শনিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মাশরাফি নামক ‘এক রাজার গল্প’

এক দেশে এক রাজা ছিল।

প্রজাদের প্রতি ছিল তার অগাধ ভালবাসা। রাজ্যে রাজ্যে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। হাজার হাজার প্রজার মন জয় করে ফেলেছিলেন। কিন্তু পৃথিবীতে কি এমন রাজা সত্যিই কখনো ছিলেন, যিনি সকল প্রজার মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন?

কোন রাজাই পারেনি। কিন্তু আমাদের দেশে একজন রাজা আছেন যিনি ইতিমধ্যে সকল প্রজার মন জয় করে ফেলেছে। লোকে তাকে বাঘও বলে। বাঘের পা ভাঙ্গলেও শিকার ভুলে না। শিকারে তার পেশার চেয়ে নেশার দাবি বেশী থাকে। শিকার চলে অনবরত। হ্যা, মাশরাফির কথাই বলছিলাম। ৫ অক্টোবর ১৯৮৩ সালে নড়াইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন মাশরাফি বিন মূর্তজা। কৌশিক নামেই তিনি এলাকায় সবার পরিচিত।

বাংলাদেশের অনূর্ধ-১৯ দলে খেলার সময় আক্রমণাত্নক এবং গতিময় বোলিং নজর কাড়ে তৎকালীন অস্থায়ী বোলিং কোচ সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টসের। তাঁর পরামর্শে মাশরাফিকে বাংলাদেশ-এ দলে নেওয়া হয়।

মাশরাফি জাতীয় দলে খেলার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মাশরাফির। একবার এক ইন্টারভিউতে মাশরাফি তুলে ধরেছিলেন তার অভিষেক অনুভুতির কথা। তিনি বলেছিলেন, “আমি জাতীয় দলে প্রথম সুযোগ পাই ২০০১ সালে। কিন্তু বাংলাদেশ কী, বাংলাদেশের হয়ে খেলাটা কী, সেসব বুঝি আরও পরে। ২০০৩ বিশ্বকাপে যখন আমি বলটা প্রথম ধরি, বল করতে পারছিলাম না। কাঁদছিলাম। সেই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। বিশ্বকাপ হচ্ছে। বিশ্বকাপে আমি দেশের হয়ে বল করছি। অবিশ্বাস্য লাগছিল নিজের কাছেই। অথচ তার আগে দুই বছর জাতীয় দলে খেলেছি। আমি কিসের ভেতর আছি, সেই অনুভূতি

এল দুই বছর পর! দক্ষিণ আফ্রিকায় দাঁড়িয়েও বুঝতে পারছিলাম বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে, আমার দিকে তাকিয়ে। সেই রোমাঞ্চ ভোলার নয়। উত্তেজনায় প্রথম বলটা ওয়াইডই করে বসেছিলাম বোধ হয়।”

মুগ্ধ হয়ে শোনা যায় কথাগুলো কোন ক্লান্তি ছাড়া। একজন দেশপ্রেমিক যেখানেই থাকুক, যেভাবেই থাকুক ভিতরে দেশের মায়া হাতড়ায় তাকে সর্বক্ষন।

এখন একটু জেনে নেই কজন অধিনায়ক আছে তার মত এই পৃথিবিতে। জেনে নেই তার কিছু অর্জন তার?

এক দিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) খেলায় তিনি মোট ৩১ টি ম্যাচের অধিনায়কত্ব করে ২২ টি ম্যাচই জিতিয়েছেন আর পরাজিত হয়েছেন মাত্র ৯ টি ম্যাচে। এর মাধ্যমে তিনি পৌঁছে গেছেন সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের তালিকার চতুর্থ নম্বরে। ১৬৬ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ২১৬ টি, রান করেছেন ১৪৯৫ টি। দলকে এনে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি খেলার সুযোগ এবং বাছাই পর্ব না খেলেই সরাসরি বিশ্বকাপে অংশগ্রহনের সুযোগ।
টেষ্ট ম্যাচ খেলেছেন ৩৬ টি, উইকেট নিয়েছেন ৭৮ টি, রান করেছেন ৭৯৭ টি।
টি২০ খেলায় ম্যাচ খেলেছেন ৪৯ টি, উইকেট নিয়েছেন ৩৮ টি, রান করেছেন ৩৬৬ টি।

এ নেতার ক্রিকেটিয় অর্জন বর্ননায় সমাপ্তি হওয়ার নয়। তাই আর কোন ক্রিকেটিয় অর্জনের বর্ননা নয়, এবার তার এমন একটা অর্জনের সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই যা পৃথিবির আর কোন অধিনায়কের নেই।

১১ বার ইন্জুরিতে পরেও দলে ফিরে বাঘের মত খেলে যাওয়ার শক্তিটা কোথায় জানেন? প্রথম আলোর একটা ইন্টারভিউতে তিনি বলেছিলেন, ‘টেলিভিশনে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস বা একুশে ফেব্রুয়ারির যেসব অনুষ্ঠান দেখায়, আমি সব দেখি। এগুলো তো অনেক পরে তৈরি করা জিনিস, তার পরও ওই সময়ের কথা মনে হলে আমার খারাপ লাগে। তাঁরা দেশের জন্য কী করে গেছেন আর আমরা কী করছি? তাঁদের জন্যই তো আমরা আজ অন্যের জুতা পরিষ্কার করছি না। ম্যাচ জিতলে সবাই বলে আমরা নাকি বীর। আসল বীর তো তাঁরা! বারবার ইনজুরি থেকে ফিরে আসার প্রেরণাও পাই সেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকেই। এমনও ম্যাচ গেছে আমি হয়তো চোটের কারণে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। দুই-তিনটা বল করেই বুঝতে পারছিলাম সমস্যা হচ্ছে। তখন তাঁদের স্মরণ করেছি। নিজেকে বলেছি, ‘হাতে-পায়ে গুলি লাগার পরও তাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন কীভাবে? তোর তো একটা মাত্র লিগামেন্ট নেই! দৌড়া…। দেশের পতাকা হাতে দেশের জন্য দৌড়ানোর গর্ব আর কিছুতেই নেই। পায়ে আরও হাজারটা অস্ত্রোপচার হোক, এই দৌড় থামাতে চাই না আমি।’

এই মানুষটার মধ্যে দেশের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মত এক শক্তিশালি ক্ষমতা আছে।

এই মানুষটাকে ঠেকাবে এমন শক্তি পৃথিবিতে নেই। মাশরাফি যখন হোচট খেয়ে পড়ে, তখন বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে ওঠে, কপালে ভাঁজ পরে। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রার্থনা করে তার জন্য। এইযে তার হোচট খাওয়াতে বুকের মধ্যে যে মোচড় দিয়ে উঠে-এটা তারই অর্জন।

যে মানুষটার অসুস্থতায় লক্ষ কোটি মানুষ প্রার্থনা করে তাকে ঠেকিয়ে রাখার ক্ষমতা এই পৃথিবীর কারো নাই। ইংল্যান্ডের ম্যচগুলোতেও যখন বার বার হোচট খেয়ে পড়ছিল আমরা যারা বাইরে খেলা দেখছিলাম তাদের ভেতর হাহাকার শুরু হয়ে গেছিল। চিন্তা হচ্ছিল খুব। এই মানুষটাকে ভালবাসি খুব। আর এই ভালবাসা পাওয়ার অর্জনটা তারই। তার সকল অর্জনের স্রেষ্ঠ অর্জন এটাই। এ অর্জনটা পৃথিবির আর কোন অধিনায়কের নেই।

এ মানুষটার জন্য দোয়া রইলো। সৃষ্টিকর্তা তার সুস্থতা দান করুন।-খেলাধুলা

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭

চেন্নাই টেস্টে ভারতের দেওয়া পাহাড়সম ৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতেবিস্তারিত পড়ুন

খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির

রাওয়ালপিণ্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে ব্যস্ত পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শাহিনবিস্তারিত পড়ুন

বন্যার্তদের সহায়তায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল গঠন

সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যেবিস্তারিত পড়ুন

  • নির্বাচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে: মির্জা ফখরুল
  • আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক বিচারপতি মানিককে ডিম-জুতা নিক্ষেপ
  • রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট: ৯৪ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষ করল বাংলাদেশ
  • পুলিশের লুট হওয়া ১২৩৪টি অস্ত্র উদ্ধার
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় পৌঁছলেন খালেদা জিয়া
  • বিএনপির শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের বাবুলের পদ স্থগিত
  • ইসির নিবন্ধন পেল এবি পার্টি, প্রতীক ঈগল
  • থানায় জিডি-মামলা নিতে দেরি করা যাবে না: পরিপত্র জারি
  • আন্দোলনে বিএনপির ১৯৮ কর্মী নিহত, জানালেন মহাসচিব
  • বিআরটিএ-তে সেবা নিতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হলো অমিতাভ রেজার
  • চট্টগ্রামে হাসিনা-কাদেরসহ ১০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাই প্রথম কাজ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা