শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মানবতাবিরোধী অপরাধে বাগেরহাটে আরো একজন গ্রেপ্তার

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত মামলার এজাহারনামীয় আব্দুল আলী মোল্লা নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল বাগেরহাটের চার যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের পরোয়ানা পেয়ে মঙ্গলবার রাতে আব্দুল আলী মোল্লাকে তার উদানখালি গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

আব্দুল মোল্লাকে রাতেই ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে পাঠানো হয়েছে।

যুদ্ধাপরাধী আব্দুল আলী মোল্লা বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের উদানখালি গ্রামের প্রয়াত হোসেন উদ্দিন মোল্লার ছেলে।

এর আগে গত বছরের ১৬ জুলাই বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাঁতি গ্রামের খান আকরাম হোসেন, একই উপজেলার চাপড়ি গ্রামের শেখ মোহম্মদ উকিল উদ্দিন, কচুয়া উপজেলার যশোরদি গ্রামের ইদ্রিস আলী মোল্লা এবং একই উপজেলার উদনখালি গ্রামের মো. মকবুল মোল্লা নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার নথির বরাত দিয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবিরুল ইসলাম বুধবার সকালে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যুদ্ধাপরাধী আব্দুল আলী মোল্লাকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। আব্দুল মোল্লা ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ সকাল ১০টার দিকে একই এলাকার উকিল উদ্দিন মাঝিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে উদানখালী কাঠেরপুলের উপর নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এঘটনার প্রায় চার দশক পর ২০০৯ সালের ২৮ জুন উকিল উদ্দিন মাঝির স্ত্রী ফতেমা বেগম কচুয়া থানায় চার জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি তদন্ত করে। তাদের প্রাথমিক তদন্তে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলায় সংশ্লিষ্ট আদালতে এই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আব্দুল মোল্লাকে রাতে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া এই আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় (মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) বাগেরহাটের কচুয়া ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল বাগেরহাটের যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে এসব আসামির বিরুদ্ধে ওই সময়ে সংগঠিত অপরাধের সত্যতা পায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। এদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে আবেদন করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল শুনানি শেষে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের তদন্ত কর্মকর্তা জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার মো. হেলাল উদ্দিন মুঠোফোনে দুপুরে বলেন, খান আকরাম হোসেন ও তার সহযোগীরা ১৯৭১ সালের ৫ মে কচুয়া উপজেলার শাঁখারীকাঠি বাজারে গিয়ে নিরীহ লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং ৪২ জনকে হত্যা করে। এছাড়া এরা মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগীতাকারী এসব হত্যাকারী স্থানীয়ভাবে রাজাকার নামে পরিচিত।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে ধরতে ডিবির পরিকল্পনা

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ধারণা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমবিস্তারিত পড়ুন

তৃতীয়বার আনারকে মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে: কাদের

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) স্বর্ণ চোরাচালানকারীবিস্তারিত পড়ুন

মাস্টারমাইন্ড শাহীনের অগাধ রহস্য

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডেবিস্তারিত পড়ুন

  • খুলনায় তিন কেন্দ্রে ব্যালট বই ছিনতাই, গণসিল, মহিলার কারাদণ্ড
  • ৪ হাজার কোটির খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রস্তুত 
  • সাতক্ষীরা জেলায় আম সংগ্রহ উদ্বোধন
  • সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু  
  • টানা ৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, হিট অ্যালার্ট জা‌রি
  • চুয়াডাঙ্গায় আগু‌নে পুড়ল কৃষকের ছাগল ও ভুট্টা
  • কোটি টাকার স্বর্ণসহ ইউপি মেম্বার গ্রেপ্তার
  • বেনাপোলের কিশোরী জোনাকির মরদেহ যশোরে উদ্ধার
  • শিশুর গলায় পিস্তল ঠেঁকিয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুট
  • চুয়াডাঙ্গার সীমান্তে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
  • কলেজের পিয়ন আবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকও তিনি
  • ঝিনাইদহে সেনা সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা