মালয়েশিয়ায় সব পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চান বাণিজ্যমন্ত্রী
মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের সব পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এতে দুদেশের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘৪র্থ শোকেস মালয়েশিয়া-২০১৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া বর্তমানে ৪৯৪ টেরিফ লাইনের মধ্যে ১৯৭টির আওতায় মাত্র ১৯টি বাংলাদেশি পণ্য মালয়েশিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। মালয়েশিয়া টেরিফ ও নন-টেরিফ বাধাসমূহ দূর করলে সেখানে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পাবে। পৃথিবীর অনেক দেশই বাংলাদেশকে এ ধরনের সুবিধা প্রদান করছে।
মন্ত্রী বলেন, গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করেছে ১২৮৭.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে মাত্র ১৪০.০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ১১৪৭.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা প্রয়োজন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পাট-পাটজাত পণ্য, মসলা, চামড়া- চামড়াজাত পণ্য, ওষধ, আলু, শাক-সবজি, সিরামিক টেবিল ওয়্যার, হিমায়িত মাছ, তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, টেক্সটাইল ও হালাল খাদ্য পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্য সুবিধার কারণে চায়নার বাজারেও বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির বড় বাজার। বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ২৫টি পণ্য বিশ্বের ৬৮টি দেশে রপ্তানি করে আয় করত ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের দূরদর্শিতা ও সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে সেই বাংলাদেশ আজ ৭২৯টি পণ্য পৃথিবীর ১৯৬টি দেশে রপ্তানি করে আয় করছে প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে দেশের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সে সময় বাংলাদেশের রিজার্ভ বা রেমিট্যান্স ছিল না বললেই চলে, আজ দেশের রেমিট্যান্স ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে এবং রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। আমাদের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট পজেটিভ। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়, সম্ভাবনার দেশ।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট নাসির এ. চৌধুরির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার নরলিন বিনতে ওথম্যান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মতলুব আহমেদ এবং মেলার আয়োক কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
দেশে রোলস রয়েস ১২টি, ছয় মাসে এসেছে আটটি
বিশ্বের সবচেয়ে অভিজাত গাড়ি বলা হয় রোলস রয়েসকে। তবে একটাবিস্তারিত পড়ুন
শফিকুল আলম: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংখ্যালঘু ইস্যু অন্যায্যভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুবিস্তারিত পড়ুন
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিলো হিন্দু, বৌদ্ধ -খ্রিষ্টান ছাত্র যুব ফ্রন্ট
ভারতের বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও ধর্মীয়বিস্তারিত পড়ুন