ভুল চিকিৎসায় পা হারালো মেয়েটি
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে কথিত এক হোমিও ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে পা হারিয়েছে মাদ্রাসা ছাত্রী মিনা। ক্যান্সার আক্রান্ত এই কিশোরী এখন নিদারুণ যন্ত্রণার মধ্যে আছে।
জানা যায়, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অপারেশন করা হয় মিনার। তার বোন আক্তারিনা জানান, মিনার অবস্থা আশংকাজনক। কথিত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে তার অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পার্বতীপুর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের হয়বতপুর দালালিপাড়া গ্রামের মো. রাজুর মেয়ে মিনার বয়স ১৪ বছর। সে নীলকুঠির ডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার ডান পায়ের গোড়ালিতে ছোট একটি টিউমার হয় বছর দেড়েক আগে। মন্মথপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ওই মাদ্রাসার সুপার আনিসুল হক। তিনি মিনার টিউমারটি দেখে নিজে অপারেশন করতে চান। পরিবারের কেউ রাজি না থাকলেও আনিসুল হক জোর করে ব্লেড দিয়ে দোকানে অপারেশন করে সাতটি সেলাই দেয়। কিন্তু এরপরও রক্ত পড়া বন্ধ হয়নি। অসুস্থ্য মিনাকে তখন দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়া হয়।
এই ঘটনা সম্পর্কে মোমিনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. ওহাব মন্ডল বলেন, ভূয়া চিকিৎসকের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আপাতত মেয়েটির চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মেয়েটি সুস্থ হওয়ার পরে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পার্বতীপুরের ইউএনও তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, শিক্ষক আনিছুর রহমান অপারেশন করার কথা স্বীকার করেননি। অভিযোগকারীকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে আনিছুরকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি একজন গভর্মেন্ট রেজিষ্টার্ড ডাক্তার। আমাকে সরকার চিকিৎসা করার পারমিশন দিয়েছে তাই চিকিৎসা করেছি। ’
অপারেশন করার পারমিশন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘দেশে আইন আছে, আইনে আমার যা হবার হবে।’
কথিত চিকিৎসক এই শিক্ষকের আইনি সাজা দাবি করেছেন মিনার স্বজনরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন