‘ভালোবাসি না’ বলায় মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করলো সৌদি বাবা
সৌদির রাজধানী রিয়াদে সম্প্রতি এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। এক পাষণ্ড বাবা তার সাত বছর বয়সী মেয়ে ইয়ারাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। শিশুটির অপরাধ ছিল সে তার বাবাকে বলেছিল সে তার বাবাকে ভালবাসে না। পুলিশ জানিয়েছে, ঈদুল আযহা অর্থাৎ মুসলমানদের কাছে ত্যাগ ও মহিমা হিসেবে স্বীকৃত দিনটিতেই ওই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
গত তিন মাস ধরে ইয়ারা তার বাবার সঙ্গে থাকছিল। শিশুটির বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর সাত বছর হওয়া পর্যন্ত সে তার মায়ের কাছেই ছিল। কিন্তু মায়ের কাছে শিশুটিকে রাখতে চায়নি ইয়ারার বাবা। তাই তিন মাস আগে জোড় করে শিশুটিকে নিজের কাছে নিয়ে আসে তার বাবা। ইয়ারার মা স্থানীয় দৈনিক আল ওয়াতানকে জানিয়েছে, ইয়ারা তার বাবার কাছে থাকতে চাইছিল না। বাবার কাছে থাকায় সে খুবই অসুখী ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ঈদুল আযহার দিন ইয়ারার বাবা তার কাছে জানতে চেয়েছিল সে বাবাকে ভালবাসে কীনা। তখন শিশুটি বলেছিল ‘আমি তোমাকে ভালবাসি না বাবা।’ এতে ওই পাষণ্ড বাবা ক্ষীপ্ত হয়ে এয়ার কন্ডিশনের পাইপ খুলে শিশুটিকে পেটাতে থাকে। শুধু তাই নয় শিশুটিকে তিনি একটি ধাতব ক্যান দিয়েও মাথায় আঘাত করেন। ওই ঘটনা সম্পর্কে ইয়ারার বাবা পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি শুধু শিশুটিকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। পেটানোর পর তিনি শিশুটিকে রুমে আটকে রাখেন। পরে তিনি শিশুটির অবস্থা জানার জন্য রুমে ঢোকেন। ইয়ারার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তিনি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায়ই শিশুটির মৃত্যু হয়।
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/06/cats6-1.jpg)
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/07/1-59-622x350.jpg)
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/07/1-51-622x350.jpg)
একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৫৭বিস্তারিত পড়ুন
![](https://amaderkonthosor.com/wp-content/uploads/2024/07/1-60-622x350.jpg)
কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
রিপাবলিকান দলের জাতীয় সম্মেলনে ডান কানে বড় ব্যান্ডেজ নিয়েই অংশবিস্তারিত পড়ুন