বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ভারত-বাংলার সীমান্ত সমস্যা সমাধান হলো

ঢাকা: দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হলো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে। বৃটেনের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। এতে আরও বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রাঙ্কনে বেশ কিছু অদ্ভুত ব্যাপার রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তিকে বার্লিন পতনের সঙ্গে তুলনা করেছেন মোদি। কিন্তু ছিটমহল নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা এক জিনিস, আর দুদেশের মধ্যে অবাধ যাতায়াত সমপূর্ণ ভিন্ন জিনিস।

তবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের সীমান্তের যে ব্যাপ্তি, তার চেয়ে অদ্ভুত খুব কমই আছে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর, বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল। তখন থেকেই সীমান্তের উভয় পাশে ১৬২টি খণ্ড খণ্ড জমি, যেগুলো বস্তুত সীমান্তের অপর পাশের দেশটির মালিকানাধীন।

৬ই জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার ফলে ওই অসঙ্গতি এখন সমাধানের পথে। ওই ছিটমহলগুলো দেশভাগের আগেও যার যার জায়গায় ছিল। কথিত রয়েছে, কয়েক শতাব্দী আগে ২ মহারাজার মধ্যে দাবা খেলার ফলেই ওই ছিটমহলগুলোর সৃষ্টি। মহারাজদ্বয়ের দাবা খেলার বাজি ছিল জমির টুকরোগুলো।

অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল লাইব্রেরির ব্রেন্ডন হোয়াইট অবশ্য বিশ্বাস করেন, বৃটিশদের আবির্ভাবের আগে ১৮ শতাব্দীর দিকে কোচবিহারের মহারাজা ও মোগল সাম্রাজ্যের মধ্যে কয়েকটি চুক্তির ফলে জন্ম হয়েছে ছিটমহলগুলোর। বিশ্বের মধ্যে একমাত্র ওই অঞ্চলেই পাল্টাপাল্টি ছিটমহলের (কাউন্টার-কাউন্টার এনক্লেভ) অস্তিত্ব রয়েছে। বাংলাদেশী ভূখণ্ডের মধ্যে এক খণ্ড ভারত অর্থাৎ বাংলাদেশের মধ্যে ভারতের ছিটমহল। আবার একইভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশী ছিটমহল।

মোদি বিমান থেকে অবতরণের পর হাসিনা তার মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্র বলে পরিচিত ভারতের নেতার কাছ থেকে অনুমোদনের দলিল গ্রহণের জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। সফরের সময় মোদি ২০টির মতো অন্যান্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর মধ্যে রয়েছে সীমান্ত পেরিয়ে বাস সেবা, জ্বালানি খাতে বিনিয়োগসহ আরও অনেক কিছু।

১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙ্গে স্বাধীনতা প্রাপ্তিতে সাহায্য করার জন্য ভারতকে বাংলাদেশে একসময় সাদরে গ্রহণ করা হতো। কিন্তু এরপর থেকে অনেক বাংলাদেশী দেশটিকে কতৃত্বপরায়ণ, এমনকি বিদ্বেষী বিমাতা হিসেবে বিবেচনা করে। মোদির সফরের উদ্দেশ্য ছিল, এটা দেখানো যে, ভূখণ্ড, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ও অবৈধ অভিবাসন নিয়ে বিরোধ জিইয়ে রাখার বদলে আরও বাণিজ্য ও আস্থার মাধ্যমে দুদেশের সমপর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।

বহু দশকের দ্বিধার পর, উভয় দেশ নিজেদের মধ্যকার সীমান্তের উদ্ভট সমস্যা দূর করতে পেরেছে। এখন পর্যন্ত, ছিটমহলে বসবাসকারী ৫০ হাজার মানুষ কার্যত রাষ্ট্রহীন। তারা এমন কিছ ভূখণ্ডের বাসিন্দা, যেখানে নেই কোন বিদ্যালয়, হাসপাতাল বা আদালত। এখন তাদের যে কোন এক দেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়া হবে। সঙ্গে রয়েছে নাগরিকত্বসহ মৌলিক সুবিধাদি। পুরো চুক্তিটি হংকং দ্বীপের অর্ধেক অর্থাৎ ৪০ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট অঞ্চলকে নিয়ে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মাস্ক-স্যানিটাইজার-দূরত্বে কি এইচএমপিভি ঠেকানো সম্ভব?

চীনের উত্তর অঞ্চলে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্ত মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ কিছুটা সময় লাগতে পারে, ধৈর্য ধরার আহ্বান

শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমবিস্তারিত পড়ুন

শফিকুল আলম: ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবাই নতুন বই পাবে

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সবার হাতে নতুন বই দেওয়া হবেবিস্তারিত পড়ুন

  • সমন্বিত ৮ ব্যাংকে অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ৯৯৭ জনকে
  • রাজশাহীতে ‘মদপানে’ চারজনের মৃত্যু
  • তিন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ-বদলির জন্য উপদেষ্টা কমিটি
  • মির্জা ফখরুল: দেশে প্রথম সংস্কার এনেছিলেন জিয়াউর রহমান
  • বিসিএসে চিকিৎসকদের বয়স বাড়াতে আল্টিমেটাম
  • পাঠ্যবইয়ে আবু সাঈদের মৃত্যুর তারিখে ভুল, প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • ছাত্রশিবিরের উপস্থিতিতে অসন্তোষ, ‘জাতীয় সংলাপ’ বর্জন ছাত্রদলের
  • ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভায় বসছে মন্ত্রণালয়
  • মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে হচ্ছে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’
  • সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশনা রাষ্ট্রপতির
  • পদত্যাগের ঘোষণা জাস্টিন ট্রুডোর
  • ঢাকায় অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত