মাশরাফির ছক্কা বৃষ্টিতেও কুমিল্লার হার!
আবার দেখা গেল ব্যাটসম্যান মাশরাফিকে। ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিবের এক ওভারে চার চারটি ছক্কা হাঁকালেন তিনি। দলের বাকীদের ব্যর্থতার মাঝেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক অসাধারণ ব্যাটিং করেন। কিন্তু এরপরও বর্তমান বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নিজেদের চতুর্থ ম্যাচেও জয়ে দেখা পেল না। সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ৩৩ রানে পরাজিত হলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৩ রানে সাঙ্গাকারার উইকেট হারায় ঢাকা। ব্যক্তিগত ২০ রানে আল-আমিনের বলে জসীমউদ্দিনের হাতে ধরা পড়েন এই ক্রিকেট কিংবদন্তি। এরপর অপর ওপেনার মেহেদী মারুফের সঙ্গী হন নাসির হোসেন। এরপর মেহেদী মারুঢের সঙ্গী হন ‘গ্রেট ফিনিশার’ নাসির হোসেন। দুজনে মিলে ৮৪ রানের দারুণ এক জুটি উপহার দেন। দলীয় ১১৭ রানে নাসির (৪৩) রায়ানের বলে শেহজাদের হাতে ধরা পড়লে এই জুটি ভাঙ্গে। ইনিংসটি খেলতে নাসির ৫টি চার মারেন।
এর আগে ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি পুরণ করেন মেহেদী মারুফ। তার ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ২টি ছক্কার মার। এরপর আরও একটি ছক্কা হাঁকান মারুফ। রশিদ খানের বলে রায়ানের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরার সময় তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩৯ বলে ৬০ রান।
এরপর দলের হাল ধরেন ডোয়াইন ব্র্যাভো এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি সাকিব। ১৯ বলে ১চার এবং ২ ছক্কায় ২৪ রান করে রশিদ খানের বলে আল-আমিনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে সাকিবের দল। যা চলতি বিপিএল আসরের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা সাকিব-নাসিরের ঘূর্ণিতে খুব সাবধানে ইনিংস শুরু করে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং জসীমউদ্দিন। কিন্তু দলীয় ৩০ রানে ভাঙ্গে উদ্বোধনী জুটি। ১১ বলে ১৯ রান করা ইমরুল নাসির হোসেনের বলে আলাউদ্দিন বাবুর হাতে ক্যাচ দেন। পরের ওভারেই ফিরে যান আরেক ওপেনার জসীমউদ্দিন (১০) । নতুন দুই ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ এবং নাজমুল হাসান শান্ত ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। কিন্তু পরপর দুই বলে দারুণ দুটি ছক্কা হাঁকানোর পর দুর্ভাগ্যজনক স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন শেহজাদ। মোসাদ্দেকের বলে টাল সামলাতে পারেননি শেহজাদ। এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি অভিজ্ঞ কিংবদন্তি সাঙ্গাকারা।
এরপর শুরু হয় ব্যাটিং ধস। দলীয় ৬৮ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে কুমিল্লার। সানজামুল আলমের করা নবম ওভারের শেষ বলে ১৬ রান করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। দুই রানের ব্যবধানে প্রসন্নর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রায়ান (৭)। কুমিল্লার ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ৭৩ রানে। মোহাম্মদ শহীদের বলে প্রসন্নকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রশিদ খান (২)। ১ রানের ব্যবধানে নেই সপ্তম উইকেট। শিকারী সেই শহীদ। সাঙ্গাকারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আল-আমিন।
এরপর সম্মানজনক রানে পৌঁছতেই হয়তো অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সোহেল তানভীরকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। অষ্টম উইকেটে এই দুজনের দৃঢ়তায় ১০০ পার হয় কুমিল্লা। জুটিতে ৩৭ রান আসার পর বোপারার বলে সাঙ্গাকারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সোহেল তানভীর। যদিও উইকেটটি নিয়ে প্রশ্নের যথেষ্ট অবকাশ আছে। একাই লড়তে থাকেন অধিনায়ক মাশরাফি। দারুণ সব শটে সেই ব্যাটসম্যান মাশরাফিকেই খুঁজে পাওয়া যায়। ২০তম ওভারে হাফসেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে থেকে মোহাম্মদ শহীদের বলে বোল্ড হয়ে যান দ্য ম্যাশ। ৪৩ বলে গড়া ইনিংসটিতে ২টি চার এবং ৫টি ছক্কার মার। টেল এন্ডারদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৩ রানের জয় পায় কুমিল্লা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
চেন্নাই টেস্টে ভারতের দেওয়া পাহাড়সম ৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতেবিস্তারিত পড়ুন
খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির
রাওয়ালপিণ্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে ব্যস্ত পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শাহিনবিস্তারিত পড়ুন
বন্যার্তদের সহায়তায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল গঠন
সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যেবিস্তারিত পড়ুন