মাহবুবাকে সেদিন মৃত ভেবে লাশঘরে পাঠানো হয়
মৃত ভেবে লাশঘরে পাঠানো হয়েছিল মাহবুবাকে। সেখানে লাশ শনাক্ত করতে গিয়ে তাকে জীবিত দেখতে পায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের এক নেতা। মরতে মরতে প্রাণ ফিরে পান সাভারের মাহবুবা পারভীন। তবে ফিরে পাওয়া এই প্রাণ দূর্বিসহ যন্ত্রনা দিয়ে যাচ্ছে তাকে। গোটা শরীরে গ্রেনেডের ১৮০০ স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
মাহবুবা বলেন, সেদিনের সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় ট্রাক দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল মঞ্চ। মঞ্চের সামনে দাড়িয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য শুনছিলাম আর স্লোগান দিচ্ছিলাম। সব শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য চলছিল। বক্তব্য শেষে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলার সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় গ্রেনেড। তখন দাড়ানো অবস্থায় নিস্তেজ হয়ে পড়ে যাই- শুধু এ টুকুই বলতে পারি। এরপর যখন চোঁখ খুলি তখন ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরের দিন মাহবুবার ছবি ছাপানো হয় দেশের সংবাদপত্রগুলোতে। তাতে দেখা যায় মঞ্চের একেবারে সামনের অংশে রক্তাত্ত অবস্থায় পড়ে আছে মাহবুবার নিথর দেহ। গুরুতর আহত আইভী রহমানের পাশে যে তিনজন মহিলাকে রক্তাত্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে তাদের মধ্যেই ছিলেন মাহবুবা।
সে দিনের ঘটনা সম্পর্কে মাহবুবা আরো বলেন, গ্রেনেড বিস্ফোরিত হওয়ার পর মানুষজন ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। সবাই পা দিয়ে মারিয়ে যায়। এতে আমার ডান হাত আলাদা হয়ে যায় দেহ থেকে। গ্রেনেডের আঘাতে রক্তাত্ত হয়ে পড়ি। ভারতের চিকিৎসকরা সারা দেহে গ্রেনেডের ১৮০০ স্প্লিন্টার শনাক্ত করে।
বাইরের ক্ষত শুকিয়ে গেছে অনেক আগেই। তবে স্প্লিন্টারগুলো শরীরের ভেতরে নড়াচড়া করায় যন্ত্রণা হয়। আর রাতে এই যন্ত্রণা আরো বেড়ে যায় বহুগুণে। অসহ্য যন্ত্রণা সেই সঙ্গে তীব্র চিৎকারে রাতে ঘুমানো যায় না। আর ঘুমাতে গেলে একমাত্র অবলম্বন ঘুমের বড়ি।
গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসার দায়ভার এড়িয়ে যাননি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার তত্ত্বাবধায়নে দেশ বিদেশে চিকিৎসা হয়েছে মাহবুবার। তবে এখনও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি তিনি। অন্যের সাহায্য আর লাঠির উপড় ভর করেই ঘরের বাইরে বের হতে হয় তাকে। ওষুধ খাওয়া বাদ দিলেই যন্ত্রনা হয় তীব্র। বেশ কিছুদিন আগে থেকে সেই ডান হাতের জয়েন্টে নতুন করে ব্যাথা অনুভব করছেন। এর জন্য চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হলে হাতটি গলার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সাভার পৌরসভার বাজার রোড সংলগ্ন ব্যাংক কলোনিতে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এক টুকরো জমিতে স্বামী সন্তানদের নিয়ে থাকেন মাহবুবা। জানালেন-সেই থেকে বিচারের অপেক্ষায় আছি। যারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে সুন্দর জীবন কেড়ে নিয়েছেন তাদের বিচার হবেই বাংলার মাটিতে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন