণ’ ব্যক্তিকে চিনি। আপনি কিন্তু প্রথম দর্শনে বুঝতেই পারবেন না, এই সব লোকগুলিকে সংকীর্ণ মানসিকতার শিকার। একেবারে সাধারণ, আর পাঁচজনের মতো। গোড়ায় বেশ ভালই লাগবে। এঁরা ইনস্টাগ্রামে সাহসী মডেলদের ফলো করেন, ফোনে পর্নোগ্রাফি রাখেন। একেবারে ওপেন মাইন্ডেড মানুষ হিসেবে তাঁরা সকলের সামনে আসে‌ন…ব্রা-স্ট্র্যাপ দেখলেই এই সব লোকগুলোর মাথা বিগড়ে যায়। আপনাকে বলা হবে, আপনি নাকি পুরুষদের দেখানোর জন্যই এমনটা ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন। জনসমক্ষে আরও ঠিকঠাকভাবে পোশাক পরা উচিত।’’

এখানেই থামেননি সালোনি। আক্রমণ আরও তীব্র করেছেন পোস্টের পরের অংশে। লিখেছেন, ‘‘আপনি যদি এই ধরনের কোনও লোকের সঙ্গে পরিচিত হন, তাহলে তাঁকে মনোবিদের কাছে পাঠাতে পারেন অথবা বলতে পারেন তাঁর নিজের চরকায় তেল দিতে…আমি নিজে অন্তর্বাস পরি। তা বলে কি আমাকে সর্বদা এমন একটা ভাব করে চলতে হবে যে আমি অন্তর্বাস পরি না? একটি এক টুকরো কাপড় যা আমার স্তনকে ঢাকে ঠিক যেভাবে স্কার্ট আমার পা বা জামার হাতা আমার হাতকে ঢাকে। এতে সমস্যার কী আছে? ‘‘স্তন’’ শব্দটি নিয়ে কি আপত্তি? একজন মহিলার স্তনই কি সকলকে অস্বস্তির মুখে ফেলছে? পুরুষরা কি এতটাই দুর্বল? বিশ্বাস করুন, স্তন স্রেফ শরীরের একটি অংশ মাত্র।’’

তৃতীয় ধাপে আরও তীব্র তাঁর শ্লেষ। বলেছেন, ‘‘পুরুষরা নিজেদের বক্ষ প্রদর্শন করেন। অথচ প্রকাশ্যে একজন মহিলা তাঁর ব্রেসিয়ার ধরতে পারেন না। বেশ…আমি করব। কারণ আমি এতে বিন্দুমাত্র লজ্জিত নই।’’
এবং সেই কাজটি যে তিনি করেছেন তা উপরের ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে।