বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মা-ছেলের মেরুকরণে আটকে আছে যুবদলের কমিটি

মা-ছেলের মেরুকরণে আটকে আছে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। নেতাকর্মীরা চাইছেন সকল জটিলতা দূর করে শিগগিরই নির্বাচিত হবে নতুন নেতৃত্ব। আর মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার সাড়ে ৩ বছর পরও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে না পারলে মুখ থুবড়ে পড়বে বিএনপির অন্যতম শক্তিশালী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল।

জানা গেছে, নতুন নেতৃত্বের শীর্ষ দুই পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করতে ব্যর্থ হয়ে ২৬ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে এলবার্ট পি কস্তার নাম ঘোষণা করা হয়। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সাইফুল আলম নিরব (বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক) ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর (বিএনপির বিদায়ী কমিটির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক) নাম বেশ আলোচনায় ছিল।

এদিকে যুবদলের কমিটি বারবার আটকে যাওয়ার পেছনে মূলত দুটি বলয়ের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বকে দায়ী করছেন অনেকে। কেবল যুবদলই নয়, বিএনপির রাজনীতিতেও দুটি বলয় কাজ করে বলে দলটির নেতাকর্মীদের ধারণা। যে বলয়ের একটি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও অপরটি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। যদিও বলা হয়ে থাকে বিএনপিতে কোনো গ্রুপিং নেই। বাস্তবে বিএনপিতে ভাইয়াপন্থী ও ম্যাডামপন্থীর মধ্য দ্বন্দ্ব বিদ্যমান।

এই বলয় হিসেবেই বিএনপির পদপদবি বণ্টনের গুঞ্জন শোনা যায়। এরই মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় যে আংশিক কমিটি ঘোষণা হয়েছে, গুঞ্জন রয়েছে নবগঠিত কমিটিতে ভাইয়া অনুসারি অর্থাৎ তারেকপন্থীদের কোনঠাসা করা হয়েছে। পক্ষান্তরে অন্যদের কল্পনাতীত পদায়ন করা হয়েছে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের একটা অংশ মনে করেন, দলের তিন শীর্ষ নেতা এবং চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা তারেকপন্থীদের কোনঠাসা করতে মাস্টারমাইন্ডের ভূমিকায় রয়েছেন।

সার্বিক পরিস্থিতিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নতুন নেতৃত্বের আশায় দিন গুনলেও তারা অনেকটাই দিশেহারা। ইতোমধ্যেই স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটির অপেক্ষায় ছাত্রদল, যুবদলসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।

তবে এর মধ্যে মূল আলোচনায় রয়েছে যুবদলের কমিটি। এই কমিটি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে নেতাকর্মীদের মাঝে। প্রতিদিনই তারা উদগ্রিব থাকেন কখন তাদের কাঙ্খিত কমিটি হবে। কিন্তু অজ্ঞাত জটিলতায় আটকে আছে সে কমিটি। গত সাড়ে তিনবছর ধরে যুবদলের কমিটি হচ্ছে, হবে, এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও তা বাস্তবে রূপ লাভ করেনি।

ইতোমধ্যেই যুবদলের নতুন কমিটিতে আলোচনায় রয়েছে অর্ধ ডজন নেতাদের নাম। তবে অনেককে নিয়ে আলোচনা থাকলেও মূল আলোচনায় নিরব-টুকু। যুবদলের নেতারা চান তাদের সংগঠনের ভেতর থেকেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হোক।

এদিকে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি টুকুকেও দিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ পদ। গুঞ্জন রয়েছে যুবদলের নতুন কমিটি গঠনের যে প্রক্রিয়া চলছে তাতে অনেক নেতাকর্মীরাই ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। বিশেষ করে তাদের ধারণা বিএনপির তিন শীর্ষ নেতা ও একজন কর্মকর্তা মোট চারজন মিলে কমিটি ভাগাভাগি করে নতুন কমিটি গঠন করবেন। নেতাকর্মীদের আক্ষেপ পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে মূল্যায়ন না হলে যুবদল মুখ থুবড়ে পড়বে।

পাশাপাশি টুকুকে নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। বিশেষ করে ছাত্রদলের কমিটি গঠনে পদ বানিজ্যের অভিযোগ জোড়ালো। এমন অবস্থায় যুবদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কে হবেন এ নিয়ে অনিশ্চয়তা আর ধুয়াশার মধ্যে রয়েছেন নেতাকর্মীরা।

যুবদলের কারো কারো মতে- নিরবের প্রতি তারেক রহমানের আশির্বাদ থাকায় বিএনপির একটা অংশ তাকে যুবদলের নেতৃত্ব থেকে দূরে রাখতে চায়। এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নিরবের পেছনে রয়েছে যুবদলের নেতাকর্মীরা আর টুকুর পেছনে রয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। শোনা যায় চেয়ারপারসন চান টুকুকে আর তারেক চান নিরবকে। মূলত মা-ছেলের দুই মেরুকরণে আটকে আছে যুবদলের কমিটি।

এ বিষয়ে যুবদলের সদ্য সাবেক সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, একটু সময় নিয়ে কমিটি হবে কারণ ম্যাডাম এখন জাতীয় কিছু বিষয় নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ওই বিষয়গুলো সম্পন্ন হলেই যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হবে।

যুবদলের শীর্ষ নেতা ও ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, কোনো একটা কারণে কমিটি বিলম্ব হচ্ছে। প্রায় ৪ বছর কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন কমিটি না দেয়ায় দল ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যুবদলের মতো বিএনপির প্যারালাল একটি অঙ্গ সংগঠন এখনো পূর্ণাঙ্গতা লাভ করতে পারেনি। এটা দলের জন্য ক্ষতিকর।

তিনি মনে করেন, দলকে শক্তিশালী করতে হলে তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে দ্রুত যুবদলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি ভাল কমিটি উপহার দিলে দল উপকৃত হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আবদুস সালাম বলেন, যুবদলের কমিটি শিগগিরই দিয়ে দেওয়া হবে। ম্যাডাম হয়তো চিন্তা-ভাবনা করছেন। কমিটি গঠনে বহুরকম বিষয় থাকে, অনেক প্রার্থী থাকেন, সবকিছু মিনিমাইজ করে দিতে হয়।

‘যতটুকু জানি ম্যাডাম যুবদলের কমিটি নিয়ে মোটামুটি একটা চিন্তা করেছেন। গুছিয়ে নিয়ে এসেছেন। যে কোনো সময় দিয়ে দেবেন’, বলেন সালাম।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যুবদল বিএনপির শক্তিশালী একটি সংগঠন। কমিটি অবশ্যই ঘোষণা করা হবে। তবে একটু আলাপ আলোচনা করে কমিটি ঘোষণা করা হবে। যাতে ঘোষণার পর কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১০ সালের মার্চে গঠিত কমিটিতে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সভাপতি ও সাইফুল আলম নীরবকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গঠন করা হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪ বছর পর। পরবর্তীতে নানাভাবে আরো ৬৫ জনকে বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হয়।

সর্বশেষ বর্তমান কমিটির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত করায় তিনি যুবদলের পদ থেকে পদত্যাগ করার পর কস্তাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। জাগো নিউজ

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায়  ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।  মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন

সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন

  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ
  • ঈদযাত্রায় মহাসড়কে  চলছে ধীরগতিতে গাড়ি
  • হরিজনদের উচ্ছেদ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদ