প্রলোভনের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গাইবান্ধায় ভন্ড জ্বীনের বাদশা শামীমকে হবগিঞ্জে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠে যে, ইতালি প্রবাসী এক মহিলার কাছ থেকে টেলিফোনে শাশীম টাকা চেয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে হবগিঞ্জে পুলশি শামীমকে আটক করে। এ ব্যাপারে সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের কাইতপাড়া গ্রামের ইতালি প্রবাসী ওই গ্রামের সেলিম খার স্ত্রী রানী খানম (৩০) এর দেবর ইসমাইল খান বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।

সূত্রে ও মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঈদের দিন রাত ২টার সময় রানী খানমের মোবাইলে ফোন করে বলে মা গো, মা গো, তোর মঙ্গল হবে। আমার কথা না শুনলে তোর অমঙ্গল হবে, তোর বংশরে প্রদিত নিবে যাবে। তখন রানী খানম বলে কে আপনি। এ সময় বলে আমি জ্বীনের বাদশা শামীম। এসময় জ্বীনের বাদশা লোভনীয় প্রলোভন দিয়ে বলে তুই যদি আমাকে তোর গহনা ও নগদ টাকা পয়সা দেস, তাহলে আমি তকে একটি একটি মূর্তি দেব। আর এই মূর্তি ঘরে রাখলে আরো ৭ টি মূর্তির মালিক হয়ে যাবে এবং তোর বংশের উনতি হবে।

ফোনে শামীম বলেন, তবে এটি কাউকে দেখানো কিংবা বিক্রি করতে পারবি না। বিক্রি করলে তোর বংশ বিনাশ হয়ে যাবে। তখন রানী বলে আপনি আমার নাম্বার কোথায় থেকে ফেলেন। তখন সে উত্তর দেয় আমাদের গায়েবী শক্তি, সবকিছুই দেখতে পারি। এক পর্যায়ে ঐ ভন্ডের ভবিষ্যত বাণী শুনে তার বিশ্বাস জন্ম নেয়। এরপর বিশ্বস্থ হয়ে তাকে বিভিন্ন সময়ে মোট ৭ হাজার ৮শত টাকা দেন তিনি এবং টাকা পয়সা ও গহনা জড়ো করতে থাকেন। বিষয়টি রাণীর শ্বশুর বাড়ির পরিবারের লোকজনের কাছে চাওর হলে তাদের সন্দেহ হয়।

বিষয়টি সদর থানাকে অবগত করা হয়। এক পর্যায়ে রানী কৌশলে ঐ জ্বীনের বাদশা শামীমকে মূর্তি নিয়ে হবিগঞ্জ আসার কথা বলে তখন সে বলে আমি যেতে পারবো না গো মা, ছাওয়ালকে পাঠাচ্ছি। তুমি তার সাথে দেখা করে মূর্তি রেখে টাকা পয়সা গহনা দিয়ে দিও। এরপর মঙ্গলবার দুপুরের সময় গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুক কালাপুর গ্রামে আতাউর রহমান (২৫) মূর্তি নিয়ে হবিগঞ্জ আসে এবং নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় রানীর সাথে কথা হয়।

খবর পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজিম উদ্দিন এর নেতৃত্বে এসআই ওমর ফারুক ও কৌশিক তালুকদারসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ ভন্ড জ্বীনের বাদশাকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিতলের মূর্তি ও তন্ত্র মন্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। বুধবার তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।